ফ্রি মেসেজিং অ্যাপের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। স্মার্টফোন আছে কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ নেই এমন
মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সবাই তো হোয়াটসঅ্যাপ
করছেন কিন্তু কখনো কী হোয়াটসঅ্যাপের
শর্তাবলী অর্থাৎ টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস পড়ে
দেখেছেন? হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের নিয়মনীতি
ভঙ্গ করলে হোয়াটসঅ্যাপ কৃর্তপক্ষ আপনার
অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করতে পারে,
সতর্কতামূলক নোটিশ পাঠাতে পারে কিংবা চিরতরে
ব্লক করে দিতে পারে।
জেনে নিন হোয়াটসঅ্যাপের কয়েকটি টার্মস
অ্যান্ড কন্ডিশনস, যেগুলো ভাঙলে হারাতে
পারেন আপনার প্রিয় হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি-
১. বহুসংখ্যক অচেনা মানুষকে একসঙ্গে এক বা
একাধিক মেসেজ পাঠালে যারা আপনার পরিচিত নন, তিনি
পারেন এবং আপনার বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপে
রিপোর্ট করবেন, এটাই স্বাভাবিক। এরকম একটানা
চলতে থাকলে হোয়াটস অ্যাপ কর্তৃপক্ষ আপনার
অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিতে পারে।
২. একসঙ্গে বেশ কিছু ইউজার আপনাকে ব্লক
করলে অথবা আপনি আপত্তিকর মেসেজ পাঠাতে
থাকলে, মেসেজ প্রাপকরা আপনাকে ব্লক করে
দেবে। বিষয়টি অবধারিতভাবেই হোয়াটস অ্যাপ
কর্তৃপক্ষের নজরে পড়লে তারাও আপনার
অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিতে পারে।
৩. অচেনা মানুষদের নিয়ে বহুসংখ্যক গ্রুপ:
গ্রুপ আপনি বানাতেই পারেন, কিন্তু নিশ্চিত হয়ে নিন
যে, যাদের আপনি গ্রুপে অ্যাড করছেন তাদের
কনট্যাক্ট লিস্টে যেন আপনার হোয়াটসঅ্যাপ
নম্বরটি থাকে।
৪. একই মেসেজ অনেক জনকে পাঠালে:
এই ধরনের মেসেজকে গুজব ছড়ানো মনে
করতে পারে হোয়াটস অ্যাপ কর্তৃপক্ষ। ফলে
৫. ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস ছড়ালে:
ম্যালওয়ার বা ভাইরাসের লিংক কিংবা হিংসাত্মক জিনিস ছড়ালে,কোনো ধর্মের প্রতি বিদ্বেষমূলক কিংবা পর্নো
ছবির মেসেজ পাঠালে।
৬. মেসেজিংয়ের মাধ্যমে কাউকে বিরক্ত করলে: যিনি আপনার মেসেজে বিরক্ত বোধ করছেন তিনি অনিবার্যভাবেই আপনার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করবেন হোয়াটসঅ্যাপে। পরিণামে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
সৌজন্য – আমার -সাইট :TipsAdd.Com
😀