আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আমিও আল্লাহ তা আলার রহমতে
ভালোই আছি।
আপনি হয়তো খেয়াল করে দেখবেন
কিছু লোক চমৎকার ভাবে মনে রাখতে
পারছে কোন ঘটনা বা বিষয়বস্তুর
পুঙ্খানুপুঙ্খ। আবার খুব সহজেই শিখে
নিচ্ছে নতুন কিছু। আর আপনি মনে মনে
আক্ষেপ করেন সেই লোকের মতো
কেন আপনার স্মরণশক্তি নেই? তবে কি
আপনার মেধা কম! না, আপনার মেধা
অবশ্যই কম না। সকলে একভাবে মনে
রাখতে পারে না। কারণ, সবার
মস্তিষ্কের গঠন একরকম নয়। তবে
কয়েকটি সহজ কৌশলে আপনিও
বাড়িয়ে নিতে পারেন মেমোরি
পাওয়ার।
১। ব্যায়াম করুন আর শরীরকে রাখুন সচল:
ব্যায়াম শুধু আপনার শরীরকেই সচল করে
না, এটি আপনার মস্তিষ্ককেও সচল
রাখে। স্থূলতা এবং অতিরিক্ত ওজন
আপনার ব্রেইনের জন্যও ক্ষতিকর।
নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কিংবা
শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো সচল না
থাকলে রক্তবাহী নালীগুলো চর্বি
জমে। ফলে স্বাভাবিক রক্তচলাচল
ব্যহত হয়। মস্তিষ্কে রক্তের মাধ্যমে
অক্সিজেন সরবারাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
মস্তিষ্কের কোষগুলোও। তাই নিয়মিত
ব্যায়াম করুন, সচল রাখুন আপনার
শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো।
২। মানসিক চাপ কমিয়ে আনুন,
বিষন্নতা দূর করুন:
রাগ, ক্ষোভ বা উদ্বেগ আপনার
ব্রেনকে কিছু সময়ের জন্য স্থবির করে
দেয়, যা আপনার স্মরণশক্তি কমে
যাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব
ফেলতে পারে। মানসিক চাপের
ক্ষতি করে। বিষণ্ণতা আপনার
মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা কমিয়ে
ফেলে এবং রক্তে করটিসলের
লেভেল বাড়িয়ে দেয়। করটিসেলের
লেভেল বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের
কার্যকারিতা কমে যায়, বিশেষ
করে হিপ্পোক্যাম্পাসের। যেখানে
শর্টটার্ম মেমোরি সংরক্ষিত থাকে।
তাই বিষণ্ণতা সহ সকল মানসিক চাপ
যতদূর সম্ভব কমিয়ে ফেলুন।
৩। পর্যাপ্ত ঘুমোন:
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক আট
ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। একটা চমৎকার
ঘুম আপনার মস্তিষ্ককে অধিক
কার্যকরী করে তোলে। ঘুমের সময়
সাম্প্রতিক সময়ের তথ্যগুলোকে
মস্তিষ্কসংরক্ষণ করতে থাকে। আর
ঘুমকে বলা হয় মেমোরি চার্জার।
ঘুমের সময় আপনার মেমোরি পরবর্তী
স্মৃতি ধরার জন্য প্রস্তুত হয়। তাই
নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারেন।
৪। বিষয়গুলো লিখে রাখুন:
যে বিষয়গুলো স্মৃতিতে রাখতে চান
তা লিখে ফেলার অভ্যাস করুন। এর
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। লেখার
সময় মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ
রক্তপ্রবাহের পরিমান বাড়ে। তাই
লিখে রাখুন ডায়রিতে, ইমেইলে বা
ব্যক্তিগত ব্লগে।
৫। গান শুনুন:
অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন- স্মৃতির সাথে
গান শোনার কী সম্পর্ক? গবেষকরা
দেখিয়েছেন কিছু সংগীত
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে উপকারি।
ব্যাপারটা এই রকম: কোন ঘটনার সময়
আপনি যদি কোন গান শুনেন তবে
পুনরায় সেই গান শোনার সময় সেই
ঘটনার আবহের স্মৃতি আপনার
মস্তিষ্কে জেগে উঠবে।
৬। পুষ্টিকর খাবার খান:
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা
ভিটামিন যুক্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে
হবে। তাজা ফলমূল, গাঢ় সবুজ শাকসবজি,
মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, গমের রুটি প্রভৃতি
প্রোটিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার
গ্রহণ করুন। পরিমান মতো বিশুদ্ধ পানি
পান করুন। প্রচুর চর্বিযুক্ত খাবার
পরিহার করুন। বিশেষ করে বাসি-
দূষিত খাবার খাবেন না। ওগুলো
স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আর
ধূমপান ও মাদক সেবন থেকে বিরত
থাকুন। এগুলো আপনার মস্তিষ্কের জন্য
ভয়ানক ক্ষতিকর।
৭। অন্যকে শেখান:
নিজে যা শিখতে চাচ্ছেন। তা
একবার শিখে নিয়ে অন্যকে শেখান।
আরজনকে শেখাতে গিয়ে দেখবেন
আপনার জানার ঘাটতিগুলো ধরতে
পারছেন। আবার চর্চাও হবে আরেক
জনকে শেখানোর মাধ্যমে। নতুন কিছু
বিষয়ে আপনার কোন চিন্তা
আরেকজনের সাথে শেয়ারও করতে
পারেন। তাহলে আপনার স্মৃতিতে তা
স্থায়ী হবে। লোকটাকে দেখা
মাত্রই বিষয়টি আপনার স্মৃতিতে
আসবে। চর্চা আর প্রচেষ্টার মাধ্যমে
সব কিছু অর্জন সম্ভব। একটু চেষ্টা করলেই
বাড়িয়ে নিতে পারেন স্মৃতিশক্তি,
মনে রাখার ক্ষমতা। সুস্থ থাকুন।
যারা ওয়েবসাইট বানাতে অথবা কাজ শিখতে চান তারা আমাদের সাইটে দেকতে পারেন ,,সকল টিপস দেয়া আছে (a-z)