Site icon Trickbd.com

সাবাস বাপের বেটা! জাগ্রত কবি মুহিব খানের কবিতা (চরম বাস্তবতা) [সবাইকে পড়ার অনুরোধ করছি]

সাবাস বাপের বেটা!

জাগ্রত কবি মুহিব
খানের কবিতা

(চরম বাস্তবতা)
———shared by ABM. Z.M————

[সবাইকে পড়ার
অনুরোধ করছি]

মোল্লারা নাকি অপয়া
অধম,
সমাজের নাকি বোঝা।
হাল জামানার বোঝেনা
কিছুই,
কেবলই নামাজ রোজা।
আমি বলি বাছা সবুর
সবুর,
এতোটা তো নয় সোজা।
কে কতোটা ভালো কে
কতোটা দোষী
এসো শুরু করি খোঁজা।
প্রথমেই দেখো
শিক্ষাঙ্গনে,
সন্ত্রাস করে কারা?
আমরা তো দেখি
তোমরাই করো,
করেনা তো মোল্লারা।
পার্কে-বাগানে এখানে-
সেখানে,
ভাঙা বস্তির ফাঁকে।
গাঁজার আসরে দেখেছ
কি বলো,
কভু কোনো মোল্লাকে?
কোনখানে কোন মদের
আড্ডা,
কিংবা জুয়া খেলাতে।
তোমাদের কভু দেখা
হয়েছে কি,
কোনো মোল্লার সাথে?
হাটে বা বাজারে
অলিতে-
গলিতে,
কিবা রাস্তার মোড়ে।
দেখেছ কি কোনো
মোল্লা কখনো,
চুরি-রাহাজানি করে?
সাথে বে-শরম বে-হায়া
বে-লাজ
উদ্ভট
নারী নিয়ে,
কোন মোল্লা কি
তোমাদের
মতো বেড়ায় রিক্সা
দিয়ে?
রাস্তার পরে মাস্তানি
বল
মোল্লারা করে কভু?
অযথাই কেন
মোল্লাদেরকে
দোষারোপ
কর তবু?
তোমরাই বলো
কোনোদিন
কোনো অফিসে বা
আদালতে,
কোনো মোল্লাকে
পেয়েছ কখনো
কারো কাছে ঘুষ খেতে?
যত

দূর্নীতি
কালোবাজারী বা মাদক
চোরাচালানে,
কজন মোল্লা পেয়েছ
বলতো হাতে আঙ্গুলে
গুনে?
মাদরাসা পড়া শেষ
করে তারা কিছুনা
কিছুতো করে,
বেকারত্বের অভিশাপ
নিয়ে বসে তো থাকেনা
ঘরে।
কোন যুক্তিতে করো
বাহাদুরী,
কিসের গরীমা এতো?
তোমরাতো করো
দাড়িয়ে পেশাব,
নেড়ী কুকুরের মতো।
তোমরাই হলে সমাজের
কীট,
সমাজের নর্দমা।
দেশ জনতার
গণআদালতে,
তোমাদের নাই ক্ষমা।
মোল্লারা আজো নম্র-
ভদ্র,
এখনো শান্ত-
ধীর।
তোমরাই হলে পাপে
কলুষিত, কলঙ্ক এ
জাতির।
নীতিশৃঙ্খলা শ্রদ্ধা-
ভক্তি,
এখনো তাদের আছে।
দেশ জাতি যাহা করে
না আশাই,
আজ তোমাদের কাছে।
হয়তো তাহারা কিছুটা
সরল,
চুপচাপ সাদা-সিধা।
এদের কারনে সমাজের,
হলো কি অসুবিধা?
ঈমান-আমল দেশপ্রেম,
সবি আছে তাহাদের
মাঝে।
জেনে বুঝে সব চুপ-চাপ
তারা,
আছে তাহাদের কাজে।
তাই বলি- বাছা!
অযথাই শুধু
খুঁচিওনা তাহাদেরে।
বলাতো যায় না,
আরামের ঘুম
নিতে পারে তারা কেড়ে!
মোল্লারা যদি ক্ষেপে
যায়
তবে তোমাদের হবে কি
যে!
সারা দুনিয়ার হিসাব
মিলিয়ে অংকটা কর
নিজে।
মোল্লার ভয়ে কাঁপে থর
থর ইউরোপ
আমেরিকা,
তোমরা তো বাছা
ছিঁচকে ইঁদুর
টিকটিকি চামচিকা।
আঁতুর ঘরে তো বাচ্ছার
কানে আজান
দেবার তরে,
দিনে কিবা রাতে
হাঁপাতে হাঁপাতে
ছুটো মোল্লার ঘরে।
তবে কেন এতো
মোল্লাবিরোধী
মোল্লার প্রতি ঘৃনা?
তার চেয়ে দেখ
কিছুটা মোল্লা নিজে
হতে পারো
কিনা?
যৌবনে সোজা না হয়ে
তোমরা জীবন
কাঁটাও বেঁকে,
বুড়ো হয়ে পরে মসজিদে
আসো টুপি আর
দাঁড়ি রেখে।
বিজাতীয়
রীতি অপসংস্কৃতি
নীতিহীনতার
ফাঁদে-
মোল্লারা ছাড়া
গোল্লায় সব
যাবে কিছুদিন বাদে।
হাজার পাপের বোঝা
নিয়ে চুপ
চাপ
বসে থাকো,
সত্যের হাঁড়ি ভেঙ্গে
দিলে আর
নিস্তার পাবে নাকো।
গর্তে ঢোকার সময়
জানো তো সোজা হয়ে
ঢুকে সাপ,
ধরা খেলো সোজা
তোমরা না শুধু
হবে তোমাদের বাপ।
তার চেয়ে এসো, এক
সাথে মেশো,
ঘৃনা বিদ্বেষ ছাড়ো।
ইসলাম শেখো, চোখ
মেলে দেখো,
বহু কিছু আছে আরো।
কভু যা দেখনি, কভু যা
বোঝনি,
কভু যা শোননি কানে।
খাঁটি মোল্লার দরবার
ছাড়া,
পাবেনা তা কোনখানে।
মোল্লাকে বোঝো,
মোল্লাকে খোঁজো,
মোল্লাকে মানো সবে।
তারাই তো হবে
কামিয়াব,
যারা মোল্লার সাথে
রবে।
সহজ ভাষায় জানালাম
কিছু অপ্রিয়
সত্য কথা,
মানো বা না মানো
আসলে এটাই
চরম বাস্তবতা
Exit mobile version