রাজশাহীতে এক তরুণীকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নামো ভোরের কাগজ নতুনহাট মোল্লাপাড়া এলাকায়। ওই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স রাজশাহী শাখার সাবেক এক শিক্ষকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শাহ মখদুম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন তুহিন জানান, শহরের নওদাপাড়া এলাকার একটি গেস্ট হাউজে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার পর তাদের গেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সাবেক শিক্ষক শামসুল আলম বাদশা ও গোরহাঙ্গা এলাকার ইজিটাস কম্পিউটার দোকানের মালিক আবু ফায়েজ নাহিদ রাজশাহী শহরের বোয়ালিয়া থানার সাগরপাড়া এলাকায় বসবাস করেন।
বাদশার বাড়ি বাগমারা উপজেলার মচমইলে, আর নাহিদের বাড়ি একই উপজেলার হাসনিপুর গ্রামে।
পরিদর্শক আনোয়ার মামলার বরাতে বলেন, ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে। ঢাকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ পাস করা এই তরুণী সোমবার চিকিৎসার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী মেডিকল কলেজ হাসপাতালে আসেন।
“বহির্বিভাগে চিকিৎসা শেষে দুপুরে ফোন করেন তার ফেইসবুক বন্ধু বাদশাকে। বাদশা তাকে ডেকে নেন তার বন্ধু নাহিদের ইজিটাস নামে কম্পিউটার দোকানে। পরে বাদশা ও নাহিদ দুপুরে খাওয়ার কথা বলে নওদাপাড়ার গ্রিন গার্ডেন নামে একটি গেস্ট হাউজে নিয়ে দুইজন মিলে ধর্ষণ করে বলে তরুণীর অভিযোগ।”
বাদশা ও নাহিদ তরুণীকে গেস্ট হাউজে রেখে কৌশলে পালিয়ে গেলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে হোটেল-কর্মচারীদের সহযোগিতায় থানায় আসেন ওই তরুণী।
পরিদর্শক আনোয়ার বলেন, আটক দুইজনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তথ্যঃ ভোরের কাগজ
নিজে সচেতন হন এবং অন্যকে সচেতন করুন।