আসসালামু
আলাইকুম
ﺑِﺴْﻢِﺍﻟﻠَّﻪِﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢ
শুভেচ্ছা
কেমন আছেন, সবাই? জানি, Trickbd পরিবারের সাথে থাকলে সবাই ভালো থাকে। তাই আমরা Trickbd র সাথেই থাকবো। তো আর কথা নয়। এবার কাজে আসা যাক।
পোষ্ট সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ→↓←
এই পোষ্টি আমি বিভিন্ন জাইগা থেকে সংগ্রহ করেছি।
কালোজিরা গুনাগুণ জেনে নিনঃ→↓←
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেনঃ→↓←
“তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যৃ ব্যতীত সর্বরোগের মুক্তি এতে রয়েছে”।
তিরমিযী,বুখারী,মুসলিম থেকে নেয়া।
হযরত কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছেঃ→↓←
“প্রতিদিন ২১টি কালোজিরার ১টি পুটলি তৈরী করে পানিতে ভিজাবে এবং পুটলির পানির ফোঁটা এ নিয়মে নাশারন্দ্রে (নাশিকা, নাক) ব্যবহার করবেঃ→↓←
“১ম বার ডান নাকেরছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা।
দ্বিতীয়বার বাম নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং ডান নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা।
তৃতীয়বার ডান নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা ও বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা।”
হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেনঃ→↓←
“নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেনঃ→↓←
যখন রোগ-যন্ত্রণা খুব বেশী কষ্টদায়ক হয় তখন এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে খাবে তারপর পানি ও মধু সেবন করবে।” – মুজামুল আওসাতঃ তাবরানী।
গুনাগুন জেনে নিতে দোষ কী?
আমাদের জন্য কি কি ঔষধী গুণ আছে এই কালোজিরাতে (নবীর উপরে আর কোন কথা থাকে না। তারপরও এর ব্যবহার বা উপকারিতাগুলো জেনে নিলে ভালো হয়।) আর ভালো কালোজিরা বাছাই করে ব্যবহার করুন।
কালজিরার গুনাগুণঃ→↓←
চির যৌবনঃ→↓←
১৫/১৬ টি কালজিরা ছোট ১টি পিয়াজ ও ২ চামচ মধু সহ বিকালে/রাতে খেলে চির যৌবন রক্ষা হয়।
ডায়াবেটিসের উপকারঃ→↓←
সকালে খালিপেটে ১২/১৩ ফোঁটা কালজিরার তেল ও ১৫/১৬ ফোঁটা মধু খেলে ডায়াবেটিসের উপকার হয়।
বাত রোগের উপকারঃ→↓←
১০/১২ ফোঁটা কালজিরার তেল গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে বাত রোগের উপকার হয় ।
জেনে নেয়া যাক আরো কিছু গুনাগুনঃ→↓←
কালোজিরার তেল ও আমাদের শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারী। কালোজিরার তেলে ১০০ টিরও বেশী উপযোগী উপাদান আছে।এতে আছে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ,৩৮শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল ও চর্বি।
০১) শ্বাস কষ্ট বা হাঁপানিঃ→↓←
যারা শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশী উপকারী। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় কালোজিরার ভর্তা রাখুন। কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যা উপশম হবে। এক চা চামচ কালোজিরার তেল, এক কাপ দুধ বা রং/লিকার চায়ের সাথে দৈনিক ৩ বার করে খেলে শ্বাস কষ্ট থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।
০২) ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রনেঃ→↓←
ডায়াবেটিক রোগের উপশমে বেশ কাজে লাগে এই কালোজিরা। এক গ্লাস পানির সাথে এক চিমটি কালোজিরা প্রতিদিন সাকালে খালি পেটে খেয়ে দেখুন, রক্তে গ্লুকোজের পরিমান নিয়ন্ত্রণে খাকবে।এছাড়া এক চা-চামচ কালোজিরার তেল এক কাপ লিকার/রং চা বা গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ২বার নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রন হবে একশত ভাগ।
০৩) জৈবশক্তি বৃদ্ধিতেঃ→↓←
প্রতিদিন কালোজিরা খাবারের সাথে খেলে পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তিলাভ করা যায়।কালোজিরা নারী-পুরুষ উভয়ের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
০৪) স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরাঃ→↓←
এক চা-চামচ পুদিনা পাতার রস বা এক কাপ লিকার/রং চায়ের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার করে খেলে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পায়, দুশ্চিন্তা দুর করে এবং মেধার বিকাশে দ্বিগুন কার্যকর।মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
০৫) চুল পড়া রোধে মহাঔষধঃ→↓←
কালোজিরা খেয়ে যান আপনার চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে, ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে।আরো ভাল ফল পেতে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে চুলের গোড়ায় এর তেল ভালভাবে মালিশ করতে থাকুন।
০৬) মাথাব্যাথা নিরাময়েঃ→↓←
এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধুসহ ভাল করে মিক্স করে দিনে তিনবার নিয়মিত খেলে এবং আর্ধেক চা-চামচ কালোজিরার তেল মাথায় ভালভাবে মালিশ করলে মাথাব্যাথা দুর হয়।
০৭) অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি কমাতেঃ→↓←
এক চামচ মধু এর সাথে আর্ধেক চা-চামচ কালোজিরা সকালে খালি পেটে নিয়মিত খাওয়ার আভ্যাস করলে আপনার শরীরের আতিরিক্ত মেদ কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।
০৮) ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেঃ→↓←
ত্বকের গঠনের উন্নতি ও ত্বকের প্রভা বৃদ্ধির জন্য কালোজিরা অতুলনীয়।এতে লিনোলেইক ও লিনোলেনিক নামের এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড থাকে যা পরিবেশের প্রখরতা, স্ট্রেস ইত্যাদী থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বককে সুন্দর ও তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
০৯) ঠান্ডা-সর্দি ভাল করাতেঃ→↓←
ঠান্ডা-সর্দি সারাতে কালোজিরা অনেক প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে।এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এক কাপ লিকার/রং চা এর সাথে মিশিয়ে দৈনিক ৩বার খেলে ঠান্ডা থেকে দ্রুত মুক্তি লাভ করা যায়।আবার এক চা-চামচ কালোজিরার সাথে ৩ চা-চামচ মধু ও ২ চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর,সর্দি-কাশি থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়।
১০) হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রেঃ→↓←
কালোজিরা নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা খাওয়ার অভ্যাস করলে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
১১) অনিয়মিত মাসিক বা মেহ/প্রমেহ থেকে মুক্তিঃ→↓←
এক কাপ কাঁচা হলুদের রসের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দৈনিক ৩বার করে নিয়মিত খেলে এ থেকে মুক্তি নিশ্চিত।
১২) দুগ্ধ দানকারিনী ”মা” দের দুধ বৃদ্ধির জন্যঃ→↓←
যেসব মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই তাদের জন্য এই কালোজিরা মহাঔষধ
১৩) উচ্চরক্তচাপঃ→↓←
যখনই কোন গরম পানীয় বা চা পান করবেন তখনই কালোজিরা কোন না কোনভাবে সাথে খাবেন।গরম ভাতের সাথে কালোজিরার ভর্তা অতুলনীয় ।
১৪) জন্ডিস বা লিভারের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রেঃ→↓←
একগ্লাস ত্রিফলার শরবতের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল দিনে ৩বার করে খেলে লিভারের সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।
১৫) শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে কালোজিরাঃ→↓←
দুই বছরের অধিক বয়সী শিশুদের কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করলে শিশুর দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ ঘটে। শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও অনেক কার্যকর এই কালোজিরা।
১৬) কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করতেঃ→↓←
এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা-চামচ লেবুর রস ও এক চা-চামচ আদার রস এবং দুই চা-চামচ মধু মিশিয়ে খেলে অজীর্ণ থেকে মুক্তি ও কোষ্ঠ কাঠিন্য প্রশমিত হয়।
১৭) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ→↓←
কালোজিরা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। নিয়মিত কালোজিরা সেবন করলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে। এতে করে যে কোন জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
সতর্কতাঃ →↓←
গর্ভাবস্থায় ও দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালোজিরার তেল সেবন করা উচিত নয়, তবে বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
১৮। হজমের সমস্যাঃ→↓←
এক-দুই চা-চামচ কালোজিরা বেটে পানির সঙ্গে খেতে থাকুন। এভাবে প্রতিদিন দু-তিনবার খেলে এক মাসের মধ্যে হজমশক্তি বেড়ে যাবে। পাশাপাশি পেট ফাঁপাভাবও দূর হবে।
১৯। জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশিতেঃ→↓←
এক চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে প্রতিদিন একবার সেবন করুন। কালোজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিন যদি সর্দি বসে যায়। একই সঙ্গে পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে কালোজিরা বেঁধে শুকতে থাকুন, শ্লেষ্মা তরল হয়ে ঝরে যাবে। তাড়াতাড়ি ভালো ফল পেতে বুকে ও পিঠে কালিজিরার তেল মালিশ করুন।
২০। মায়েদের বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতেঃ→↓←
প্রতিদিন রাত্রে শোবার আগে ৫-১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে খেতে থাকুন। ইনশাআল্লাহ্ মাত্র ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে। এছাড়া এ সমস্যা সমাধানে কালোজিরা-র ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। যারা জানেন না তাদের জন্য ভর্তা বানানোর প্রক্রিয়া পরে পোস্ট করা হবে।
২১। কপালের দুই পাশ এবং কানে পাশে দিনে তিন-চারবার কালিজিরার তেল মালিশ করুন মাথাব্যাথা ভালো হয়ে যাবে।
২২। নিয়মিত কালিজিরা খান। এটি মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। যার দরুন স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। এর সঙ্গে এটি প্রাণশক্তি বাড়ায় ও ক্লান্তি দূর করে।
২৩। কালোজিরা লিভার ক্যান্সারের জন্য দায়ী আফলাটক্সিন নামক বিষ ধ্বংস করে। তাই যারা লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত তারা আজ থেকে খাওয়া শুরু করে দিন।
২৪। চুলপড়ারোধে কালোজিরা নিয়মিতভাবে খান এতে আপনার চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে। আর ভালো ফল পেতে চুলের গোড়ায় এর তেল মালিশ করতে থাকুন।
২৫। ডায়বেটিকস্ রোগীরাঃ→↓←
এক চিমটি পরিমাণ কালো জিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে দেখুন, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে একসময় ডায়বেটিকস্ কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।
২৬। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কালোজিরার তেল ব্যবহার করুন। শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি দূর করে। হৃদরোগ নিয়ন্ত্রন করে।
২৬। পক্ষাঘাত (প্যারালাইসীস) ও কম্পন রোগে কালোজিরার তৈল মালিশ করলে আশ্চর্যজনক ফল পাওয়া যায়।
২৭। কালোজিরা যৌন ব্যাধি ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য অতি উতকৃষ্ট ঔষধ।
২৮। শুলবেদনা ও প্রসূতি রোগে কালোজিরা অত্যধিক উপকারী। ব্রুনের জন্যও এটি উত্তম ঔষধ।
২৯। মূত্রথলির পাথর ও জন্ডিস থেকে আরোগ্য লাভ করতে কালোজিরা খান নিয়মিত যতবার পারেন।
৩০। অধিক ঋতু স্রাব, মাত্রাতিরিক্ত পেশাব প্রতিরোধ করতে কালোজিরার উপকারিতা অপরিসীম। এটি কৃমিনাশক।
৩১। কালোজিরা রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৩২। নিয়মিত কালোজিরা সেবনে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সতেজ করে ও সার্বিকভাবে স্বস্থ্যের উন্নতি সাধন করে।
৩৩। ভাত, তরকারী ইত্যাদির সাথে কালোজিরা মিশিয়ে খান রোগশোক থেকে দূরে থাকুন।
বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে কালো জিরার আরো কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ→↓←
কালো জিরাকে সব রোগের ওষুধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। অন্যান্য সব ভেষজের মতো কালিজিরা নিয়েও গবেষণা কম হয়নি। ১৯৬০ সালে মিসরের গবেষকরা নিশ্চিত হন যে, কালো জিরায় বিদ্যমান নাইজেলনের কারণে হাঁপানি উপশম হয়। জার্মানি গবেষকরা বলেন, কালো জিরার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-মাইকোটিক প্রভাব রয়েছে। এটি বোনম্যারো ও প্রতিরক্ষা কোষগুলোকে উত্তেজিত করে এবং ইন্টারফেরন তৈরি বাড়িয়ে দেয়। আমেরিকার গবেষকরা প্রথম কালো জিরার টিউমারবিরোধী প্রভাব সম্পর্কে মতামত দেন। শরীরে ক্যান্সার উত্পািদনকারী ফ্রি-রেডিক্যাল অপসারিত করতে পারে কালিজিরা। মোটকথা, কালো জিরা সব ধরনের রোগের বিরুদ্ধে তুলনাহীন।
আসুন জেনে নিই কালিজিরার এমন কিছু ব্যবহার, যেগুলো একেবারেই অপ্রচলিতঃ→↓←
১. স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতেঃ→↓←
কালো জিরা মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়ম করে আধা চা চামচ কাঁচা কালিজিরা অথবা ১ চা চামচ কালিজিরার তেল খান।
২. চুল পড়া রোধেঃ→↓←
কালোজিরা চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে চুল পড়া রোধ করে এবং চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও ১ চা চামচ কালিজিরার তেল একসাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে নিন। চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট মাসাজ করুন। ১ ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
৩. ব্যথা কমাতেঃ→↓←
যেকোনো ধরনের ব্যথা কমাতে কালো জিরার জুড়ি নেই। কালিজিরার তেল হালকা গরম করে নিয়ে ব্যথার জায়গায় মালিশ করুন, ব্যথা সেরে যাবে। বিশেষ করে বাতের ব্যথায় বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়।
৪. ফোঁড়া সারাতেঃ→↓←
ব্যথাযুক্ত ফোঁড়া সারাতে কালো জিরা সাহায্য করে। তিলের তেলের সাথে কালিজিরা বাটা বা কালিজিরার তেল মিশিয়ে ফোঁড়াতে লাগালে ব্যথা উপশম হয় ও ফোঁড়া সেরে যায়।
৫. মেদ কমাতেঃ→↓←
চায়ের সাথে কালো জিরার মিশিয়ে পান করলে তা বাড়তি মেদ ঝরে যেতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে পানি নিয়ে চুলার ওপরে দিন। পানি ফুটে উঠলে চাপাতা ও সমপরিমাণ কালিজিরা পানিতে দিন। চায়ের রং হয়ে এলে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে সাধারণ চায়ের মতোই পান করুন।
৬. দাঁতের ব্যথায়ঃ→↓←
দাঁত ব্যথা হলে, মাঢ়ি ফুলে গেলে বা রক্ত পড়লে কালো জিরা তা উপশম করতে পারে। পানিতে কালিজিরা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এই পানির তাপমাত্রা কমে উষ্ণ অবস্থায় এলে তা দিয়ে কুলি করুন। এতে দাঁত ব্যথা কমে যাবে, মাঢ়ির ফোলা বা রক্ত পড়া বন্ধ হবে। এছাড়া জিহ্বা, তালু ও মুখের জীবাণু ধ্বংস হবে।
৭. মাথা ব্যথায়ঃ→↓←
ঠাণ্ডাজনিত মাথাব্যথা দূর করতে কালো জিরা সাহায্য করে। একটি সুতি কাপড়ের টুকরায় খানিকটা কালিজিরা নিয়ে পুঁটুলি তৈরি করুন। এই পুঁটুলি নাকের কাছে নিয়ে শ্বাস টানতে থাকুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা সেরে যাবে।’
ভাল লাগলে comment করবেন।
অনেক কষ্ট করে পোষ্ট করেছি। যদি ভুল হয় তো ক্ষমার ? চোখে ? দেখবেন।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। Trickbd র সাথেই থাকুন।
আমাদের এই সাইট টি নতুন। ঘুরে আশার জন্য আপনাদের দাওয়াত রইলো।
?
Tipsbd24
?