Site icon Trickbd.com

লিনাক্স কী, কেন, কিভাবে…? [পর্ব-০১]

লিনাক্স ও মুক্ত সফটয়্যারের দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম। এতো পোস্টের ভিরে আপনি এই পোস্টটি পড়ছেন মানে আপনিও লিনাক্স ব্যাবহারের পথে অর্ধেক এসে পরেছেন।

মুক্ত সফটয়্যার আন্দোলন, সে থেকে বর্তমান লিনাক্স আর এর ইতিহাস নিয়ে লিখা শুরুকরলে অনেক দিন পার হয়ে যাবে কিন্তু লিখা শেষ হবেনা। তবে যেহেতু আমার এই সিরিজ পোস্টের উদ্দেশ্য সবাইকে লিনাক্স সম্পর্কে জানানো আর তা ব্যবহারে উৎসাহিত করা তাই আমি অতো গভীরে না গিয়ে সরাসরি তিনটা প্রশ্ন রেখেই পোস্টের নাম শুরু করলাম।

এক লিনাক্স কি, দুই লিনাক্স কেনো ব্যবহার করবো আর তিন কিভাবে শুরু করবো।

আমি চেস্টা করবো তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যেনো তিনটি পোস্টেই এই সিরিজ শেষ করতে পারি। তাহলে শুরু করা যাক…

লিনাক্স কীঃ সহজে আমরা লিনাক্স বলতে বুঝি একটা অপারেটিং সিস্টেম। আসোলে লিনাক্স কিন্তু কোনো অপারেটিং সিস্টেম না। লিনাক্স কী তা বুঝতে হলে আমাদের প্রথমে বুঝতে হবে অপারেটিং সিস্টেম কি জিনিস।

অপারেটিং সিস্টেমঃ অপারেটিং সিস্টেম কিন্তু নিজেই একটা সফটয়্যার। অপারেটিং সিস্টেম নিজে এমন একটা সফটয়্যার যা ব্যবহারকারীকে তার কম্পিউটারে বিভিন্ন সফটয়্যার চালানোর পরিবেশ তৈরি করে। কম্পিউটার হলো আসোলে একটা যন্ত্র। সেই যন্ত্র ব্যবহারকারীর জন্য উপযুক্ত করে তোলাই অপারেটিং সিস্টেমের কাজ।

কার্নেলঃ অপারেটিং সিস্টেমের পরে যে জিনিশটা আমদের বুঝতে হবে তা হলো কার্নেল। একটা অপারেটিং সিস্টেমের যেই অংশটি সরাসরি হার্ডওয়ারের সাথে সংযোগ স্থাপন করে তাকে কার্নেল বলে। প্রধানত কার্নেল দুই প্রকারের হয়ে থাকে। মনোলিথিক আর মাইক্রো কার্নেল। মনোলিথি কার্নেলে অপারেটিং সিস্টেমের সকল কোড কার্নেল স্পেসে সম্পাদনা করে আর মাইক্রো কার্নেলে তা ইউজার স্পেসে সম্পাদিত হয়। আর এই দুই সুবিধার সমন্ময় করে তৈরি করাহয় হাইব্রিড কার্নেল। তবে কার্নেলকে আরো কয়েকভাগে ভাগ করা যায়।

লিনাক্স কার্নেলঃ শুরুতেই বলেছিলাম লিনাক্স কোনো অপারেটিং সিস্টেম না। লিনাক্স আসোলে হলো একটা কার্নেল। হাইব্রিড কার্নেল। লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করে সাথে ইউজার ইন্টারফেস আর বিভিন্ন ইউজার সফটয়্যার যুক্ত করে অনেক অপারেটিং সিস্টেম পাওয়াযায় ইন্টারনেটে, এদের সাধারণত বলে লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম।

বর্তমান লিনাক্সের বেশকিছু বৈশিষ্ট জেনে নেয়া যাক এইবারঃ

এইসব বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিস্তারিত কিছু আর লিখছিনা। আপনারা আগ্রহী হলে একটু ইন্টারনেটে খোজাখোজি করলেই পেয়ে যাবেন অথবা কমেন্টে জানাবেন।

এর ডেভেলপার কারাঃ Linus Torvalds হলো লিনাক্সের প্রথম ডেভেলপার আর এর স্বপ্নদ্রষ্টা। ওপেন সোর্স হওয়ায় বর্তমানে হাজার হাজার প্রোগ্রামার, হ্যাকার আর টেক কোম্পানি প্রতিনিয়ত বিনা পারিশ্রমিকে একে সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র ডেভেলপার ছাড়া লিনাক্সের পেছনে বর্তমানে ইন্টেল, রেডহ্যাট, গুগল, আইবিএম, এএমডি, ওরাকল, এনভিডিয়া, হুইয়ায়ের মতো জায়ান্ট কোম্পানী।

আমি যদি বলি বর্তমানের জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম কী? সবাই এক বাক্যে বলবে এন্ড্রয়েড। এই এন্ড্রয়েডও হলো লিনাক্সের একটা সংস্করণ যাকে মোবাইল, ট্যাবলেট জাতীয় ডিভাইসে চালানোর উপযোগী করে তৈরী করে নিয়েছে গুগল।

আজ আর না, পরবর্তী পর্ব গুলিতে থাকছে লিনাক্স আপনি কেন ব্যাবহার করবেন আর শুরুটা করবেন কিভাবে তা নিয়ে বিস্তারিত। পোস্টটি কেমন হয়েছে তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেননা।

 

আমি Fourkanul Islam Mobin

Facebook

Mail: mobin.fim9@gmail.com

Exit mobile version