Site icon Trickbd.com

রহস্য ভান্ডার | পর্ব -২৪ ~ ভীষণ ভয়ংকর ও বিচিত্র ৪ ধর্মীয়স্থান

Unnamed

পৃথিবীর আনাচে-কানাচে সাজানো
রয়েছে থোকায় থোকায় উপচে পড়া
সৌন্দর্যের মায়া। আর সেই মায়ার টানেই প্রতি
বছর
হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করেন রাস্তায়। নিজ নিজ
গন্তব্যে পৌঁছতে কেউ ধরেন সড়ক পথ,
কেউ
নৌ কিংবা আকাশ। তবে এ সবকিছুর মূলেই কিন্তু
রয়েছে সৌন্দর্যের সেই অমিয় সুধা পানের
ইচ্ছে। কিন্তু এমনটা আর কত? মাঝে মাঝে কি
ইচ্ছে করেনা একটু অন্যরকম কোন জায়গা
থেকে ঘুরে আসতে যেখানে রয়েছে
সৌন্দর্যের পাশাপাশি অদ্ভুত সব ব্যাপারের
মিশেল?

নিশ্চয়ই করে! কে না চায় জীবনের ভেতরে
খানিকটা উত্তেজনার মাত্রা যোগ করতে।
ধর্মীয় স্থানগুলোর মর্যাদা যার যার ধর্মের
কাছে অসীম। কিন্তু আমাদের চারপাশেই
রয়েছে এমন অনেক জায়গা, যেগুলোর
ধর্মীয় মূল্য থাকলেও তার সাথে যোগ
হয়েছে ভয়াবহতা! আর তাই এশিয়ার কিছু ভয়াবহ
আর
অদ্ভুত ঘুরে আসার মতন ধর্মীয় স্থান নিয়ে
করা
হল আমাদের আজকের এই আয়োজন।

১. ডোঙ্গু মন্দির, চীন

১৩১৯ সালে নির্মিত চীনের প্রাচীন এই
মন্দিরটি
যতটা না ধর্মস্থান বলে খ্যাত, ততটাই ভয়ংকরও।
এখানে প্রতিবছর পালিত হয় নানারকম অনুষ্ঠান। আর
এই অনুষ্ঠানের পরিমাণ বেশি হয় এ কারনেই যে
এই মন্দিরটি কোন সাধারণ মন্দির নয়। এটি
মানুষকে
তার ভবিষ্যত সম্পর্কে বলে দিতে পারে।
পুরো মন্দিরটিতে রয়েছে অনেক অনেক
রাস্তা ও ঘর। এর ভেতরে উল্লেখযোগ্য
হচ্ছে আশীর্বাদের রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে
সবাই
যাওয়ার চেষ্টা করে সবসময়। এর পাশাপাশি

রয়েছে খুশির রাস্তা, নরকের ৭২ টি ঘর এবং ১৫
রকমের ভয়ংকর মৃত্যুও! তবে ভয়াবহ এই
জিনিসগুলোর পাশাপাশি এখানে রয়েছে সহানুভূতি

দয়ার পাহাড়ও। কে জানে! বিপদে হয়তো
সেটাই
কাজে লাগে মানুষের।

২. গোয়া লাওয়াহ মন্দির, বালি

ভারতের বালিতে অবস্থিত এই গোয়া লাওয়াহ
মন্দিরের ভেতরে গেলে আপনি শুনতে
পাবেন হাজারটা চিত্কার। ভূতের চিত্কার নাকি? না না!
একদমই সেরকম নয়। তবে ভূতের চাইতে কম
ভয়ানক নয় চিত্কারের উত্স। গোয়া লাওয়াহ
শব্দটুর
অর্থ হচ্ছে – বাদুড়ের গুহা। আর ঠিক তাই গুহার
নামকরনের সার্থকতা প্রমাণ করতে হাজার হাজার
বাদুড়
বাস করে এখানে। মনে করা হয় একটা সময়
রাজাদের লোকোবার স্থান ছিল এটা। গুজব
বলে
গুহার ভেতরে কেবল বাদুড়ই নয়, রয়েছে
একটি
বিষধর সাপও। এই সাপের কাজ হচ্ছে সব
রোগের নিরাময় করার পানিকে পাহারা দেওয়া।
গুহার
ভেতরে সবসময় সেটাই করে সাপটি। আর
ক্ষুধা
পেলে বাইরে এসে টপাটপ বাদুড় খেয়ে
নেয়।

৩. ওয়াট ফুমিন, থাইল্যান্ড

থাইল্যান্ডের নানে অবস্থিত এই বৌদ্ধ বিহারটির
ভেতরে রয়েছে অনেক অনেক বৌদ্ধমূর্তি
আর অসাধারন সব চিত্র। হাতে আঁকা সেই
পুরোন
ছবিগুলো মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ছোট
ছোট সময়গুলোকেই ফুটিয়ে তুলেছে
নিঁখুতভাবে। তবে এটুকুই শেষ নয়। বিহারের
ভয়ংকর ব্যাপারটি হচ্ছে এর ভেতরে থাকা একটি
গম্বুক। যার ভেতরে ঢুকলে আপনি দেখতে
পাবেন মৃত্যু নিয়ে আঁকা নানারকমের চিত্র।
মৃত্যুর
পর কি হবে আমাদের? মোট ছয়বার জন্ম
নেবার

কথা বলা হয়েছে এখানে। রয়েছে জীবন্ত
গরম পানিতে ঢোবানো, গরম তেলে
চোবানো, পাখি দ্বারা গাছের সাথে বাঁধা এক
মহিলার
মাথার মাংস ঠুকরে ঠুকরে খাওয়ার চিত্রসহ আরো
অনেক চিত্র। যা দেখলে এক কথায় শিউরে
উঠতে হবে আপনাকে।

৪. হুয়াশান টিহাউস, চীন

না! কোন রকম নরকের কথা বলা হয়নি এখানে।
তবে সরাসরি নরকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাই
করেছে এই স্থানটি। হুয়াশানের এই পাহাড়টিতে
রয়েছে অনেক অনেক ধর্মীয় স্থান। আর
সেই সাথে আছে ৪৭৪ রকমের ঔষধি গাছ-
গাছড়া।
রাজারা প্রায়ই এখানে পূজা করতে আসতেন। এই
পাহাড়ের ওপরে বিধাতার হাতের ছোঁয়া
রয়েছে
বলেও মনে করেন অনেকে। পাহাড়ের
ওপরে রয়েছে আরেকটি ধর্মীয় নিদর্শন।
তবে সে পর্যন্ত যেতে হলে প্রথমে
একটি
সিঁড়িতে নামতে হবে আপনাকে। আর তারপর?
হঠাত্ করেই সিঁড়ি উধাও হয়ে যাবে। রেলিং
থাকবেনা, পাথরের খাঁজে খাঁজে পা ফেলে
উঠতে হবে উপরে। আর একবার যদি
সবরকমের
জামেলা সরিয়ে উপরে উটেও পড়েন
নেমে
আসতে কতটা সময় বা শ্রম লাগবে, আদৌ
নেমে
আসতে পারেন কিনা, সেটা আন্দাজ করাটা বেশ
কঠিনই বলা চলে!

» আরো অসংখ্য রহস্যময় খবর পরতে এখানে ক্লিক করুন।