Site icon Trickbd.com

আপনার মৃত্যুর পরে সোশাল অ্যাকাউন্টটির ইউজার নেম ও কত দিন এক্টিভ থাকবে এবং অ্যাকাউন্টটির কী হবে। (বিস্তারিত ভেতরে)

Unnamed

সামাজিক গণমাধ্যম আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভুমিকা পালন করে।

এর মাধ্যমে অপরিচিতদের সঙ্গেও সামাজিক যোগাযোগ গড়ে তোলা, নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার, নতুন বন্ধু তৈরি এবং নিজের মতামত ও চিন্তা প্রকাশ সহ নানা সুযোগ তৈরি হয়েছে।

আপনি যখন নিজ হাতে আপনার সামাজিক গণমাধ্যম অ্যাকাউন্টটি চালাবেন তখন কোনো সমস্যা নেই।

কিন্তু আপনার মৃত্যুর পর আপনার এই ডিজিটাল সত্ত্বার কী হবে তা কি ভেবে দেখেছেন কখনো?

ভিন্ন ভিন্ন সোশাল মিডিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশ্নের উত্তরটিও ভিন্ন হতে বাধ্য।

কারণ ভিন্ন ভিন্ন সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতিও ভিন্ন ভিন্ন রকম।

আসুন আজ জেনে নেওয়া যাক ফেসবুক থেকে শুরু করে টুইটার এবং আরও কিছু সোশাল একাউন্ট এর কী হবে আপনার মৃত্যুর পর

 ফেসবুক


ফেসবুক এখন প্রায় সকলেই ব্যবহার করি আমরা। প্রতিদিন এর পেছনে অনেকটা সময় নষ্ট করি। এই একাউন্টটির কি হবে আপনার মৃত্যুর পর?!!

আপনি চাইলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনার মৃত্যুর পর আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেবে অথবা চালু রাখবে।

আপনি যদি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি আপনার মৃত্যুর পরও স্মৃতি হিসেবে চালু রাখতে চান তাহলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনার প্রোফাইল নামের পাশে ‘Remembering’ অর্থাৎ স্মরণে এই শব্দটি দেখাবে।

তবে আপনার মৃত্যুর পরে আপনার অ্যাকাউন্টটি কে চালাবে সে ব্যাপারে আপনাকে একটি আইনি চুক্তি বা উইল এর কপি ফেসবুক এর কর্তৃপক্ষকে পাঠাতে হবে।

এতে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আপনার কি সম্পর্ক এবং তার নাম জানাতে হবে।

মৃত্যুর পর ডেথ সার্টিফিকেটকে দেখিয়ে ওই ব্যক্তি আপনার অ্যাকাউন্টটি নিজের আয়ত্বে নিয়ে আসতে পারবে এবং ব্যবহার করতে পারবেন।

ইউটিউব


নতুন কোন ভিডিও দেখার কথা মাথায় আসলেই প্রথমে ইউটিউব এর কথা মাথায় আসে আমাদের।

এই ইউটিউবও তাদের ইউজারদের কে মৃত্যুর পর নিজেদের অ্যাকাউন্টের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সুযোগ দিয়ে রেখেছে।

যারা ইউটিউবে চ্যানেল খুলে প্রচুর টাকা আয় করছেন তাদের জন্য এটা খুবই উপকারী হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো আপনার মৃত্যুর পর আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি কে চালাবে সে-সংক্রান্ত একটি আইনি ডকুমেন্ট পাঠাতে হবে ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কাছে।

আপনি যদি তা না চান তাহলে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ নিজেরাই আপনার চ্যানেলটি বন্ধ করে দেবে।

কোনো ইউটিউব চ্যানেলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোনো তৎপরতা না চালানো হলে সেটি এমনিতেই বন্ধ করে দেয় ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।

ইনস্টাগ্রাম


ইনস্টাগ্রামের নীতিও সব একদম ফেসবুকের মতোই।

ইনস্টাগ্রামের অ্যাকাউন্টও মৃত্যুর পর চাইলে বন্ধ করে দেওয়া যায় বা স্মৃতি হিসেবে চালু রাখা যায়।

তবে এইক্ষত্রে সিদ্ধান্ত আপনার হাতে নেই,, আপনার মৃত্যুর পর যে ব্যক্তি আপনার মৃত্যু সনদ ইনস্ট্রাগ্রামকে দেখাতে পারবে সে ব্যক্তিই আপনার অ্যাকাউন্টটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারবেন।

তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন আপনার ইনস্ট্রাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি চালু থাকবে না বন্ধ করে দিবেন।

টুইটার


মৃত্যুর পর আপনার টুইটার অ্যাকাউন্টের কী হবে সে ব্যাপারে টুইটারের আলাদা কোনো নীতি নেই।

তবে টুইটারের নীতি অনুযায়ী আপনার মৃত্যুর পর আপনার পরিবারের কেউ চাইলে আপনার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিতে পারবে।

এ ক্ষেত্রে তিনি যে আপনার পরিবারের সদস্য সে প্রমাণ অবশ্যই দিতে হবে।

প্রমাণ দিতে পারলে তার অনুরোধে টুইটার আপনার পোস্ট, ছবি এবং কি আপনার অ্যাকাউন্ট অপসারণ করতে পারে।

আর এ জন্য অবশ্যই আপনার মৃত্যুর প্রমাণপত্র ও টুইটার কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হতে পারে।

ইউজার নেম

মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট গুলোর না হয় কোন একটা কিছু হবে,, তবে অ্যাকাউন্ট গুলোর ইউজার নামের কী হবে?

এমন প্রশ্ন মনে আসতেই পারে,,,

ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম সহ প্রতিটি সামাজিক গণমাধ্যম প্ল্যাটফর্মেরই প্রতিটি ইউজারের একটি অন্যন্য ‘ইউজার নেম’ আছে।

লিঙ্কড ইন এবং ফেসবুক আপনার মৃত্যুর পর চাইলে তা অন্য কাউকে দিয়ে দিতে পারবে।

কিন্তু ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং গুগল আপনার ইউজার নেম অন্য কাউকে দেবে না।

মৃত্যুর পর অ্যাকটিভ অ্যাকাউন্ট

মৃত্যুর পর কতদিন আপনার সোশাল অ্যাকাউন্টটি অ্যাকটিভ থাকবে?

এইটা হয়তো অনেকের কাছেই জানা নেই,,,

আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি যতদিন আপনার মৃত্যুর খবর ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে কেউ না জানাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে।

পিনটারেস্ট অ্যাকাউন্ট কখনো বন্ধ করা যাবে না। তবে টুইটার বন্ধ করা যাবে ৬ মাস পর।

তবে গুগল আপনার মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেবে।

আশা করি তথ্য গুলো আপনাদের কাজে আসবে।

ধন্যবাদ।