Site icon Trickbd.com

রহস্য ভান্ডার | পর্ব – ২৭ ~ “জীবন্ত কবর” এর ভয়ংকর কাহিনী !মৃত্যুর কস্ট কি ভীষন তা জীবিত কোনো মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।

Unnamed

ট্রিকবিডির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পর্বভিত্তিক রহস্য মূলক টিউন করতে পেরে নিজের অনেক ভালো লাগছে। আমার লক্ষ্য এই চেইন টিউনের পর্বসংখ্যা ৫০০ পার করা। সবাই দুয়া করবেন।

মৃত্যুর কস্ট কি ভীষন তা জীবিত
কোনো মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব
নয়।

সাধারন এবং স্বাভাবিক মৃত্যু আমদের সবারই
কাম্য। কিন্তু তারপরও অনেককেই পেতে
হয়
অস্বাভাবিকতা। মৃত্যু পরবর্তী কাজ
হচ্ছে কবর দেয়া। কিন্তু আজব এ
পৃথিবীতে অনেক কিছুই ঘটে। ভুলবশত
জীবিত
অবস্হায় কবর দেয়া হয়েছে এমন কিছু
সত্যিকার কাহিনী নিয়ে পড়ুন।

ভার্র্জিনিয়া ম্যাকডোনাল্ড
১৮৫১,নিউইয়র্কঃ

অসুস্হ হয়ে মারা যাবার পর একে কবর
দেয়া হয়। কিন্তু তার মা বিশ্বাস
করতে পারছিলেন না যে ভার্র্জিনিয়ার মৃত্যু
হয়েছে। তাকে কেউই মানছিলেন না।
সবাইকে অন্তত একবার কবর খোঁড়ার জন্য
অনুরোধ করেন তিনি। অনেক চেস্টার
পরে কবর খোঁড়া হয়। মায়ের বিশ্বাসই ঠিক
হোলো! দেখা গেলো ভার্র্জিনিয়া
কবরে তার
কাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে এবং নিজের হাত
কামড়ে মাংস আলাদা করে ফেলেছে। তার
কবরে ভেতরে এভাবেই মৃত্যু হয়।

ম্যাডাম ব্লানডেন ১৮৯৬, ইংল্যান্ডঃ

মৃত্যুর পর তাকে একটা স্কুলের পাশে সমাহিত
করা হয়। পরদিন
স্কুলে ছাত্ররা আসলে কবরের ভেতর
থেকে গোঙানীর শব্দ শুনতে পায়।
সাথে সাথে কবর খুঁড়ে ব্লানডেনকে
বের
করা হয় এবং সে তখনই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ
করে। কবরের ভেতরে মৃত্যু যন্ত্রনায়
সে নিজের হাত ও মুখ আঁচড়ে শেয
করে ফেলেছিলো।

কলিনস ১৮৮৬, কানাডাঃ

এ মেয়েটাকে কবর দেয়ার কিছুদিন পরে
মৃতদেহ
অন্য জায়গায় সরানোর দরকার হয়। কবর
খুঁড়ে দেখা যায় কলিনস মৃত্যু যন্ত্রনায় তার
কাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে, তার হাঁটু থুতনীর
কাছে এনে রেখেছে এবং হাত দুটো
মাথার
পেছনে বাঁকা করে আটকে ফেলেছে।
জেনকিনস ১৮৮৫, নর্থ ক্যারোলাইনাঃ
অসুস্হ হয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় তার
এবং পুরো শরীর শক্ত হয়ে যাওয়ায় সবাই
ভেবেছিলো বোধহয় মারা গেছে
জেনকিনস।
তাকে কবর দেয়া হয়। একটা গুজবের
কারনে তার কফিন খোঁড়া হয়। লাশ বের
করে দেখা যায় জেনকিনস এর হাতে তার
ছেঁড়া চুল, তার নখে ও মুখে রক্তের দাগ।
আর
কফিনের গায়ে নখের আঁচড়। সম্ভবত মৃত্যু

যন্ত্রনায় সে নখ দিয়ে কফিনের গায়ে
আঁচড়
কেটে তা খুলতে চেয়েছিলো।

ম্যাডাম ববিন, ১৯০১, আফ্রিকাঃ

এনার মৃত্যুর মত ভয়ানক মৃত্যু
কারো হয়েছে কিনা তা মনে হয় না।
ইয়েলো ফিভারে আক্রান্ত ববিন ছিলেন
অন্তঃসত্বা। হঠাৎ ভীষন অসুস্হ হয়ে যাওয়ায়
তাকে মৃত ঘোষনা করে কবর দেয়া হয়।
এক
নার্সের কথায় ববিন এর বাবা তার কবর
খোঁড়ার ব্যবস্হা করে। যা দেখা যায়
তা বর্ণনাতীত। ববিনের কবরের মধ্যেই
বাচ্চা হয়েছে এবং দুজনেই ওখানেই মৃত্যু
বরন
করেছে।

আসুন সবাই স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য
প্রার্থনা করি।

সবাই কমেন্ট করবেন প্লিজ। আপনার একটি কমেন্ট এ পরবর্তি পর্ব লেখার আগ্রহ পাবো। ধন্যবাদ ।

» আরো অসংখ্য রহস্যময় খবর পরতে এখানে ক্লিক করুন।