ইনডিপেনডেন্টঃকম্পিউটারের উজ্জ্বল পর্দার দিকেতাকিয়ে অনেক বেশি সময় কাটাচ্ছে এযুগের মানুষ। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছেতাদের চোখে।অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরের একদলবিজ্ঞানী এক গবেষণার ভিত্তিতে এবিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন,বিশ্বের অর্ধেক মানুষ চলতি শতকেরমধ্যভাগে দৃষ্টিক্ষীণতায় (মাইওপিয়া)আক্রান্ত হতে পারে।অপথালমোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিতওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, এখনকাছের বস্তু বা দৃশ্য দেখার কাজেচোখের ব্যবহার হচ্ছে তুলনামূলকভাবেঅনেক বেশি। প্রায় সব বয়সী মানুষকম্পিউটার ও স্মার্টফোনের মতোযন্ত্রের পর্দায় নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ নিমগ্নথাকে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছেতাদের চোখে।তাই ২০৫০ সালের মধ্যে এই গ্রহের ৫০শতাংশ মানুষই চোখে চশমা বা কনট্যাক্টলেন্স নিতে বাধ্য হবে। আর জনসংখ্যার১০ শতাংশ গুরুতর মাইওপিয়া রোগেআক্রান্ত হবে।অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবস্থিত নিউসাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রায়ানহোল্ডেন ভিশন ইনস্টিটিউট এবংসিঙ্গাপুর আই রিসার্চ ইনস্টিটিউটেরগবেষকেরা লিখেছেন, ভবিষ্যৎদৃষ্টিক্ষীণতার জন্য পরিবেশগত কিছুকারণও দায়ী। যেমন পড়াশুনার অত্যধিকচাপ—বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, কোরিয়া,তাইওয়ান ও চীনের শিশু-কিশোর-তরুণদেরওপর।চীনে কিশোর বয়সী প্রতি ১০ জনের ৯জনই দৃষ্টিক্ষীণতায় আক্রান্ত বলে ধারণাকরা হয়। আর দক্ষিণ কোরিয়াররাজধানী সিউলে এই সমস্যার হার আরওবেশি। সেখানে ১৯ বছর বয়সীদের মাত্রসাড়ে ৩ শতাংশ সুস্পষ্টভাবে দেখতেপায়। ইউরোপে প্রায় ৫০ শতাংশকিশোর-তরুণ মাইওপিয়ায় আক্রান্ত। অথচতাদের মা-বাবার প্রজন্মেই ওই বয়সীদেরদৃষ্টিক্ষীণতার হার ছিল ২৫ শতাংশেরকিছু কম।প্রতিবেদনটির অন্যতম লেখক ও ব্রায়ানহোল্ডেন ভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধাননির্বাহী অধ্যাপক কোভিন নাইডু বলেন,শিশুদের চোখ প্রতিবছর নিয়মিতপরীক্ষা করাতে হবে। আর তাদের ভবিষ্যৎদৃষ্টি-সমস্যার ঝুঁকি এড়াতে ঘরের বাইরেবেশি সময় কাটানো এবং যান্ত্রিকপর্দায় একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার সময় কমানোর মতো কৌশল নেওয়া যেতেপারে।