Site icon Trickbd.com

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সর্বশেষ অবস্থা ও আমাদের করণীয় [Freebasic দিয়েও আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানতে পারবেন]

Unnamed

আসসালামুয়ালাইকুম

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ভারতীয় ভূ-খন্ডে ওড়িশার উপকূলবর্তী
এলাকায় আঘাত হানার পর থেকে ক্রমাগত স্থলভাগে
অবস্থান করায় শক্তি কমতে থাকে।
এই কারণে বাংলাদেশের উপর খুব বেশী শক্তিশালী
প্রভাব পড়তে পারে নি।

বর্তমানে ঝড়টির কেন্দ্র খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা,
মেহেরপুর জেলা থেকে খুবই নিকটে রয়েছে।
ঝড়টির মধ্যকার মেঘসহ ঝড়ো হাওয়া প্রায় সম্পূর্ণ
বাংলাদেশের উপর রয়েছে।

ঝড়টি খুলনা বিভাগের উত্তর অংশ দিয়ে বাংলাদেশে
প্রবেশের পর সিলেট বিভাগ হয়ে বাংলাদেশে ত্যাগ
করতে পারে।

দেশের মধ্যে স্থানভেদে দমকা হাওয়ার গতিবেগ
৬৫ কি:মি:/ঘন্টা থেকে ১১০ কি:মি:/ ঘন্টা পর্যন্ত

হতে পারে।
উপকূলের দিকে এই গতিবেগ আরো বেশী থাকবে।
চট্রগ্রাম বিভাগের দক্ষিণ অংশে প্রভাব কম থাকবে।

‘ফণির’ আঘাতে সবচেয়ে বেশি আক্রন্ত এলাকাগুলো হলো (৬০-৮০ কিলো/ঘন্টা ঝড়)-
যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, নড়াইল, ফরিদপুর, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, খুলনা, গোপালগঞ্জ, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ এবং তার আশেপাশের এলাকা।সতর্কতা সংকেত একই রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের আগে করণীয়:-

* সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেখে আতঙ্কিত না হওয়া।

* যেকোনো পেইজে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পোস্ট দেখে আতঙ্কিত না হয়ে টিভি অথবা এফএম রেডিও এর খবর শুনুন। বিপদে শান্ত থেকে সমাধানের চেষ্টা করাই আসল কাজ।

* চার্জ দেওয়া: পাওয়ার ব্যাংক, চার্জার লাইট, টর্চ লাইট এ চার্জ ফুল রাখুন। এর আগে ঘূর্ণিঝড় আইলার জন্য এক দিনের বেশি বিদ্যুৎ, গ্যাস, মোবাইল ফোনের সেবা পাওয়া যায়নি।

ঢাকায় আছি বলে কিছু হবে না, এমন মনে করা বোকামি। ব্যাকআপ হিসেবে মোমবাতি এবং লাইটার রাখা ভালো। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আগুণ সব সময়ই শেষ পন্থা।

* ফার্স্ট এইড বক্স: প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পানিবাহিত রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। ডায়রিয়া, জ্বর এর জন্য স্যালাইন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহে রাখুন।

* নিরাপদ আশ্রয়: বাসা টিন শেড হলে বা নিচ তলায় হলে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পানিরোধক বাক্সে টেপ এবং পলিথিন পেঁচিয়ে রাখুন। ফ্লোরে মাল্টিপ্লাগ রাখবেন না।

* শুকনো খাবার: নিরাপত্তার জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোন লাইন বন্ধ থাকতে পারে। রাস্তা বন্ধ থাকতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনা খাবার সংগ্রহে রাখুন।

* রেলিংয়ের ওপর ফুলের টব, কনস্ট্রাকশন এর জিনিস: এই ধরনের জিনিস নিরাপদ স্থানে রাখুন। খোলা জায়গায় কনস্ট্রাকশনের জিনিস রাখবেন না। বাসার পাশে নির্মাণাধীন ভবন থাকলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।

ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে করণীয়

* রাস্তায় থাকলে শপিং মল, মসজিদ, স্কুল বা যেকোনো বিল্ডিং এ আশ্রয় নিন। কোনোভাবেই খোলা আকাশের নিচে থাকা যাবে না।

* এই সপ্তাহে জ্যামে পড়লে গাড়ির পাশে জায়গা রেখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন যেন বিপদের মুহূর্তে দরজা খোলা যায়।

* বিল্ডিংয়ে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের মেইন লাইন অফ করে দিন।

* দরজা জানালা বন্ধ রাখুন যাতে বাইরে থেকে ময়লা বা ভারী কিছু উড়ে এসে আঘাত করতে না পারে।

* টিনশেড বাসা বা নিচু জায়গায় হলে যদি নিরাপদ মনে না হয়, নিরাপদ কোথাও আশ্রয় নিন।

* ফোনে রেডিও শুনতে হবে। ডেটা কানেকশন চালু রেখে ফেইসবুক স্ক্রল করলে ব্যাটারিও দ্রুত শেষ হবে, নেটওয়ার্কও বেশি ব্যস্ত থাকবে।

* কোনো ভাবেই ট্যাপের পানি সরাসরি খাওয়া যাবে না। ফুটিয়ে বা ভালো ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে।

* খুব বেশি জরুরি না হলে রাস্তায় বের হওয়া যাবে না। ইলেকট্রিক শক খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

* ফোনে কথা বলে নেটওয়ার্ক ব্যস্ত না রেখে এসএমএস ব্যবহার করে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করুন।

Freebasic দিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানতে AccuWeather এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন!

স্ক্রিনসটস গুলো দেখুন:-

লাইক ও কমেন্ট করে উৎসাহিত করতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ