আপনি যদি আইফোন ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই জানেন, এর মধ্যে অসংখ্য চমৎকার ফিচার রয়েছে।
আপনি হয়ত এখনও সবগুলো ব্যবহার করেননি, আবার সবগুলো ফিচারের সন্ধানও হয়ত পাননি।এই পোস্টে আমি আপনাদের আইফোনের কিছু কম-পরিচিত ফিচার বলবো, যেগুলো আইফোন ব্যবহারকারীদের বেশ কাজে দেবে।
১. কাস্টম ভাইব্রেশন
এই ফিচারটির মাধ্যমে আপনি আইফোনে পছন্দানুযায়ী ভাইব্রেশন এলার্ট তৈরি করে নিতে পারেন। এসব অ্যালার্ট পরবর্তিতে নোটিফিকেশন কিংবা যেকোনো কন্টাক্টের ইনকামিং ফোন কলের অ্যালার্ট হিসেবে সেট করা যাবে। কাস্টম ভাইব্রেশনের সুবিধা হচ্ছে, আপনি রিংটোন না শুনেও শুধুমাত্র ভাইব্রেশন অনুভব করেই বুঝতে পারবেন কোন নম্বর থেকে ফোন আসছে কিংবা কীসের নোটিফিকেশন এসেছে। কাস্টম ভাইব্রেশন তৈরি করতে আইফোনে নিম্নোক্ত অপশনগুলো ওপেন করুনঃ
সেটিংস > সাউন্ডস > রিংটোন > ভাইব্রেশন > ক্রিয়েট নিউ ভাইব্রেশন
এবার স্ক্রিনে টাচ করে করে ভাইব্রেশনের ধরণ রেকর্ড করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি পরপর দুইবার স্ক্রিন টাচ করলে ভাইব্রেশন অ্যালার্টেও পরপর দুইবার মোবাইল ভাইব্রেট করবে। এভাবে আপনার কাস্টম ভাইব্রেশনটি সেইভ করে নিন।
২. কিবোর্ড শর্টকাট
আইফোনে মেসেজ কিংবা অন্য কিছু লেখার সময় আপনি কিছু শর্টকোড ব্যবহার করে অল্প টাইপ করেই অনেক বেশি কিছু লিখে ফেলতে পারেন। যেমন, শর্টকাটে আপনি BD লিখলে স্ক্রিনে Bangladesh লেখা হয়ে যাবে। এজন্য আইফোনের টেক্সট রিপ্লেসমেন্ট ফিচারটি ব্যবহার করতে হবে।
প্রথমেই নিম্নোক্ত অপশন ওপেন করুনঃ
সেটিংস > জেনারেল > কিবোর্ড > টেক্সট রিপ্লেসমেন্ট
এরপর স্ক্রিনের উপরের দিকে ডান কোণায় থাকা + চিহ্নে ক্লিক করুন। এরপর যে স্ক্রিন আসবে, সেখানে Phrase এর ঘরে বড় লেখাটি (উদাহরণস্বরূপঃ Bangladesh ) এবং Shortcut এর ঘরে শর্টকাট লেখাটুকু (উদাহরণস্বরূপঃ BD ) দিয়ে সেইভ করুন। পরবর্তীতে আপনি যখনই ঐ শর্টকাট টাইপ করবেন, তখন Phrase এর ঘরে দেয়া লেখাগুলো চলে আসবে।
৩. ডিফল্ট অ্যাপ হাইড করা
অ্যাপল আপনার আইফোনে ৩০টির মত অ্যাপ ইনস্টল করে দেয় যা আপনি ডিলিট করতে পারবেন না। এগুলো আপনার স্ক্রিনের জায়গা দখল করে, যা হয়ত আপনি পছন্দ নাও করতে পারেন। আপনি চাইলে কিছু অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ হাইড করে রাখতে পারেন। এজন্য নিম্নোক্ত অপশন ওপেন করুনঃ
সেটিংস > জেনারেল > রেস্ট্রিকশনস > এবানল রেস্ট্রিকশনস >
এ পর্যায়ে আপনার পাসকোড চাইবে। সেখানে পাসকোড দিন।
এরপর প্রি-ইনস্টলড অ্যাপ লিস্ট দেখাবে। অ্যাপের নামের ডানপাশে সবুজ চিহ্নিত বাটন প্রেস করে বাটনটি ‘অফ’ মুডে নিয়ে যান (অর্থাৎ আনচেক করুন)। এভাবে আপনার অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ হাইড করে রাখতে পারেন।
আর যেকোনো প্রয়জনে ফেসবুকে আমি।