আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি খুব ভাল আছেন এবং আগামি তে যেন সব সময় ভালো থাকেন এই কামনা রইলো।
ইনিও এক বিস্ময় বালক। শুরুটা দেখিয়েছেন বেশ দাপুটে। বুমবুম তাণ্ডবে বড় রানের ইনিংস খেলে এরই ভক্তদের মনে যায়গা করে গ্রেট ক্রিকেটার হওয়ার পথেই ছুটছেন তিনি।
পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলার মাধ্যমে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানান। টেস্ট ছাড়েন আরো আগে। পাকিস্তান ক্রিকেটে আফ্রিদির মতো এসেছেন নতুন এক ক্রিকেটার।
তিনি হলেন অলরাউন্ডার আনওয়ার আলী। ১৭ ওয়ানডে ও ১১ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন আনওয়ার আলী। এই আনওয়ার আফ্রিদির শূণ্য জায়গাটি পূরণ করছেন।
কয়েকদিন আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে কলম্বোতে ৪ ছক্কা ও ৩ চারে ১৭ বলে ৪৬ রান করে পাকিস্তানকে অপ্রত্যাশিত জয় এনে দেন তিনি।
আফ্রিদি ১৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন। সে পথেই যেন নিজেকে পরিচিত করেছেন তিনি। ক্রিকেট বিশ্বের নতুন আফ্রিদি বলে বেশ পরিচিতি পাচ্ছেন আনওয়ার আলী।
ছোট থেকে কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পার হতে হয়েছে তাকে। আনওয়ার আলীর জন্ম পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যাকার জাকা খেল গ্রামে।
জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় সেখান থেকে আনওয়ারের পরিবার আশ্রয় নেয় করাচির একটি কলোনিতে। মাথা গোঁজার জন্য নিজেদের কোন জায়গা তাদের ছিল না। জন্মের পরেই বাবাকে অসুস্থ দেখতে পান তিনি।
পরে কাজের জন্য বেরিয়ে পড়তে হয়েছে আনওয়ারকে। আনওয়ার দৈনিক ১৫০ রুপি রোজগার করতেন। এটি দিয়ে হত তাদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা।
বাসা থেকে ফ্যাক্টরিতে যাওয়া আসার পথে রাস্তার পাশের মাঠে নিজ বয়সী ছেলেদের ক্রিকেট খেলতে দেখতেন তিনি। পরে রাতের সিফটে কাজ করেন তিনি। আর দিনের বেলা ক্রিকেট প্রাকটিস করতেন।
ক্রিকেট দিয়ে স্থানীয় এক কোচ আজম খানের দৃষ্টি কেড়ে নেন তিনি। আনওয়ার তার কোচিংয়ে যেতেন। কিন্তু টাকা দিতে পারতেন না।
পরিবার মোটেই পছন্দ করত না তার ক্রিকেট খেলা। কিন্তু কাজের পাশাপাশি এখান থেকে যখন কমবেশি আয় করতে শুরু করেন তখন আর বাধা দিত না কেউ।
এমন এক সময় তার বাবা মারা যায়। কিশোর আনওয়ারের চারদিকে তখন অন্ধকার নেমে আসে। অন্ধকারে সাহস নিয়ে দৌঁড়াতে থাকেন আনওয়ার।
২০০৬ সালে যেন একটু আলোর আভা খুঁজে পান তিনি। পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ডাক পেয়ে বেশ ভালো করেন। এ বছর ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতে পাকিস্তান।
সেবার ভারতের বিপক্ষে জ্বলে ওঠেন আনওয়ার আলী। ৩৫ রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট নেন তিনি। এই আনওয়ার আলী হয়তো পাকিস্তানের হয়ে বড় বড় ক্রিকেট শক্তিকে কাঁদিয়ে দেবেন।
পাকিস্তানের শ্রীলঙ্কা সফরের সময় সার্বিক পরিস্থিতি বলছিলো যে, এখান থেকে পাকিস্তানের জয় ছিনিয়ে আনার কোনো সম্ভবনা নেই। কিন্তু সেখানে আনওয়ারের বীরত্বে জয় পায় পাকিস্তান। ভাগ্য বলে যে একটি কথা আছে তার উদাহরণ এই আলীর জীবনে।
আরো নতুন নতুন টিপস পেতে ভিসিট করুন। Mobiload24.Com
সবাইকে ধন্যবাদ। সুস্থ্য থাকুন,ভালো থাকুন এবং সব সময় ট্রিকবিডি এর সাথেই থাকুন।