সম্প্রতি কমার্স কলেজের এক ছাত্র
আরেক ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব
দিতে বন্ধুরা মিলে করেছে ‘স্মরণীয়’
আয়োজন। সেই ঘটনার ভিডিও চিত্রও
মোবাইলে ধারণ করে আপলোড করা হয়
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ভিডিওতে দেখা যায়, প্রথমে হাতে
হাত ধরে বৃত্ত বানিয়ে তাদের দুজনকে
ভিতরে রেখে চারপাশ ঘুরছে বন্ধুরা।
এরপর ছাত্রটি হাঁটু গেড়ে ছাত্রীকে
প্রপোজ করছে, পরিয়ে দিচ্ছে
আংটিও। এরপর সেই ছাত্রী সম্মতি
জানিয়ে ‘জয়ের আনন্দে’ একে অপরকে
জড়িয়ে ধরে। বাকি বন্ধুরাও উদযাপন
করছে এ অবিস্মরণীয় মুহূর্ত।
সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ
সাইটগুলোতে ছাড়ার সাথে সাথে
ভাইরাল হয়ে যায়। কেউ কেউ এমন
কাজকে সাবাশি দিয়ে লিখছেন,
‘হাউ সুইট, কত রোমান্টিক একটা মুমেন্ট’।
আবার কেউ লিখছেন, তরুণ প্রজন্মের এসব
প্রয়োজন? আর কলেজ ড্রেস পরে এসব
ভিডিও বানিয়ে কী বোঝাতে
চাইছে তারা?
সামাজিক সাইটগুলোতে যে যাই বলুক,
বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি কলেজ
কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় অভিযুক্ত ১১ জনই ঢাকা
কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের
মধ্যে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী
মাসবুরা সামিহা কায়নাত এবং
শাফিন আহমেদ খান। বাকি নয়জন
দুজনেরই বন্ধু, সহপাঠি। বন্ধু সামিহা
এবং শাফিনের বিশেষ মুহূর্তেকে
স্মরণীয় করে রাখতে বাকিদের নিয়ে
করে এ আয়োজন।
গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) ঢাকা কমার্স
কলেজের অধ্যক্ষ সাঈদ স্বাক্ষরিত এক
বিজ্ঞপ্তিতে সেই দুজন
শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে
ঢাকা কমার্স কলেজ। বাকি ৯ জনের
ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। একই সাথে
কলেজের সব শিক্ষার্থীকে ‘এ
ব্যাপারে’ সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া
হয়েছে।
কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীদের
‘প্রেমের প্রস্তাব’ বিষয়ক ভিডিও
গড়িয়েছে শিক্ষামন্ত্রী পর্যন্ত।
সোমবার (১৬ মে) সচিবালয়ে
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়
উঠে আসে এ প্রসঙ্গ। এসময় শিক্ষামন্ত্রী
বলেন, ‘কমার্স কলেজের ম্যানেজিং
কমিটি আছে। কলেজের নিজস্ব আইনও
আছে। তবে এখানে শিক্ষার্থীদের
ওপর অন্যায় হয়েছে। প্রেমের প্রস্তাব
দেয়া অন্যায় কিছু নয়। এই সে বিষয়ে
আমি খোঁজ নিবো।’ প্রেমের প্রস্তাব
দেয়ায় শিক্ষার্থীদের বহিস্কার করা
বাংলাদেশের আইনে নেই।