একটা সফট ড্রিঙ্কের ক্যানের
থেকেও কম। এমনই ওজন ছিল রুমাইসা
রহমানের। ২০০৪ সালের ১৯
সেপ্টেম্বর‚ যখন তার জন্ম হয়
শিকাগোর লয়োলা হাসপাতালে। এখন
পর্যন্ত রুমাইসাই বিশ্বের ক্ষুদ্রতম
নবজাতক |
সিজারিয়ান পদ্ধতিতে রুমাইসা এবং তার যমজ
বোন হিবার জন্ম দেন মহাজাবিন শেখ।
আদতে ভারতের হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা
মহাজাবিন তখন ছিলেন আমেরিকায়।
তেইশ বছরের মহাজাবিনের শারীরিক
সমস্যা দেখা দেয় অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়।
অস্ত্রোপচার করে তাঁ দুই মেয়ের
জন্ম হয়।
জন্মের সময় বড় মেয়ে রুমাইসার ওজন
ছিল মাত্র ২৪৪ গ্রাম, দৈর্ঘ্য সাড়ে নয়
ইঞ্চি। যেখানে আড়াই কেজির কম
ওজন হলেই নবজাতককে আন্ডারওয়েট
বলা হয়। আর ছোট মেয়ে হিবার ওজন
ছিল ৫৬৩ গ্রাম। দুজনকেই বেশ কদিন
ভেন্টিলেটরে থাকতে হয়। প্রায় ছয়
মাস তাদের চিকিৎসা চলে হাসপাতালে।
তারপর ফিরতে পারে বাড়িতে।
রুমাইসার আগে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম
নবজাতক ছিল ম্যাডেলিন মান। তারও জন্ম
হয়েছিল শিকাগোর লয়োলা হাসপাতালে।
জন্মের সময় ম্যাডেলিনের ওজন ছিল
২৮১ গ্রাম। পরবর্তী জীবনে স্কুল-
হাই স্কুল পার করে দিব্যি স্বাভাবিক জীবন
বোন হিবার সঙ্গে। কিছু দৈহিক সমস্যা
তো ছিলই। কিন্তু জীবনের পথে
এগিয়ে যেতে তা বাধা হয়ে দাঁড়াতে
পারেনি।