Site icon Trickbd.com

শাহরুখ-আমির নাকি সালমান, বলুন তো কে সেরা?

mysmsbd_7993e11204b215b27694b6f139e34ce8

বর্তমানে বলিউডের দখল তিন খানের কব্জাতেই। দীর্ঘদিন ধরেই বলিউড দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন শাহরুখ খান, আমির খান ও সালমান খান। এই তিনজনের ললাটেই আছে সুপারস্টার তারকাখ্যাতি। তাদের ছবি মানেই রমরমা ব্যবসা। তাদের ভক্ত অনুরাগীরাও তাদের ছবির জন্য মুখিয়ে থাকে।

এদিকে এই তিন খানের বয়স প্রত্যেকেরই ৫০ এর ঘরে। তাতে কি? এখনও তারা যে কোন নতুন নায়কদের থেকেও অসাধারণ হিট নায়ক। তাদের ভক্ত অনুরাগীর সংখ্যাও অন্যদের তুলনায় অনেক অনেক বেশি। আবার তাদের ভক্তদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও চলে। শুরু হয় তিন খানের জনপ্রিয়তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক।

কারো কাছে শাহরুখ খানই সেরা। আবার কারো কাছে সালমান খান। আবার কারো কাছে আমির খানই সেরা। এই সেরার খেলা নিয়ে তিন খানের ভক্তদের রেষারেষি প্রায় দেখা যায়। তাহলে এই তিন খানের মধ্যে সেরা কে?

শাহরুখ খান : ১৯৬৫ সালের ২ নভেম্বর তার জন্ম। এসআরকে হিসাবে ডাকা হয় তাকে। তিনি একাধারে অভিনেতা, প্রযোজক, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং মানবপ্রেমিক। ১৯৮০ এর শেষের দিকে বেশ কিছু টেলিভিশন সিরিয়ালে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। ১৯৯২ সালে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দিওয়ানা’ মুক্তি পায়। এরপর তিনি অসংখ্য বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং খ্যাতি অর্জন করেন।

শাহরুখ খান চৌদ্দবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। এর মধ্যে আটটিই সেরা অভিনেতার পুরস্কার। তিনি বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা। হিন্দি চলচ্চিত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০০৫ সালে ভারত সরকার শাহরুখ খানকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে

ভূষিত করে।

শাহরুখ খান অভিনীতি ‘দিলওয়ালে’ ছবি গত বছর শেষের দিকে মুক্তি পায়। ছবিটি আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারেনি। এরপরই এ বছর মুক্তি পায় তার ‘ফ্যান’ চলচ্চিত্র। ছবিটি দারুণ ব্যবসা করে বক্স অফিসে। আগামী ঈদে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে তার নতুন ছবি ‘রইস’।

আমির খান : তার পুরো নাম মোহাম্মদ আমির হোসেন খান। ১৯৬৫ সালে ১৪ মার্চ তার জন্ম। তিনি একাধারে চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্য লেখক এবং টেলিভিশন উপস্থাপক। চাচা নাসির হুসেনের ‘ইয়াদোঁ কি বারাত’ (১৯৭৩) ছবিতে একজন শিশুশিল্পী হিসাবে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। তবে পেশাগতভাবে তাঁর অভিনয় জীবনের সূচনা হোলি (১৯৮৪) ছবির মাধ্যমে। প্রথম বাণিজ্যিকভাবে সফল ছবি চাচাতো ভাই মনসুর খানের ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’।

‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ ছবির জন্য তিনি ‘শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতা’ হিসেবে ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার পান। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মোট সাতবার মনোনয়ন পেলেও তিনি ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার জেতেনি। অবশেষে ১৯৯৬ সালে ‘রাজা হিন্দুস্তানি’ ছবির জন্য তিনি ফিল্ম ফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান।

আমির খান চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং সাতটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার এবং মনোনয়ন অর্জন করেছেন, এবং ভারত সরকার কর্তৃক ২০০৩ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০১০ সালে পদ্মভূষণ পদকে সম্মানিত করা হয়।

আমির খান অভিনীত সর্বশেষ ছবি ‘পিকে’। এ ছবিটি ভারতীয় ইতিহাসে দারুণ ব্যবসা সফল ছবি। শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এ ছবিটি দারুণ ব্যবসা করে। আমির খান খুব বেছে বেছে ছবি করেন। বছরে একটির বেশি ছবি তিনি করেন না। তার পরবর্তী ছবি ‘দঙ্গল’ মুক্তি পাবে আগামী বড়দিন উপলক্ষে।

সালমান খান : ১৯৬৫ সালে ২৭ ডিসেম্বর তার জন্ম। তার পুরো নাম আব্দুর রশিদ সেলিম সালমান খান। তিনি ‘বিবি হো তো এহসি’ চলচ্চিত্রের একটি গৌণ ভূমিকায় অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে ১৯৮৮-তে বলিউডে প্রবেশ করেন। এখানে তিনি রেখার সঙ্গে অভিনয় করেন। তবে ১৯৮৯ সালে তিনি ‘মেনে পেআর কিয়া’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডজুড়ে নাম করেন।

এ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ এই অভিনেতা ফিল্মফেয়ার পুরস্কার শ্রেষ্ঠ নবাগতার পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি নব্বইয়ের দশকে বলিউডে বেশ কিছু ব্যবসা সফল হিন্দি চলচ্চিত্র উপহার দেন, এরমধ্যে রয়েছে ১৯৯১ সালে ‘সাজান, ১৯৯৪ সালে ‘হাম আপকে হ্যায় কোন’, ১৯৯৫ সালে ‘কারণ অর্জুন’, ১৯৯৭ সালে ‘জড়ুয়’, ১৯৯৮ সালে ‘পিয়ার কিয়া তো ডারনা কিয়া’ এবং ‘বিবি নাম্বার ওয়ান’ উল্লেখযোগ্য।

সালমান খান একাধারে একজন অভিনেতা ও সফল প্রযোজক। মনবতাপ্রেমিকও তিনি। বিভিন্ন মানবিক কাজে তাকে দেখা যায় অগ্রভাগে। সম্প্রতি এক যমজ শিশুর অপারেশনের জন্য তিনি ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিয়ে দারুণ আলোচনায় আসেন। এছাড়া নতুনদের সুযোগ করে দেয়ায় তার জুড়ি মেলা ভার।

তার ‌‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’ মুক্তি পায় গত বছর। এ ছবিটি ভারতের ইতিহাসে দারুণ আলোচিত। ব্যবসাও করেছেন দারুণ। তার আগামী ছবি ‘সুলতান’ মুক্তি পাবে আগামী ঈদে।