Site icon Trickbd.com

টাইব্রেকার ভাগ্যে ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী

Unnamed

নির্ধারিত ৯০ মিনিট ১-১ সমতা। ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। সেখানে পাওয়া গেল না গোলের দেখা। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। শেখ রাসেলকে ৪-২ গোলে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস লড়াই হয়েছে দুই দলের মধ্যে। ফিকরুর গোলে এগিয়ে গিয়েও তা ধরে রাখতে পারেনি রাসেল শিবির। রুবেল মিয়ার গোলে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচে ১-১ সমতা। টাইব্রেকারে পর্বে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর চারজন ফুটবলার। তবে শেখ রাসেলের হয়ে মিঠুন ও শাহেদ দিয়েছেন ব্যর্থতার পরিচয়। যাতে করে রাসেল শিবিরের স্বপ্নভঙ্গ হয় ফাইনালে উঠার। টাইব্রেকারে শেখ রাসেলের হয়ে প্রথম দুটি সফল শট নেন ফিকরু ও ভেলেরা। চট্টগ্রামের হয়ে প্রথম দুটি সফল শট নেন তারিক আল জানাবি ও অ্যালিসন। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শট মিস করেন শেখ রাসেলের মিঠুন ও শাহেদ। মিঠুনের শট চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। শাহেদের শট বা দিকে ঝাপিয়ে প্রতিহত করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক রানা। কিন্তু চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে বাকি তৃতীয় ও চতুর্থ শট মিস করেননি লিওনেল ও জাহিদ। জাহিদের গোলের পরই জয় নিশ্চিত হয় চট্টগ্রাম আবাহনী। আনন্দ-উৎসবে মত্ত হয় জাহিদ শিবির। শুরু থেকেই দুই দল ছিল বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজে। এই অর্ধে আক্রমণের ধার বেশী ছিল শেখ রাসেলের। প্রথম দিকে কয়েকটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ ভেস্তে যায় ফিনিশিংয়ের অভাবে। তবে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে গোলের দেখা পায় শেখ রাসেল। সাখাওয়াত রনির শট তালুবন্দীর চেষ্টা করেছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক আশরাফুল রানা। তবে তা উপরে উঠে যায়। সেই সুযোগে হেডের মাধ্যমে গোল করেন শেখ রাসেলের ইথোপিয়াান ফরোয়ার্ড ফিকরু। ১-০তে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে শেখ রাসেল। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার যেন বেড়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনীর। উল্টো দিকে কিছুটা রক্ষণাত্মক স্টাইলে চলে যায় শেখ রাসেল। এই সুযোগটা কাজে লাগায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ৬৭ মিনিটেই ম্যাচে সমতা আনে চট্টগ্রাম আবাহনী। ডান প্রান্ত থেকে ক্ষিপ্র গতিতে আগুয়ান চট্টগ্রাম আবাহনীর হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড লিওনেল সেইন্ট দুর্দান্ত ক্রস করেন বক্সের উদ্দেশ্যে।পরে দৌড়ে যাওয়া রুবেল মিয়ার

অসাধারণ প্লেসিং। গোল। স্কোর তখন ১-১। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগাম আবাহনী ছিল ক্ষিপ্ত মেজাজে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। গোল পায়নি কোন দলই। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয় ১-১ সমতায়।ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। এখানেও সেই একই চিত্র। গোল পায়নি কোন দলই। শেষ অবধি ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে ৪-২ গোলে জিতে ফাইনালের টিকিট পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। মজার ব্যাপার গ্রুপ পর্বে দুই চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ও শেখ রাসেল বিদায় নিল সেমি থেকে। সেখানে গ্রুপ পর্বে দুই রানার্সআপ দল উঠে গেল ফাইনালে। আগামী সাত মে শিরোপা নির্ধারনী ফাইনালে ঢাকা আবাহনীর মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম আবাহনী।

আরো নতুন আফার পেতে AmarRound.Com সাইটি ঘুরে আসেন