বন্ধুরা,
হয়তো ভাবছেন,আমি নিশ্চয়ই ওল্টা পাল্টা বলছি।
কিন্তু…না
একটু মন দিয়ে আমার লেখাটা পরেন…
“জন্ম নিলে মৃত্যু অনিবার্য”
হ্যা , কথাটি আমার অস্তিত্বের মতই চিরন্তন সত্য।
পৃথিবীর সকল জীবকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।
তাহলে কেন আমার এই লেখা!
কারণটা নিচে……
মানুষসহ সকল প্রকার জীবের স্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ,,একটা সময় শরীরের কোষ উৎপাদনক্ষমতা কমে যায়,এর ফলে মানুষ বুড়ো হয়।এভাবে একটা সময় পর কোষের কার্যক্ষমতা এবং কোষ পুনঃউৎপাদন একেবারে থেমে যাই।তখন স্বাভাবিকভাবে জীবের মৃত্যু হয়।
কিন্তু Hydra-হাইড্রা নামক একটি জীব রয়েছে যার এই ধরণের প্রতিবন্ধকতা নেই।
চলুন জেনে নিই Hydra এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
হাইড্রা ক্ষুদ্রাকৃতি স্বাদুপানির প্রাণীর। নিডারিয়া পর্বের হাইড্রোজোয়া শ্রেণীর অন্তর্গত।
হাইড্রার প্রকৃত আবিস্কারক আব্রাহাম ট্রেম্বলে (Abraham Trembley, ১৭০০-১৭৮৪ খ্রীস্টাব্দে)।
ক্যারোলাস লিনিয়াস এর নাম দেন হাইড্রা।
হাইড্রা একটি বহুমস্তকবিশিষ্ট কাল্পনিক গ্রিক দৈত্যের নাম। দৈত্যের মাথা কাটলে তার বদলে দুই বা তার বেশি মাথা গজাতো।
হাইড্রা ঐ দৈত্যের মতো হারানো বা ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পুনরায় সৃষ্টি করতে পারে, তাই অনেক সময় বহু মাথাওয়ালা সদস্য আবির্ভূত হয়।
দেখতে হাইড্রা সেই দৈত্যের মতো।
হাইড্রা মুক্তজীবি। এরা মিঠাপানিতে নিমজ্জিত কঠিন বস্তু এবং জলজ উদ্ভিদের পাতার নিচের তলে সংলগ্ন থেকে নিম্নমখী হয়ে ঝুলে থাকে। এরা মাংশাসী।
কর্ষিকার সাহায্যে খাদ্য গ্রহণ করে।
চলাফেরা করে দেহের সংকোচন-প্রসারণও কর্ষিকার সাহায্যে। ব্যাপন প্রক্রিয়ায় শ্বসন ও রেচন সম্পন্ন করে।
মুকুলোদগম ও দ্বিবিভাজনের সাহায্যে অযৌন জনন এবং জনন কোষ সৃষ্টি করে যৌন জনন সম্পন্ন হয়।
হাইড্রা-র পুনরুৎপত্তি ক্ষমতা প্রচন্ড।
কি এই ক্ষমতা ?
যখন কোন বাহ্যিক কারণে হাইড্রার শরীল একাধিক অংশে বিভক্ত হয়,তখন এর মৃত্যু হবার কথা।কিন্তু তা না হয়ে ঐ খন্ডায়িত অংশ হতে নতুন হাইড্রার জন্মায়।
একেই পুনরুৎপত্তি বলে।
কিন্তু এটা থেকে কি প্রমাণিত হয় কী? হাইড্রার মৃত্যু নেই।
আসুন আর একটু Clear করি।
মানুষ বা অন্য কোন প্রাণীর কোন অঙ্গ যেমন ফুসফুস বা কিডনি বা হৃদপিণ্ড যদি কোন কারণে নষ্ট হয়ে যায়,তাহলে তা প্রতিস্থাপন ছাড়া ঐ মানুষকে বাচানো যাবে না।
এভাবে যেকোন অঙ্গ বিনষ্ট হলে তা পুনরায় গঠিত হয়।
এজন্যই হাইড্রার আপাতদৃষ্টিতে মৃত্যু নেই।
আশাকরি সবাই বুঝতে পেরেছেন।হাইড্রা হচ্ছে সেই প্রাণি যার মুখ কেটে দিলে সাথে সাথে আবার মুখ গজায়।
উৎস:জীববিঞ্জান বই(একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী)
…লেখক:গাজী আজমল।
এটা কোন উড়ো কথা নই।এর বৈঞ্জানিক ব্যাখ্যা রয়েছে।
ভাল থাকবেন,ট্রিকবিডির সাথেই থাকবেন।