দুইটি অচল। তবুও ছাড়েনি
পড়াশুনা। আর এসব শারীরিক
প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে
ফেলেই এগিয়ে চলেছে
আরিফা খাতুন। সে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায়
জিপিএ ৪.১১ পেয়ে উত্তীর্ণ
হয়েছে। তার এমন সাফল্য সবাইকে
আবাক করে দিয়েছে। সে
এখন স্বপ্ন দেখছে উচ্চ
শিক্ষা অর্জনের। লালমনিরহাট সদর
উপজেলার খোড়ারপুল
শাহীটারী গ্রামের তালা-
চাবী মেরামতকারী আব্দুল
আলী ও মমতাজ বেগমের
প্রতিবন্ধী মেয়ে আরিফা খাতুন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার
ছোট হলেও মেধাবী
হিসেবেই সবার কাছে
ভাই ও দুই বোন স্বাভাবিক
হলেও আরিফা জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। তবুও পড়াশোনার অদম্য
বাসনা নিয়ে স্থানীয় একটি
ব্র্যাক স্কুলে ভর্তি হয় সে।
হাতের লেখা চলে পা
দিয়েই। পরে প্রাথমিক
পেরিয়ে ভর্তি হয় লালমনিরহাট সদর
উপজেলার ফুলগাছ উচ্চ
বিদ্যালয়ে। আর এভাবে পা
দিয়ে লিখেই মানবিক শাখা
থেকে এসএসসি পরীক্ষায়
ভালো ফল করেছে আরিফা। শারীরিক প্রতিবন্ধী
আরিফার সঙ্গে কথা বলে
জানা গেল, ইচ্ছে থাকলেও
তার মতো দরিদ্র পরিবারের
মেয়েরা বেশিদূর লেখাপড়া
করতে পারে না। তারপরও সে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের
স্বপ্ন দেখছে। মেয়ের এমন ফলে উচ্ছাস
প্রকাশ করে আরিফার বাবা
আব্দুল আলী বলেন,
‘প্রতিবন্ধী হয়েও আরিফা
করেছে। ফুলগাছ উচ্চ বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক শাহজাহান
আলী জানান, শারীরিক
প্রতিবন্ধী আরিফা খাতুন
অদম্য ইচ্ছা থেকেই আজ
কৃতিত্ব সহকারে মাধ্যমিক পাস করেছে। দারিদ্রতা আর শারীরিক
প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে
আরিফা উচ্চ শিক্ষা অর্জন
করবে বলেও বিশ্বাস তার।