Site icon Trickbd.com

মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ: প্রাইভেসির নতুন মাত্রা।

Unnamed

হ্যালো ভাই ব্রাদার্স ?

কেমন আছেন সবাই?
আশা করি ভালো আছেন!

বর্তমান যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন আমরা আমাদের প্রিয়জনদের সাথে মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করি। তবে প্রাইভেসি এবং নিরাপত্তার বিষয়টি যখন আসে, তখন অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এ উদ্বেগের নিরসনে মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে “ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ” ফিচারটি চালু করেছে।

ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ কি?

ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ হলো এমন একটি ফিচার যেখানে মেসেজগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায়। এই ফিচারটি ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি রক্ষা করতে এবং অপ্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করে।

কিভাবে কাজ করে?

মেসেঞ্জার:
ফেসবুকের মেসেঞ্জারে ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ ফিচারটি “Vanish Mode বা Disappearing Messages” নামে পরিচিত। এটি সক্রিয় করা হলে আপনি আপনার বন্ধু বা পরিবারের সাথে করা চ্যাটগুলো নির্দিষ্ট সময় পর মুছে যাবে। আপনি যখন “Vanish Mode বা Disappearing মেসসাগেস ” চালু করবেন, তখন একটি বিশেষ ইন্টারফেস চালু হবে যেখানে শুধুমাত্র মেসেজের প্রাপ্যতা সীমিত থাকবে। এই ফিচারে পাঠানো মেসেজগুলো চ্যাট ছেড়ে বের হওয়ার পর বা স্ক্রিনশট নেয়া হলেও প্রাপক ও প্রেরককে সতর্ক করা হবে।
এই ফিচারটি চালু করতে প্রথমত যার কনভারসেশনে চালু করতে চাচ্ছেন তার কনভারসেশনে ক্লিক করে। উপরে যে প্রোপাইলের অপশন বা ছবির মধ্যে ক্লিক করতে হবে। তারপর Disappearing Messages অপশনে ক্লিক করতে হবে।

ভারপর টাইম সিলেক্ট করে দিলেই Disappearing Messages অন হয়ে যাবে।

হোয়াটসঅ্যাপ:
হোয়াটসঅ্যাপে ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ ফিচারটি “Disappearing Messages” নামে পরিচিত। এটি চালু করলে নতুন চ্যাট মেসেজগুলো সাত দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে। এই ফিচারটি ব্যক্তিগত চ্যাট এবং গ্রুপ চ্যাট উভয় ক্ষেত্রেই কার্যকর করা যায়। তবে, গ্রুপ চ্যাটে শুধুমাত্র অ্যাডমিনরা এই ফিচারটি চালু বা বন্ধ করতে পারেন।
Disappearing Messages অপশন চালু করতে হলে প্রথমে কনভারসেশনে ক্লিক করে প্রোপাইলে মেনুতে ডুকে নিচের দিকে স্ক্রল করলে পেয়ে যাবেন।

তারপর সময় সিলেক্ট করে দিবেন কাজ শেষ।

প্রাইভেসি এবং নিরাপত্তা

ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ ফিচারটি ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি রক্ষা করতে সাহায্য করে। যেহেতু মেসেজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায়, তাই গুরুত্বপূর্ণ বা গোপনীয় তথ্য চিরতরে সংরক্ষিত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। তবে, এটি সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না, কারণ প্রাপকরা মেসেজের স্ক্রিনশট নিতে পারেন বা মেসেজ সংরক্ষণ করতে পারেন।

সুবিধা ও অসুবিধা

# সুবিধা:
1. **প্রাইভেসি রক্ষা:** গোপনীয় তথ্য দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ না করে মুছে যাওয়ার কারণে প্রাইভেসি রক্ষা হয়।
2. **ডেটা সংরক্ষণ:** অপ্রয়োজনীয় মেসেজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাওয়ায় স্টোরেজ সমস্যা কমে।
3. **সহজ ব্যবহার:** এটি সহজেই চালু বা বন্ধ করা যায় এবং ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহার করতে পারেন তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী।

#অসুবিধা:
1. স্ক্রিনশট সমস্যা: মেসেজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে গেলেও প্রাপক স্ক্রিনশট নিতে পারেন।
2. গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে যাওয়া:** কখনও কখনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও মুছে যেতে পারে যা পরবর্তীতে দরকার হতে পারে।
##আমি আমার নিজের মত করে লিখার চেষ্টা করেছি।হয়ত কথা গুলো গুছিয়ে লিখতে পারি নাই। কোন ভূল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

JABER

আমি চাই পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে জানাবেন l ভাল লাগলে
একটা লাইক দিয়ে কমেন্ট
করবেন।