প্রিয় বন্ধুর কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন। আজ বিকেলে ও ফেরত চেয়ে বসেছে। আপনার পকেট তো ফাকা, টাকা দেবেন কোত্থেকে? কোনোকিছুতেই মন বসছে না, খেতে পারছেন না, পড়তে পারছেন না। খেলাধুলোও ভাল্লাগছে না, আবার নামাযে দাড়ালেও একই চিন্তা। কোথায় পাবেন এতো টাকা! এরকমটা তো প্রায়ই হয়, তাই না? শুধু এটাই বা বলি কেন, অনেক সময় বহু কারণে আমাদের টাকার অতি দরকার হয়ে পড়ে। ঐ সময়টাতে মনে হয়, যদি কিছু অতিরিক্ত টাকা জমানো থাকতো কিংবা এখনই কেউ কোনো কাজ করিয়ে নিয়ে টাকা দিতো! সে যেমন কাজই হোক, ইট ভাঙ্গা হলেও। কিন্তু ভাই, দুনিয়া বহুত খারাপ জায়গা, ফ্রি-তে একটা পয়সাও কেউ আপনাকে দেবে না।
জরুরি দরকারে যখন টাকা পাওয়া যায় না তখন এত অসহায় লাগে যে, ঠিক ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। গুগলে সার্চ দিলাম How to get money in emergency need
ফলাফল যা আসলো তার সারমর্ম এই যে, আপনার ক্রেডিট কার্ড থাকতে হবে, কিভাবে ইমারজেন্সি লোণ পাওয়া যায়- এইসব। আরে ভাই, এইসব ব্যবস্থা থাকলে কি আর টাকার জন্য হাহাকার করে বেড়াতে হয়? তারমানে টাকার এতো দরকারে গুগলও পর হয়ে গেলো।
আপনার হয়তো একটা ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপ আছে, কমপক্ষে একটা স্মার্টফোন তো আছে। আপনি ভাবেন যদি অনলাইন থেকে কিছু করা যেতো, তাহলে কালকের কর্জটা দিতে পারতাম, সম্মানটা বেঁচে যেতো।
কিন্ত এরকম জরুরি দরকারে অনলাইন আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারে? চলুন দেখে আসি অপশনগুলো।
ইউটিউবে কাজ করবেন? ভিডিও বানাতে হবে, ১০,০০০ ভিউ হতে হবে, অ্যাডসেন্স পেতে হবে, পিন ভেরিফিকেশন করতে হবে, ১০০ ডলার হতে হবে, তারও একমাস পরে টাকা পাবেন- সবমিলিয়ে প্রায় ছয় সাতমাস লেগে যাবে।
ব্লগিং করবেন? ডোমেইন হোস্টিং কিনতে হবে, বাংলা ব্লগ হলে adplay ইউজ করবেন, ওরা আবার ৩,০০০ টাকার কমে পেমেন্ট দেয়না। আর অ্যাডসেন্স ব্যবহার করলে তো কথাই নেই, সব শর্ত মেনে ১০০ ডলার আয় করার পরও দুই তিনমাস লেগে যাবে টাকা হাতে পেতে।
ফ্রিল্যান্সিং মানে আপওয়ার্ক বা ফ্রিল্যান্সার ডটকমে কাজ করবেন? তারজন্য আগে দুই মাস সময় দিয়ে কোনো একটা কাজে দক্ষ হতে হবে, তারপর বিড করবেন, কপালে থাকলে কাজ পাবেন, কাজ শেষ করার পর মিনিমাম দুই সপ্তাহ লেগে যাবে টাকা হাতে পেতে।
এছাড়া ফিভার, আইরাইটার, অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েশন সবখানেই এক অবস্থা – সব শর্ত পূরণ করার পরও টাকা হাতে পেতে কমপক্ষে একমাস লাগবে।
উপরে যে উপায়গুলোর কথা বললাম সবগুলোই অনলাইনে আয় করার সত্যিকারের কার্যকর উপায়। ক্লিক-পিটিসি বাদ দিয়ে আপনার উচিত হবে উপরের কোনো একটা বিষয় ভালোমতো শিখে নেওয়া এবং মন দিয়ে কাজে লেগে যাওয়া, যদি চাকরির এই দুর্দিনে অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা থাকে।
কিন্তু টাকাটা যদি অতি জরুরী দরকার হয়, কালকেই?
এক্ষেত্রে অনলাইন আপনাকে সাহায্য করতে পারে। আপনাকে এমন একটা উৎস খুজে বের করতে হবে যেখান থেকে আপনি খুব তাড়াতাড়ি মানে আজকালকের ভিতরেই টাকা পাবেন।
অনলাইনে এরকম ফ্রি,আনলিমিটেড এবং দ্রুত আয় করার দু’টো উপায় আছে। যার একটা পিটিসি (পেইড টু ক্লিক) এবং অপরটা ডাটা এন্ট্রি (ডাটা এন্ট্রি বলতে আমি এখানে ক্যাপচা এন্ট্রি বোঝাচ্ছি।)।
অপশন দুটো যাচাই করি। পিটিসি সাইটগুলো থেকে ফ্রি এবং দ্রুত আয় করা যায় এটা সত্যি, কিন্তু আয়ের পরিমাণ এতটাই কম যে আপনার শ্রমের দাম উঠবে না। অতএব, এই অপশনটা বাদ। বাকী রইলো একটা অপশন অর্থাৎ ক্যাপচা এন্ট্রি।
তবে শর্ত আছে, আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে ঐ শ্রমিকের মতো। টানা ৫ ঘন্টা কাজ করলে ৪০০-৫০০ টাকা হয়ে যাবে, টাকা হাতে পাবেন প্রায় সাথে সাথে। বলতে পারেন, এতকিছু বাদ দিয়ে শেষমেশ ক্যাপচা? আমি তাঁর জন্য বলছি , ভাই, এটা ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনের জন্য। আজকে আপনার টাকা ইনকাম নেই, কিন্তু টাকার দরকার আছে, এজন্য আপনার আগে নষ্ট করা সময় দায়ী। আপনি চাইলেও আপনার স্কীল কাজে লাগিয়ে ঠিক এই মূহুর্তে কোনো টাকা আয় করতে পারবেন না, সেজন্য সেই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা অবশ্যই করতে হবে। তাই অগত্যা এই দিনমজুরী। আপনি তো আড়ালে ইট ভাঙ্গতেও রাজি ছিলেন, না? তাহলে অনলাইনে এই মজুর খাটতে সমস্যা কোথায়?
তো আমরা কাজের কথায় আসি। আপনাকে কাজ যা করতে হবে তা হলো ক্যাপচা এন্ট্রি। ক্যাপচা পূরণ করবেন বিনিময়ে পাবেন বিটকয়েন।
আপনি টার্গেট ঠিক করে নেবেন; তাহলেই ব্যাপারটা ইজি হয়ে যাবে। যেমন আপনার ৫০০ টাকা দরকার, তাহলে দৈনিক আয় করতে হবে ১০০ টাকা করে, চাইলে বেশিও করে রাখতে পারেন।
কি কি সুবিধা পাচ্ছেন?
১) এক পয়সার ইনভেস্টমেন্ট লাগবে না।
২) ইনকামের লিমিট নেই, যত কাজ করবেন ততো আয়।
৩) সর্বোচ্চ ১ দিনের মধ্যে কাজ করে টাকা বিকাশ বা রকেটে আনতে পারবেন।
আর কী চান? ইমারজেন্সি টাকার জন্য এর চেয়ে ভালো উপায় আর পাইনি। আপনি পেলে জানাবেন।
এখন কিভাবে কাজ করবেন, কতো আয় হবে, টাকা কিভাবে হাতে পাবেন সবগুলো বিষয় নিয়ে আমার আগে থেকেই বিস্তারিত লেখা রয়েছে, অনুগ্রহ করে পড়ে নিন।
১) হানিমানি দিয়ে কিভাবে আনলিমিটেড বিটকয়েন আয় করবেনঃ এখানে ক্লিক করুন
আর গাইডলাইনের জন্য নিচের গ্রুপে যেতে পারেন বিজ্ঞাপনের জন্য নয়, উপকারের জন্যে- এখানে ক্লিক করুন
এই পোষ্টটা সেইভ করে রাখুন, জরুরি প্রয়োজনে কেউ যখন পাশে থাকে না, তখনই এটা কাজে দেবে। ধন্যবাদ।
ঘোষণাঃ বাংলাদেশের একমাত্র ফেসবুক গ্রুপ যেখানে টাকার পরিমাণ টার্গেট করে সবাই একসাথে কাজ করা হয় এবং অ্যাডমিনের তরফ থেকে সবার অগ্রগতির খোজখবর নেওয়া হয়। আপনি চাইলে জয়েন করতে পারেন