ক্রিকেট মাঠে অনেক বড় বড়
তারকাকেই দেখা যায় সুন্দরী বান্ধবী
বা স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হতে। এ
তালিকায় আছে অনেক বাংলাদেশি
খেলোয়াড়ের নামও। তবে এ
ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ‘কাটার মাস্টার’ খ্যাত
মুস্তাফিজুর রহমান। অভিষেকের পর
থেকেই নিজের বোলিং দিয়ে কোটি
মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন এই
তারকা বোলার। অল্প সময়ের মধ্যে
বিশ্বক্রিকেটে নিজের আসন
পাকাপোক্ত করলেও তাঁকে ঘিরে
এতদিন মেয়েবন্ধু সংক্রান্ত কোনো
আলোচনা ছিল না।
কিন্তু এ নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করল
ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। ইন্ডিয়ান
এক্সপ্রেস এবং কলকাতার আনন্দবাজার
গ্রুপের ট্যাবলয়েড পত্রিকা ‘এবেলা’
একটি মেয়ের সঙ্গে মুস্তাফিজের ছবি
ছেপে মেয়েটিকে তাঁর মেয়েবন্ধু
হিসেবে দাবি করেছে। এ ছাড়া ভারতের
বেশ কয়েকটি অনলাইনও এই বিষয়ে
খবর প্রকাশ করেছে।
‘মুস্তাফিজের সঙ্গে কে এই
মেয়েটি’ শিরোনামে আজ একটি
প্রতিবেদন প্রকাশ করে আনন্দবাজার
গ্রুপের পত্রিকাটি। যেখানে
রোমান্টিক সম্পর্ক খোঁজার চেষ্টা করা
হয়েছে। অনুমাননির্ভর ওই
প্রতিবেদনে তাঁকে মুস্তাফিজের
‘গ্রামের মেয়ে’ বলে উল্লেখ করা
হয়।
এনটিভি অনলাইনের অনুসন্ধানে জানা
গেছে, ছবির এই মেয়েটি
মুস্তাফিজের গ্রামের কোনো
মেয়ে নয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে
জেলা প্রশাসক এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার
সভাপতি আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের
নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল
কালীগঞ্জের তেঁতুলিয়ায় মুস্তাফিজের
বাড়িতে হাজির হন। একই সঙ্গে জেলা
ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে এক লাখ
টাকার চেক দেওয়া হয় আইপিএল-জয়ী
মুস্তাফিজকে।
সে সময় গ্রুপ ছবির পাশাপাশি মুস্তাফিজের
সঙ্গে এককভাবেও ছবি তোলেন
কেউ কেউ। মুস্তাফিজের সঙ্গে
এককভাবে ছবি তোলেন জেলা
প্রশাসকের মেয়েও। আর এই ছবিটা
নিয়েই প্রচার চালাচ্ছে ভারতের
সংবাদমাধ্যম।
এই ছবি প্রকাশ হওয়ার পরেই
মুস্তাফিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে শুরু
হয়ে গেছে চর্চা। তবে ‘ইন্ডিয়ান
প্রিমিয়ার লিগ’ (আইপিএল) কাঁপানো
মুস্তাফিজুর অবশ্য এ নিয়ে কোনো
মন্তব্য করেননি।
তবে এর আগেও যে মুস্তাফিজের
কিন্তু নয়। সর্বশেষ এশিয়া কাপের সময়
টাইগারদের অধিনায়ক মাশরাফি জানিয়েছিল,
মুস্তাফিজের অনেক ভক্ত থাকলেও
এখনো কোনো মেয়েবন্ধু নেই।
সে সময়ে ম্যাচ শুরুর আগে
টেলিভিশনে মাশরাফি ও মুস্তাফিজের
ব্যক্তিগত এবং ম্যাচ সংক্রান্ত কিছু বিষয়
নিয়ে খুঁটিনাটি আলোচনার একটি ভিডিওবার্তা
প্রকাশ হয়। সেই ভিডিওটিতে মজা করতে
করতে একপর্যায়ে মেয়েবন্ধুর
প্রসঙ্গটি সামনে চলে আসে। এই
প্রসঙ্গে মুস্তাফিজ কোনো কথা না
বলে শুধুই হেসেছেন এবং
হাসিয়েছেন সবাইকে। কিন্তু
মেয়েবন্ধু নিয়ে মুস্তাফিজের কাছ
থেকে কোনো কথাই স্পষ্টভাবে
প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।