যে কোনো মাসের নতুন চাঁদ, এমনকি রোজা ও ঈদের চাঁদ দেখার দোয়া: — এটি বাংলায় পড়া যাবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নতুন চাঁদ দেখলে এই দোয়া পড়তেন—
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আহল্লিহু আলাইনা বিলয়ুমনি ওয়াল ঈমান, ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলাম। রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য এই চাঁদকে সৌভাগ্য ও ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন। আল্লাহই আমার ও তোমার রব।
—জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৫১।
হাদিস শরীফে আছে—
তোমরা (রমজানের) চাঁদ দেখে রোজা শুরু করবে এবং (ঈদের) চাঁদ দেখেই রোজা ছাড়বে। যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় (এবং চাঁদ দেখা না যায়) তাহলে মাসের ৩০ দিন পূর্ণ করে। অর্থাত্ আকাশ পরিচ্ছন্ন না থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ করত রমজানের রোজা রাখা শুরু করবে।
—সহিহ বুখারি ১/২৫৬, হাদিস : ১৯০৬।
রমজানের চাঁদ উদিত হওয়া প্রমাণিত হলেই রোজা সবার জন্য জরুরি হবে। অর্থাত শাবানের ২৯ তারিখ দিবাগত সন্ধ্যায় চাঁদ উদিত হওয়া প্রমাণিত হলে পরদিন থেকে রোজা রাখতে হবে। নতুবা শাবানের ৩০ দিন পূর্ণ করার পর রোজা শুরু করবে।
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে এমন এক ব্যক্তির চাঁদ দেখাই যথেষ্ট, যার দ্বীনদার হওয়া প্রমাণিত অথবা বাহ্যিকভাবে দ্বীনদার হিসেবে পরিচিত। তা রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষিত হইলে রোজা শুরু হবে
—সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৪০।
আকাশ পরিষ্কার থাকলে একজনের খবর যথেষ্ট নয়; বরং এত বেশি সংখ্যক লোকের খবর প্রয়োজন, যার দ্বারা প্রবল বিশ্বাস জন্মে যে, চাঁদ দেখা গেছে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিসসালাম বলেছেন “যেদিন সবাই ঈদুল ফিতর পালন করবে সেইদিন ই ইদুল ফিতর, যেদিন সবাই ঈদুল আযহা পালন করবে সেইদিন ই ইদুল আযহা”।
কেননা যে বিষয়ে অনেকের আগ্রহ ও সংশ্লিষ্টতা থাকে তাতে দু’একজনের খবরের ওপর নির্ভর করা যায় না।
—রদ্দুল মুহতার ৩/৩৮৮।
কোনো ব্যক্তি একা চাঁদ দেখেছে, কিন্তু তার সাক্ষ্য গৃহীত হয়নি। এক্ষেত্রে তার জন্য ব্যক্তিগতভাবে রোজা রাখা উত্তম , জরুরি নয়। লিখেছেন—বাদায়েউস সানায়ে খন্ড২/২২১। এটি সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, মজলুম দেশে প্রযোজ্য।
♥ মুফতি দের মতামত = সুন্নাত তরিকা হলো চাঁদ দেখা টা রাস্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত ও ঘোষিত হতে হবে। তবে যে রাষ্ট্র ইসলামকেই খতম করে, মুসলিম দেখলেই বিপদে ফেলে, মুসলিম।পালিয়ে বেড়ায় সেখানে এটা প্রযোজ্য নয়। সেখানে নিজেরা রোজা রাখবে রাখবে।
শাবান মাসের ২৯ ও ৩০ তম দিন রোজা রাখবে না, রমজানের নিয়তেও নয়, নফলের নিয়তেও নয়। অবশ্য যে ব্যক্তি আগে থেকেই কোনো নির্দিষ্ট দিবসে (যথা—সোম ও মঙ্গলবার) নফল রোজা রেখে আসছে এবং ঘটনাক্রমে ২৯ ও ৩০ তারিখে ওইদিন পড়েছে তার জন্য এই তারিখেও নফল রোজা রাখা জায়েজ।
—রদ্দুল মুহতার ২/৩৮০।
হাদিস শরীফে আছে—
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা রমজান মাসের একদিন বা দুই দিন আগে থেকে রোজা রেখ না। তবে কারও যদি আগে থেকেই কোনো নির্দিষ্ট দিন রোজা রাখার অভ্যাস থাকে এবং ঘটনাক্রমে সে দিনটি ২৯ ও ৩০ শাবান হয় তাহলে সে ওইদিন রোজা রাখতে পারে।
—সহিহ বুখারি ১/২৫৬, হাদিস : ১৯১৪।
#প্রচারে : Readme2know