Site icon Trickbd.com

অনলাইনে নিরাপদ থাকার উপায় জানাল ডিএমপি

Unnamed


বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা
করে সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে
ফেসবুক ব্যবহারে নির্দেশনা ও
ঝুঁকি এড়াতে দরকারি পরামর্শ
দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনী। এ ছাড়া কিছু তথ্য
শেয়ার করা মোটেই উচিত নয়।

ডিএমপির নির্দেশনা
৬ জুলাই পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে,
‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম
ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব
ইত্যাদিতে জঙ্গিবাদ সমর্থনে
কোনো ধরনের ভিডিও, ছবি,
বার্তা আপলোড, শেয়ার, কমেন্ট
অথবা লাইক দেওয়া আইনত
দণ্ডনীয় অপরাধ।’

এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত
থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ
করেছে পুলিশ। কেউ যদি এ ধরনের
ভিডিও, ছবি বা বার্তা
আপলোড, শেয়ার, কমেন্ট
কিংবা লাইক দেয়, তাহলে তার
বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা
নেওয়া হবে বলেও
বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করা হয়েছে।
আট তথ্য শেয়ার করবেন না
নিরাপত্তার জন্য ফেসবুক
কিংবা অন্যান্য সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত
তথ্য শেয়ার না করার পরামর্শ
দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ
(ডিএমপি)।

১৩ জুলাই ডিএমপির
ফেসবুক পেজে এক পোস্টের
মাধ্যমে আট ধরনের তথ্য প্রকাশ
না করার ব্যাপারে নির্দেশনা
দেওয়া হয়।

আটটি বিষয়ে সচেতন থাকলে
ঝুঁকি এড়ানো যাবে :

১। জন্ম তারিখ

নিজের সম্পূর্ণ জন্ম তারিখ
ফেসবুকে উন্মুক্ত রাখা অনিরাপদ।
তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে জন্ম তারিখ
জানা থাকলে অনেক সময়
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়া
সহজ হয় হ্যাকার বা অপরাধীদের।

২। সন্তানের একাডেমিক বা
পড়াশোনার তথ্য

অনেক অভিভাবক সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের
সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
নাম ও অন্যান্য তথ্য শেয়ার করেন।
এতে শিশু অপহরণের শঙ্কা থাকে।

৩। সন্তানের ছবি

সন্তানদের ছবি পোস্ট করা
অভিভাবকদের ক্ষেত্রে খুব কমন

বিষয়। এ ক্ষেত্রে শিশুদের
পরিচিতি জেনে কেউ অপহরণ
কিংবা অন্য কোনোভাবে
বিপদে ফেলার ফন্দি করতে
পারে। ৪। বর্তমান অবস্থান

যেখানে-সেখানে সেলফি
তুলে লোকেশন ট্যাগ করে
দেওয়াটা অনিরাপদ। এর মাধ্যমে
যে কেউ আপনার সর্বশেষ অবস্থান
জানতে পারে। ফলে
নিরাপত্তাঝুঁকি বাড়ে। দেখা
গেল, আপনার অবস্থান জেনেই
শত্রুপক্ষ আপনার ক্ষতি করতে
পারে।

৫। ভ্রমণের স্থান ও দিনক্ষণ

কখন, কোথায় ভ্রমণে বের হচ্ছেন,
তা অনেকেই ফেসবুকে জানিয়ে
দেন। এটি অনেক ক্ষেত্রে
নিরাপদ নয়। কেউ এসব তথ্য জেনে
ক্ষতি করতে পারে।

৬। নির্দিষ্ট স্থান ট্যাগ

ফেসবুকে নিজের অবস্থানের
নির্দিষ্ট স্থান ট্যাগ করেন
অনেকেই। ফলে আপনি কখন
কোথায় আছেন, তা অন্যরা
সহজেই জানতে পারবে। এভাবে
আপনার অবস্থানের তথ্য জেনে
পরবর্তী সময়ে কেউ আপনার ক্ষতি
করতে পারে। তাই ফেসবুকে
লোকেশন ট্যাগ করা নিরাপদ নয়।

৭। ফোন বা মোবাইল নম্বর

অনেকেই মোবাইল কিংবা ফোন
নম্বর ফেসবুকে উন্মুক্ত রাখেন।
এটি অনিরাপদ। মোবাইল নম্বর
শত্রুপক্ষের বেহাত হওয়ার
পাশাপাশি কেউ আপনার নম্বরে
অপ্রয়োজনে বা অসময়ে বিরক্ত
করার সুযোগ পাবে। পরিচিত বা
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া কাউকে
মোবাইল নম্বর দেওয়া উচিত নয়।

৮। ক্রেডিট কার্ডের তথ্য

ক্রেডিট কার্ডের কোনো তথ্য
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
দেওয়া নিরাপদ নয়। যদি
অনলাইনে জরুরি প্রয়োজনে
ক্রেডিট কার্ডের তথ্য প্রবেশ
করাতে হয়, সে ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত
প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইট না
হলে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
আরো কিছু বিষয় জেনে রাখুন
ফেসবুকে এসব তথ্য শেয়ার না
করার পাশাপাশি প্রোফাইলে
কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উন্মুক্ত
অবস্থায় দেওয়া আছে কি না
খেয়াল করুন।

জন্ম তারিখ,
মোবাইল নম্বর কিংবা অন্যান্য
ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত থাকলে তা
‘অনলি মি’ করতে ফেসবুকের বাঁ
দিকে ‘এডিট প্রোফাইল’-এ ক্লিক
করুন। প্রোফাইলে গিয়ে
‘অ্যাবাউট’ ক্লিক করলেও তথ্য

লুকানো কিংবা মুছে ফেলার
অপশন আসবে। ওভারভিউ, কনটাক্ট
অ্যান্ড বেসিক ইনফো, ফ্যামিলি
অ্যান্ড রিলেশনশিপ ইত্যাদি
অংশের যে তথ্যটি লুকাতে বা
মুছতে চান, সেটির ওপর মাউস
রেখে ‘এডিট’ ক্লিক করে
পরিবর্তন করা যাবে।
ব্যক্তিগত ছবি নয়
ভুলেও নিজেদের ব্যক্তিগত
সম্পর্কের ছবি ফেসবুকে পোস্ট
করবেন না। কারণ তা মুহূর্তেই
ছড়িয়ে যাবে। আর ফেসবুকে
ফ্রেন্ডলিস্টের সবাইকে ‘বন্ধু’ বা
কাছের মানুষ ভাবাও ভুল।

এই
সোশাল বা পাবলিক
প্ল্যাটফর্মে নিজের ব্যক্তিগত
বিষয়গুলো উন্মুক্ত না করাই
ভালো।
সবাই বন্ধু নয়
ফেসবুকে বেশি বন্ধু মানে
পরিচিতির পাশাপাশি লাইক-
শেয়ারও বেশি বেশি। এসব
ভেবে কেউ আবার ফ্রেন্ড
রিকোয়েস্ট পাওয়ার সঙ্গে
সঙ্গে যাচাই-বাছাই না করে
অ্যাকসেপ্ট করেন। অন্তত
পরিচিতি বা টাইমলাইন দেখে
সুবিধার মনে না হলে
অ্যাকসেপ্ট করা ঠিক হবে না।
অ্যাকাউন্ট ক্লোন থেকে
সাবধান

একজনের ফেসবুক আইডি অন্যজন
ক্লোন করতে পারে- এ বিষয়ে
সম্প্রতি সতর্কতামূলক বিভিন্ন
পোস্ট বেশি দেখা যাচ্ছে।
এটি অসম্ভব কিছু নয়। তাই সতর্ক
থাকাই ভালো। যদি কারো নাম
ও ছবি ব্যবহার করা ডুপ্লিকেট
আইডি চোখে পড়ে, তাহলে আসল
ব্যক্তিকে এ ব্যাপারে
জানানোর পাশাপাশি ভুয়া
আইডির ব্যাপারে ফেসবুকে
রিপোর্ট বা অভিযোগ করুন।
আইডিতে গিয়ে ডান দিকের
মেন্যুতে ক্লিক দিলেই
‘রিপোর্ট’ অপশন পাওয়া যাবে।

ধন্যবাদ


তথ্য প্রযুক্তি সেবায়, আপনাদের পাশে।

…♦ ♦…(ফেসবুকে আমি)..♦…♦.