জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহারের দিক
থেকে বিচার
করলে ফেসবুকের পরই সাধারণ
মানুষের
মনে জায়গা করে নিয়েছে ট্যুইটার।
এটি
মূলত একটি মাইক্রোব্লগিং সাইট,
যেখানে
মানুষ তাদের মুহূর্তে শেয়ার করেন।
বর্তমানে খবরের ধারাকেই সম্পূর্ণ
বদলে দিয়েছে ট্যুইটার।
সবথেকে দ্রুত যে কোনও খবর জানার
জন্য ট্যুইটারের জুড়ি মেলা ভার।
জনপ্রিয়তা
বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর ফিচার্সেও
নতুন
কিছু পরিবর্তন এনেছে ট্যুইটার
কর্তৃপক্ষ।
এই নতুন ফিচার্সের ফলে ট্যুইটার আরও
বৈচিত্র্যময় এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠবে
বলে
আশা কর্তৃপক্ষের। আজ এই প্রতিবেদনে
আপনাদের ট্যুইটারের ৫টি বৈশিষ্ট্য
সম্পর্কে আমরা জানাব।
১) নাইট মোড: নানা পরীক্ষা-
নিরীক্ষার
পর কিছুদিন আগেই ট্যুইটার নিয়ে
এসেছে
‘নাইট মোড’ অপশন। এই নাইট মোড অপশন
ব্যবহার করলে নিঃসন্দেহে তা
আপনার
চোখের জন্য আরামদায়ক হবে। এই
‘নাইট
মোড’ অপশনে আপনার মোবাইলের
স্ক্রিনের ব্যাকগ্রাউন্ড ডার্কার
হয়ে যাবে।
ফলে কোথাও আলো কম থাকলেও
আপনি সহজেই ট্যুইটার ব্যবহার করতে
পারবেন। স্ক্রিন ডার্কার থাকার
কারণে
না। ‘নাইট মোড’ অপশনটি
অ্যাক্টিভেট করার
জন্য আপনার ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের
প্রোফাইল পিকচারের ওপরে বা-
দিকের
কোণে ক্লিক করতে হবে। সেখানে
‘নাইট মোড’ অপশন অন করলেই তা
অ্যাক্টিভেট হয়ে যাবে।
২) লিস্ট তৈরি: আরেকটি নতুন
ফিচার নিয়ে
এসেছে ট্যুইটার, যার মাধ্যমে আপনি
আপনার ট্যুইটার ফলোয়ারদের লিস্ট
তৈরি
করে তা সাজিয়ে রাখতে
পারবেন। এই লিস্ট
তৈরির ফলে আপনার ট্যুইটার
অ্যাকাউন্টটি
ম্যানেজ করা অনেক বেশি সহজ এবং
নিখুঁত
হবে। এর পাশাপাশি অন্যরা কে কী
ট্যুইট
করল, তার ওপর ভিত্তি করে গ্রুপ
তৈরি করা
যায়। ফলে কে কী ট্যুইট করছে, খুব
সহজেই তা জানতে পারবেন আপনি।
৩) আপনার ছবিতে অন্যদের ট্যাগ
করা:
ফেসবুক এবং ইন্স্টাগ্রামের মতো
ট্যুইটারেও অন্যদের, আপনার পোস্ট
করা
ফটোতে ট্যাগ করতে পারবেন। তবে
ট্যুইটারে সর্বাধিক ১০ জনকে আপনি
একটি
ছবিতে ট্যাগ করতে পারবেন। এরজন্য
আপনার ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে একটি
ছবি
আপলোড করে তাতে ক্লিক করতে
হবে। এরপর অপশন আসবে, “এই ছবিতে
কাঁরা আছেন?” এবার আপনি আপনার
পছন্দমতো ১০ জনকে ট্যাগ করতে
পারবেন। ট্যুইটারে কোনও ব্যক্তি
সর্বোচ্চ ১৪০ অক্ষরের বার্তা আদান-
প্রদান ও প্রকাশ করতে পারেন।
পোস্ট করা ছবির সঙ্গে সেই ১৪০টি
অক্ষরের কোনও সম্পর্ক নেই। আপনি
চাইলে ছবির সঙ্গে কোনও বার্তাও
ট্যুইট
করতে পারেন।
৪) ছবি কোলাজ করা: ট্যুইটারেও
আপনি ছবি
কোলাজ করতে পারবেন। মোবাইল
হোক বা ডেস্কটপ, যে কোনও জায়গা
থেকেই এই কোলাজ তৈরির অপশন
আছে। এরজন্য আপনার হোম স্ক্রিনের
একদম ওপরে ডানদিকের কোণে
কম্পোজ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এরপর ‘অ্যাড ফটো’ অপশনে ক্লিক করে
সেই ছবিগুলো আপলোড করবেন বা
তুলবেন, যেগুলো দিয়ে আপনি
কোলাজ
বানাতে চান। ছবি আপলোড হয়ে
গেলে
‘অ্যাড মোর’ অপশনে ক্লিক করতে
হবে। এরপর ট্যুইটের ওপর ক্লিক
করলেই আপনার ছবির কোলাজ
আপলোড
হয়ে যাবে।
৫) রিট্যুইট উইথ কমেন্টস: এখন আপনি
আপনার নিজস্ব মতামত দিয়ে
পছন্দের
ট্যুইটটি রিট্যুইট করতে পারবেন। এরজন্য
রিট্যুইট অপশনটি সিলেক্ট করে ‘কোট
ট্যুইট’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।