Site icon Trickbd.com

[সাধারণ জ্ঞান] ১৪ প্রশ্নোত্তরে জেনে নিন সিভি বানানোর উপায

Unnamed

নতুন নতুন

.
.
সকল নতুন টিপস
.
১৪ প্রশ্নোত্তরে জেনে নিন সিভি বানানোর উপায়

চাকরির জন্য জীবন বৃত্তান্ত বা সিভি কেমন হবে, তা নিয়ে বহু মানুষেরেই প্রশ্ন রয়েছে। অনেকেই সিভির উদাহরণ দিতে বলেন, যা দেখে সহজেই দারুণ কোনো সিভি উপস্থাপন করা যাবে।

কিন্তু বাস্তবে এ বিষয়টি প্রত্যেক মানুষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। কারণ একজন অভিজ্ঞ মানুষের সিভির সঙ্গে কখনোই সদ্য গ্র্যাজুয়েটের সিভি মিলেবে না। আর তাই এ লেখায় দেওয়া হলো কয়েকটি পরামর্শ, যা দেখে সঠিকভাবে সিভি বানিয়ে নিতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফোর্বস।

১. সিভি কত বড় হবে?
সাধারণত একটি নন-একাডেমিক সিভি এক থেকে দুই পাতা হবে। এতে সাধারণত সর্বশেষ তথ্যগুলো সবার আগে লেখা হয়। অর্থাৎ সবশেষ অভিজ্ঞতা বা ডিগ্রি সবার আগে লিখতে হবে।

২. আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা কোথায় লিখব?
আপনি যদি সদ্য গ্র্যাজুয়েট হয়ে থাকেন এবং বড় কোনো অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে সেটিই সবার আগে রাখুন। আর যদি ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সে অভিজ্ঞতাই সবার আগে রাখুন।

৩. গ্রাফিক্স ও ডিজাইনের দিকে কতখানি মনোযোগ দেব?
একেবারেই মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সিভির কাঠামো হতে হবে সহজ ও পরিচ্ছন্ন। ডিজাইনের প্রয়োজন নেই।

৪. আমার কি সব অভিজ্ঞতার তালিকা দিতে হবে?
না। আপনি বর্তমানে যে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করছেন শুধু সেই প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতাগুলো লিখুন। তবে কোনো গ্যাপ থাকলে সেজন্য ইন্টারভিউতে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারেন। সেক্ষেত্রে তার জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

৫. ‘আমি’ ব্যবহার করা যাবে কি?
সিভিতে আমি বা আই ব্যবহারে কোনো বিধিনিষেধ নেই। আপনি সিভির মাধ্যমে নিজেকে উপস্থাপন করতে চাইছেন। আর এ কারণে প্রয়োজন হলে সিভিতে ‘আমি’ ব্যবহার করা যাবে।

৬. রেফারেন্স প্রয়োজন আছে কি?
যতক্ষণ পযন্ত বিষয়টি চাওয়া না হবে, ততক্ষণ প্রয়োজন নেই। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় তারা রেফারেন্স চাইলে তখন অবশ্যই দিতে হবে।

৭. প্রতিটি চাকরির আবেদনে সিভি কতখানি পরিবর্তন করব?
আপনার কাজের অভিজ্ঞতার ওপর এ বিষয়টি নির্ভর করবে। আপনি যদি চাকরির জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন ক্ষেত্রের কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেন তাহলে সিভিতে বড়ধরনের পরিবর্তন করতে হতে পারে।

৮. বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করতে পারব কি?
আপনি সিভির ভেতর প্রয়োজন অনুযায়ী বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করতে পারেন। ছোট ছোট পয়েন্ট ভালোভাবে তুলে ধরতে তা ব্যবহার করা যাবে।

৯. আমি কি অভিজ্ঞতায় পুরনো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের বর্ণনা দিতে পারব?
আপনার পুরনো প্রতিষ্ঠানগুলো যদি অপরিচিত হয় তাহলে তা দিতে পারেন। প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচিত হলে এ বর্ণনার প্রয়োজন নেই।

১০. পুরনো চাকরি ছাড়ার কারণ কি সিভিতে লিখতে হবে?
সাধারণত এটি লেখা হয় না। তবে আপনি যদি চান তাহলে এটি বুলেট পয়েন্ট আকারে লিখতে পারেন।

১১. আমি কি শিক্ষাজীবনে ও কর্মক্ষেত্রে নিজের অর্জনগুলো সিভিতে লিখতে পারব?
আপনার চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত সব অর্জনই লিখতে পারবেন।

১২. আমি কি রঙিন কাগজে ও অভিনব নকশায় সিভি পাঠাতে পারব?
আপনার যে কোনো চাকরির আবেদনেই একটি মানসম্মত সাদা কাগজ ব্যবহার করা উচিত। এক্ষেত্রে নিজের পেশাদারী মান বজায় রাখুন।

১৩. আমার কোন কোন তথ্য সিভির ওপরের দিকে দেওয়া উচিত?
আপনার নাম, বর্তমান শহর, মোবাইল নম্বর, ইমেইল ঠিকানা ইত্যাদি দিতে পারেন। এছাড়া চাইলে লিংকডইন প্রোফাইলের ঠিকানাও দিতে পারেন।

১৪. আমার কি সম্পূর্ণ নাম নাকি ডাক নাম দেওয়া উচিত সিভির ওপরে?
সব সময় সম্পূর্ণ নাম ব্যবহার করতে হবে। ডাক নাম কিংবা নামের কোনো বিকল্প ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
.
নতুন ডিজান ওয়েব নতুন নতুন পোস্ট দেখুন
.