Site icon Trickbd.com

এগুলো খান, ওজন কমান”

Unnamed

কিছু খাবার আছে যা দেহের চর্বি খরচ করতে সাহায্য করে।

খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক এক ওয়েবনাইট প্রতিবেদন থেকে জানা যায় এমনি ৫টি খাবারের কথা।

ফুলকপি: অ্যাসিডিটির কারণ হিসেবে বদনাম আছে অতি পরিচিত এই শীতকালীন সবজির। পেট যদি একে সইতে পারে তবে শরীরের জন্য উপকারী এই সবজি। এক কাপ ফুলকপিতে থাকে প্রায় দুই গ্রাম আঁশ ও ২৭ ক্যালরি। এছাড়াও আছে ভিটামিন সি যা হজম ক্ষমতা বাড়ায়।

দারুচিনি: ‘পলিফেনল’ নামক উপদানে ভরপুর এই মসলা রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে। সুইডেনের এক গবেষণা অনুযায়ি, খাবারে দারুচিনি দেওয়া হলে ওই খাবার খাওয়ার পেট ভরা অনুভূতি বেশি পাওয়া যায়।

ভারতীয় ক্রিড়া পুষ্টিবিদ লাভনিত বাত্রা বলেন, “পরিমিত পরিমাণে দারুচিনি ক্ষুধা সংবরণে সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি।”

মটরশুঁটি: হজমে সহায়ক আঁশ, ভিটামিন ও আমিষ প্রচুর পরিমাণে থাকে মটরশুঁটিতে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। প্রতি কাপ রান্না করা মটরশুঁটিতে থাকে ৬৭ ক্যালরি। খেতে পারেন আলাদা নাস্তা হিসেবে কিংবা ক্যালরি কিংবা কার্বোহাইড্রেট বেশি এমন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে। এতে মোট ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমে আসবে।

পেয়ারা: প্রতিকাপে ১১২ ক্যালরি দেওয়া এই ফল একটি পেট ভরানোর মতো খাবার। শরীরের দৈনিক আঁশের চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ পুরণ হতে পারে মাত্র এক কাপ পেয়ারাতেই।

আরেক ভারতীয় পুষ্টিবিদ নীলাঞ্জনা সিং বলেন, “আঁশের পাশাপাশি পেয়ারাতে পানির পরিমাণও থাকে অনেক যা পেট ভরা রাখে এবং কাজ করার শক্তি দেয়।”

মরিচ: নীলাঞ্জনা সিং জানান, “মরিচে ‘ক্যাপসাইসিন’ নামক একটি উপাদান থাকে যা চর্বি ঝরানোর প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে এবং একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।”

এই উপাদান ‘থার্মোজেনেসিস’ বা তাপ তৈরির মাধ্যমে শরীরের বিপাকক্রিয়াতে ত্বরান্বিত করে। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ি, প্রতিদিন ছয় গ্রাম ‘ক্যাপসাইসিন’ পুরুষ ও নারী উভয়েরই পেটের চর্বি কাটাতে বেশ উপকারী।