আইপিএল-এর পর এবার কাউন্টি
মাতাচ্ছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সাসেক্সের হয়ে
কাউন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে ৪ ওভার
বোলিং করে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে
নিয়েছেন তিনি। একে একে শিকার করেছেন রবি
বোপার, রায়ান টেন ডেশকাটে, জেমস ফস্টার ও
ক্যালাম টেইলরের উইকেট। এদিন দুর্দান্ত একটি
ক্যাচও নিয়েছেন বাংলাদেশের এই বিস্ময় বালক।
দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে কাউন্টি অভিষেকে
পেয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টায় শুরু হওয়া ম্যাচে
মুস্তাফিজের দল সাসেক্সের দেওয়া ২০১ রানের
টার্গেটে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮
উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়
এসেক্স। ফলে ২৪ রানের জয় তুলে নেয় সাসেক্স।
সাসেক্সের দেওয়া ২০১ রানের টার্গেটে নেমে
ভালোই শুরু করে এসেক্স। ৫ ওভারে ১ উইকেট
হারিয়ে ৫০ রান তুলে ফেলে এসেক্স। যখন রানের
চাকা থামানোর প্রয়োজন তখনই মুস্তাফিজকে
বোলিংয়ে আনেন লুক রাইট। ইনিংসের ষষ্ঠ ও
নিজের প্রথম ওভারে বোলিং করতে এসে নিজের
এরপর ষোলোতম ওভারে মুস্তাফিজ বোলিংয়ে
আসেন। এসেক্সের তখন প্রয়োজন ৩০ বলে ৬৮ রান।
হাতে ছয় উইকেট। ২৬ বলে ৩২ রান করা রবি
বোপারা কেবল ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন। নিজের
দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে বোপারাকে লুক
রাইটের হাতে ক্যাচে পরিণত করেন মুস্তাফিজ।
কাউন্টিতে নিজের প্রথম উইকেটটি তুলে নেন
তিনি। ওই ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে একটি উইকেট
নেন দ্য ফিজ।
নিজের তৃতীয় ও দলের আঠারোতম ওভারে বোলিং
করতে আসেন মুস্তাফিজ। প্রথম বলে তাকে ছক্কা
মারে রায়ান টেনডেশকাটে। ওই ওভারের তৃতীয়
বলেই জেমস ফস্টারকে বোল্ড করেন মুস্তাফিজ।
ওভারের শেষ বলে ক্যালাম টেইলরকে বোল্ড করেন
কাটার মাস্টার। ৩ ওভার শেষে তার বোলিং
ফিগার ১৩ রানে বিনিময়ে ৩ উইকেট।
নিজের ও ইনিংসের শেষ ওভারে বোলিং করতে
এসে দ্বিতীয় বলে টেনডেশকাটে (২২ বলে ২৬)
তিমল মিলসের হাতে ক্যাচে পরিণত করেন
মুস্তাফিজ। ৪ ওভার শেষে মুস্তাফিজের বোলিং
ফিগার ২৩ রানে ৪ উইকেট। ওভার প্রতি ৫.৭৫ রান
দিয়ে তিনিই সাসেক্সের সেরা বোলার।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এসেক্সের
বিপক্ষে সাসেক্স সংগ্রহ করে ২০০ রানের বিশাল
রাইট মিলে ৫ ওভারেই তুলে ফেলে ৪৩ রান। এ সময়
১৬ বলে ২৫ রান করে ক্রিস ন্যাশ আউট হয়ে যান।
এরপর ফিলিপ সল্টকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়ে
সাসেক্সকে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখান লুক রাইট।
যদিও ২৪ বলে ৩২ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। ১৯
বলে ৩৩ রান করেন সল্ট। সর্বোচ্চ ২১ বলে ৪৫ রানে
অপরাজিত থাকেন ক্রিস জর্ডান। ১টি বাউন্ডারির
সঙ্গে ৫টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ২৪ রান করেন
রস টেলর।
মূলত কেউ বড় স্কোর না করলেও
মাঝারিমানের কয়েকটি স্কোরের কারণেই রানের
৬ উইকট হারিয়ে পাহাড়ে চড়েছে সাসেক্স। পরে
মুস্তাফিজের বোলিং তোপে জয় তুলে নেয়
সাসেক্স।