Site icon Trickbd.com

গুগল সার্চের সাত সতেরো ।

Unnamed

সার্চ ইঞ্জিন গুগল , সার্চের পাশাপাশি প্রযুক্তি বিশ্বে একটা বড় জায়গা দখল করে আছে। চালকহীন কার, স্মার্ট কন্টাক্ট লেনস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো ক্ষেত্রগুলোতে গুগল বলতে গেলে এক প্রকার নেতৃত্বই দিচ্ছে। সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রযুক্তির দুনিয়ায় নেতৃত্ব দেয়ার পথে গুগলকে অনেকগুলো ধাপ পেরোতে হয়েছে। পড়তে হয়েছে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে।
গুগল সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠার পর এটির হোম পেইজটি ছিল নিচের ছবির মতো। ছবিটি ১৯৯৭ সালে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের হোম পেইজের।
১৯৯৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে গুগল সার্চ ইঞ্জিন। সে সময় প্রতিদিন গড়ে পাঁচ লাখ বার গুগল সার্চ করতেন ব্যবহারকারীরা। আর বর্তমানে প্রতি সেকন্ডে ২৩ লাখ বার সার্চ করা হয়। এ হিসেবে প্রতি মাসে সার্চ হয় প্রায় এক হাজার কোটি বারেরও বেশি। প্রতি সেকেন্ডের ৮ ভাগেরও কম সময়ের মধ্যে গুগল সেরা ২০০ সার্চ রেজাল্ট দিতে সক্ষম।
গুগলের প্রতি মানুষ অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এই নির্ভরশীলতা এতই বেশি যে, ২০১৩ সালে মাত্র ৫ মিনিটের জন্য গুগলের সার্ভার বন্ধ ছিল। সে সময় বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহার কমে গিয়েছিল ৪০ শতাংশ।
১০০ মিলিয়ন গিগাবাইটের বেশি ডাটা গুগল সার্চ ইনডেক্সে রয়েছে। এক লাখ ব্যক্তিগত ডাটা (প্রতিটি এক টেরাবাইটের) ধারণ করতে সক্ষম গুগল।
গুগল সম্পর্কে সবচেয়ে মজার তথ্য হচ্ছে, গুগলের প্রায় ৬৯ শতাংশ ব্যবহারকারী ঠিকমতো গুগল বানানটি লিখতে পারেন না। ব্যবহারকারীদের ভুল বানানের কারণে গুগল Gooogle.com, Gogle.com, Googlr.com, 466453.com সহ বেশ কয়েকটি ডোমেইন চালু করেছে।
amount-of-data

গুগল তার পণ্যগুলো তৈরি করে বিশ্বজুড়ে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষকে টার্গেট করে।
২০১৫ সাল থেকে গুগলের সার্চের প্রায় অর্ধেক করা হয়েছে মুঠোফোন থেকে।
এই ঠিকানা থেকে আপনার গুগল ব্যবহারের বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। এটি অনেকটা আর্কাইভের মতো গুগলে আপনার বিভিন্ন সময়ের সার্চের বিষয়গুলো সংরক্ষণ করে রাখে।
গুগলের আয়ের সবচেয়ে বড় অংশটি আসে বিজ্ঞাপন থেকে। ২০১৫ সালে গুগলের মোট রাজস্ব আয়ের ৯০ শতাংশ এসেছে বিজ্ঞাপন থেকে।
Exit mobile version