ছাত্রজীবনের এই সময়টুকু বেশ বিচিত্র, নানা রকম প্রশ্ন থাকে সেগুলোর উত্তর দেওয়ার কেউ নেই, অনেক কিছু করতে ইচ্ছা করে, সেগুলো কিভাবে করা যায় সেটির উত্তর জানা নেই। অনেক রকম স্বপ্ন এবং বিভ্রান্তি এসে জড়ো হয় মনে, জীবনের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এই সময়টির মতো অননুমেয় আর কিছু হয় না!
পছন্দের সাবজেক্টটিতে চান্স পাইনি, এখন যেখানে পড়ছি সেখানে একদম আগ্রহ পাইনা, সব স্বপ্ন একদম মরে গেছে!
যেই ছেলেটি ছোটবেলায় ফুটবলার হতে চাইতো সে যে বড় হয়ে ফুটবলার হতে পারবে তার কিন্তু কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই বলে কি তার জীবনটা থেমে আছে? না, জীবন কোন কিছুর জন্য থেমে থাকে না। আজ হয়তো তুমি বুয়েট, মেডিকেল বা আইবিএ তে টিকতে পারোনি সেজন্য মন খারাপ। তোমার আগেও বহু মানুষকে এই হতাশার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে এবং আমি বাজি ধরে বলতে পারি দশ বছর পর তোমার এই দুঃখটি একটুও থাকবে না!
একটি মজার ব্যাপার কি জানো, সারাজীবন ভালো জায়গায় চান্স পাওয়ার জন্য তোমাকে দেশের সবচেয়ে মেধাবী মানুষগুলোর সাথে হাড্ডা-হাড্ডি প্রতিযোগিতা করে আসতে হয়েছে, এখন হঠাৎ তুমি এমন একটি জায়গায় এসে পড়েছ যেখানে প্রতিযোগিতা বলতে তেমন কিছু নেই, ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার এর চেয়ে চমৎকার সুযোগ আর হয়না!
যেকোন সাবজেক্ট মানুষের চোখে যতটা তুচ্ছই মনে হোক না কেন, সেই সাবজেক্টের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কিন্তু কোনখানে আটকে থাকতে হয়না, তাদের চমৎকার একটি গতি হয়ে যায়! দেশে হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ার, হাজার হাজার ডাক্তার দিয়ে ভরে গেছে, তারা কাজ পাচ্ছে না, কিন্তু তোমার সাবজেক্টে তুমি দেশের সেরা, তখন তোমার কিন্তু কাজের অভাব হবে না কোনদিন!
পড়ালেখার অবস্থা খুব খারাপ, বই নিয়ে বসে থাকি পড়া আগায় না একদম!
এই একই ট্রিক অবচেতন মন খাটায় যখন তুমি পড়তে বসো। সত্যি কথাটি হচ্ছে এই- যে বিষয়টি তুমি পড়তে বসেছ সেটিতে তোমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই, কেবল পরীক্ষায় পাশ করতে হবে সেজন্য কিছু পড়া প্রয়োজন তাই তুমি জোর করে বইটি নিয়ে বসেছ! অবচেতন মন পরীক্ষায় পাশ করা বিষয়ক জটিলতার ভেতর দিয়ে যায়না তার হিসেব খুব সহজ- “আহা! বেচারার কষ্ট হচ্ছে, থাক্, কিছু পড়া লাগবে না!” তখন সে বিদ্রোহ করে বসে! তুমি বইটি সামনে নিয়ে বসে রইলে অনেকক্ষণ হঠাৎ খেয়াল করলে দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে দুই পাতাও পড়া আগায়নি!
Collected from 10minuteschool