হ্যালো,
সবাই কেমন আছেন জিজ্ঞাস করব না। কারন ভাল না থাকলে পোস্ট পড়ার জন্য আসতেন না। তাই আশা করি ভালই আছেন। তো চলুন শুরু করা যাক।
ওয়েব সাইট লিঙ্কঃ https://www.esheba.cnsbd.com
প্রয়োজনীয়ঃ
১. আপনার একটি একাউন্ট যা ওই ওয়েব সাইটে থাকতে হবে – না থাকলে খুলে নিন। খোলা আহাম্মরিক কিছু না। Sign Up ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফোন নাম্বার আর মেইল ভেরিফাই করলেই হবে। – অনেকটা ফেসবুক আর ট্রিকবিডির একাউন্ট খোলার মতই। আশা করি একাউন্ট খোলার ধারনা সবারই আছে।
২. একটা রকেট (ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যংকিং একাউন্ট) – আপনার না হলেও চলবে, যে কারো একাউন্ট থেকে পেমেন্ট করতে পারবেন।
যদিও তারা নিচের এইসব পেমেন্ট গেটওয়ে সাপোর্ট করে আমার কাছে রকেট আছে তাই আমি করেছি রকেটে। আমার যতটুকু ধারনা ততটুকুই শেয়ার করার চেষ্টা করেছি।
- Visa/Master Card
- DBBL Nexus
- DBBL Mobile Banking – (Rocket)
- American Express
ধাপ-১ঃ
প্রথমে ওয়েব সাইটে যান। ওয়েব সাইটের লিংক উপরে দেয়া আছে।
তারপর লগ ইন করুন প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে।
লগিন করে ফেললে আপনার ড্যাশবোর্ডে কিছু মেনু দেখতে পারবেন তার থেকে (Purchase Ticket) পার্চেছ টিকিট-এ ক্লিক করুন।
তারপর কিছু ফর্ম ফিল আপের মত কিছু পাবেন। সেখানের প্রয়োজনীয় তথ্য গুলা পূরণ করুন।
- প্রথম-টা হলো আপনি কোথায় থেকে যেতে চান।
- তারপর কত তারিখে যাবেন।
- তারপর আপনি কোন স্টেশনে নামবেন।
- তারপর এর টা কী ধরনের শ্রেণীতে যাবেন। (এখানে আপনার জন্য তারিখ ও ট্রেইন অনুযায়ী ক্লাস দেখাবে)।
নোটঃ আর সবগুলো ফর্ম একটার সাথে আরেকটা সম্পর্কিত। সিট না থাকলে বা ট্রেইন না থাকলে শো করবে না। আর ট্রেইন থাকলে সিট না থাকলে তাও বলে দিবে।
ফিল-আপ করার পর সার্চ ট্রেইনে ক্লিক করুন।
উপরে দেখুন আমার সময় ও তারিখ অনুযায়ী আমার ট্রেইন Show করছে। এখানে ৩ টা ট্রেইন দেখতে পারছি। আমি ট্রেইন নাম্বার ৭৪৯ এগারো সিন্দুর গোধুলী সিলেক্ট করলাম মানে Adult কলাম থেকে আপনার কয়টা সিট দরকার তা সিলেক্ট করুন। যদি সিট থাকে তাহলে নিচে দেখাবে। দেখার জন অটো সিলেকশন এ ক্লিক করুন। আর যদি যাত্রার ১২০ ঘন্টা আগে টিকিট কাটতে বসেন তাহলে আপনি ম্যনুয়্যালি নিজের পছন্দ মতো সিট চয়েজ করতে পারবেন। তবে যথেষ্ট সিট খালি থাকতে হবে।
নোটঃ সিট থাকলে টিকিট কিনতে পারবেন।আর না থাকেলে কিছুই করার নেই।
ধরি আপনি সিট পেয়েছেন আমার মতো। এখন পেমেন্টে করার পালা। আমি ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং (রকেট) এর মাধ্যমে পে করেছি। উপরে দেয়া যেগুলা আছে সবগুলা প্রসেস এর মাধ্যমেই পেমেন্ট করতে পারবেন।
ধাপ-২ঃ
আমার মতো রকেট (ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যংকিং একাউন্ট) এর মাধ্যমে পে করতে হলে ধাপ ২ আপনার জন্য নতুবা আপনার জন্য ধাপ-২ প্রযোজ্য নয়।
সিট পাওয়ার পর DBBL Mobile Banking বাটনে ক্লিক করেন। তাহলে আপনাকে পেপাল এর মতো একটা সাইটে নিয়ে যাবে যা ডাচ বাংলা ব্যাংকের সার্ভার। ওইখানে দুটো বক্স পাবেন। প্রথম বক্সে আপনার DBBL 12 digit এর একাউন্ট নাম্বার আর ২ও বক্সে আমনার পিন কোড দিন। (ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই- কারন এটি ব্যাংকের সার্ভার পিন শেয়ার হবে না)। বিশ্বাস না হলে এড্রেস বারে ওয়েব এড্রেসটা দেখে নিবেন।
তারপর Submit বাটনে ক্লিক করুন। এইবার অপেক্ষার পালা আপনার রকেটের নাম্বারে এসএমএস আসবে তাও একটা ৬ ডিজিটের কোড নিয়ে যাকে আমরা বলে থাকি OTP (One Time Password) মানে 2 Factor Verification যাচাই করা হবে।
আশা করি আপনি কোড পেয়ে গেছেন। কোডখানাকে আপনার ব্রাউজারে প্রদর্শিক সিকিউরিটি কোড বক্সে নিশ্চিন্তে বসিয়ে Go তে ক্লিক করুন।
আর হ্যা, টিকিট কাটার সময় আপনার অরজিনাল দামের চেয়ে ২০ টাকা বেশি নিবে, এটা ব্যাংকের ফি।
তারপর দেখুন নিচের মতো এইরকম কিছু একটা আসছে কিনা।
না আসলে টেনশনের কিছুই নাই। আবার ড্যাশবোর্ডে গিয়ে দেখুন টিকিট পার্চেস লিস্টে আপনার একটি টিকিট পার্চেস হয়ে গেছে। সেইখানে আপনার ফোন নাম্বার আর একটি কোড পাবেন। সেই কোড আর ফোন নাম্বার দিয়ে আপনি টিকিট কাউন্টার থেকে হার্ড কপির টিকিট নিতে পারবেন (কোন টাকা লাগবে না)।
আর যদি পার্চেস লিস্টে আপনার আপনার টিকিট হয়ে থাকে – তাহলে অবশ্যই আপনার মেইল এড্রেসে একটা মেইল যাবে। আর তা হলো একটা পিডিএফ ফাইল। আর এই ফাইলটাই হলো আপনার অনলাইন টিকিট।
নোটঃ যদি আপনার নিজ একাউন্ট থেকে টিকিট ক্রয় করে থাকেন তাহলে আপনার মেইলে থাকা PDF ফাইলের প্রিন্ট কপিই যথেষ্ট ভ্রমনের জন্য। আর যদি সিট একের অধিক হয় আর আপনি তাদের সাথে থাকেন তবুও PDF ফাইলেই যথেষ্ট। তবে সাথে আপনার পরিচয়পত্র রাখলে ভাল হয়। আর যদি আপনার একাউন্ট থেকে কিনে অন্য কেউ ভ্রমন করে বা আপনি অন্য কারো একাউন্ট থেকে টিকিট কিনে আপনার ভ্রমনের জন্য ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফোন নাম্বার আর পিন কোড দিয়ে টিকিট কাউন্টার থেকে হার্ড কপি প্রিন্ট করে নিতে হবে (এতে আপনার কোন টাকা দেয়া লাগবে না।)
ফোন নাম্বার আর কোড নাম্বার কারো সাথে শেয়ার করবেন না। যতক্ষন না আপনি আপনার গন্তব্যে পৌছিয়েছেন। এতে করে যে কেউ কোড আর ফোন নাম্বার দিয়ে টিকিট কাউন্টার হতে টিকিটের হার্ড কপি প্রিন্ট করে নিয়ে আসতে পারবে।
(ভ্রমন শেষে মানে যত তারিখের টিকিট তার পরের তারিখে পার্চেস এর মেয়াদ মানে কেনার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে দেখবেন পার্চেস লিস্টে সেই কোড আর ফোন নাম্বার নেই মানে মেয়াদ শেষ।)
আর যদি আপনার পেমেন্ট কমপ্লিট না হয় তাহলে আপনার কোন টাকা ও কাটবে না মানে যথেষ্ট টাকা থাকলে বা সার্ভার প্রব্লেম থাকলে। তবে সার্ভার Problem হলে আবার ট্রাই করলেই সফল হয়ে যাবেন।
উপরে মেইল থেকে প্রাপ্ত টিকিটের চেহারা দেখানো হলো।
পোস্ট পড়ে না বুঝলে আশা করি ভিডিও দেখে ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
ভিডিওঃ
আল মামুন
কিশোরগঞ্জ