আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন??
বেশি সকালে ঘুম থেকে উঠলে, রাতে ঘুম ভালো না হলে, অতিরিক্ত কাজের চাপে পড়লে, শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলে অনেক বেশি ক্লান্তি এসে ভর করে শরীরে। ক্লান্তিভাব না কাটা পর্যন্ত কাজ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। শরীর টেনে নিয়ে বসে থাকাই দায় হয়ে যায়। এইধরনের সমস্যার সম্মুখীন কমবেশি সকলেই হয়েছেন। আজকে জেনে নিন এই সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পেতে কি করা উচিত।
আমরা স্বাভাবিক ভাবে যখন নিঃশ্বাস নিই তখন তা পরিপূর্ণভাবে নিঃশ্বাস নেয়া হয় না। এতে করে আমাদের দেহে অক্সিজেন সঠিক পরিমাণে পৌছায় না। যার ফলে দেহে ভর করে ক্লান্তি স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশি। তাই খুব বেশি ক্লান্ত লাগলে বড় বড় করে নিঃশ্বাস নিতে থাকুন।
যখন আমাদের দেহে পানির অভাব হয় অর্থাৎ আমরা ডিহাইড্রেশনে ভুগি তখন অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর। তাই ক্লান্তিভাব দূর করতে ১ গ্লাস পানি পান করে নিন। এতে করে দেহের পানিশূন্যতা দূর হবে, সেই সাথে ক্লান্তিও।=
অনেকে ভাবতে পারেন গান শোনার সাথে দেহের ক্লান্তির কী সম্পর্ক। কিন্তু আমাদের আশেপাশের পরিবেশ যখন অনেক বেশি নীরব থাকে তা আমাদের মস্তিষ্ককে খুব দ্রুত বোর করে ফেলে, এতে করেও মস্তিষ্ক আমাদের দেহে সিগন্যাল দেয় আমরা ক্লান্ত। এই ক্লান্তি দূর করতে একটু উঁচু বিটে গান শুনুন। দেখবেন ক্লান্তি কেটে যাচ্ছে।
আমরা যখন উচ্চস্বরে, প্রানখুলে হাসি তখন আমাদের মস্তিষ্কে এনডোরফিনের মাত্রা বাড়ে যা আমাদের মধ্যে ভালোলাগার সৃষ্টি করে। এই অনুভূতি দেহের ক্লান্তিও দূর করে দেয় নিমেষেই।
বাদাম খানঃ
বাদাম হলো এনার্জির অনেক সহজলভ্য এবং স্বাস্থ্যকর উৎস। হাতের কাছেই রাখুন বাদাম, যখনই অনেক বেশি ক্লান্তি অনুভব করবেন বাদাম খেয়ে ক্লান্তি কাটিয়ে নিন।
এক জায়গায় অনেকক্ষণ বসে একঘেয়ে কাজ করতে থাকলে দেহে অনেক বেশি ক্লান্তি এসে ভর করে। এর থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে একঘেয়েমি কাটানো। আর সেকারণেই উঠে খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে নিন। দেখবেন ক্লান্তি দূর হয়ে গিয়েছে অনেকাংশেই।
এ ধরনের পোস্ট আপনার কাছে কেমন লাগে??? তা অবশ্যই আপনাকে কমেন্ট বক্সে লিখতে হবে। আর ভালো লাগলে তাৎক্ষণিক শেয়ার করে ফেলুন।
তো আজকের মত এ পর্যন্তই, আসছি নতুন কিছু নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন ধন্যবাদ।
আর্নিং অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইট তৈরি করার কথা ভাবছেন?? তাহলে যোগাযোগ করুন: ফেসবুক।