সূর্যের বলয় গ্রাস গ্রহণ, গ্রহণের সময় খাওয়া মানা, কি বলছে বিজ্ঞানিরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই ভালো আছেন।
তো আমাদের সবার মথার মধ্যে একটা জিনিস গুঘ পাক খাচ্ছে সে টা হচ্ছে সূর্য গ্রহণ।
সূর্যের বলয় গ্রাস গ্রহণ, গ্রহণের সময় খাওয়া মানা, কি বলছে বিজ্ঞানিরা।
এ বিষয় আমরা অনেকে এ বিষয়ে অবগত আছি সো জানার ইচ্ছা অনেক তাই এ বিষয়ে আপনাদের মাঝে যতদূর পারি জানানোর চেষ্টা করবো যাতে আপনারা কিছু না কিছু জানতে পারবেন।
আজ বছরের হতে যাচ্ছে শেষ সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে অনেক কু-সংস্কার মনের মধ্যে রয়েছে এবং সত্যি কু-সংস্কার যেমন এই ধরো খাবার খেতে নেই কিন্তু কেনো সমস্ত তথ্য এই পোষ্টের মাধ্যেমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।
একে তো বছরের শেষ তাও আবার বিরল ধরনের ঘটনা সূর্যগ্রহণ তবে পশ্চিমববঙ্গ এবং বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না,আংশিক ভাবে দেখতে পারবেন।
শ্রীলংকা, দক্ষিণ ভারতের চেননাই,সৌদি আরব,এমিরত,ওমান,মালোশিয়া,সিঙ্গাপুর,ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন খুব ভালো ভাবে দেখত পাওয়া যাবে।
সূর্যগ্রহণ টি পশ্চিম বঙ্গ থেকে দেখা যাবে সকাল ৮.২৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড এবং শেষ হবে ১১.৩৫ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে এবং বাংলাদেশ থেকে শুরু হবে সকাল ৮.৫৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে এবং শেষ হবে দূপুর ১২.৫ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে।
জোর্ত্যির বিজ্ঞানিরা বলছেন খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা উচিৎ নয় ক্ষতি হতে পারে এটা দেখা যাবে বিশেষ ধরনের চশমা দিয়ে যেটা সূর্য রশ্মিকে বাধা দিতে পারে,মানে সোলার ফিগার লাগানো থাকে।
কালো চশমা দিয়ে সূর্যগ্রহণ দেখা ঠিক হবে না চোখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবণা রয়েছে।
ওয়লডিং করার কাজে যে গ্লাস ব্যবহার করা হয় সেটা কিন্তু নাসা অনুমোদন করে।
কেনো সূর্যগ্রহণ হয়?
জোর্ত্যির বিজ্ঞানিরা জানিয়েছেন পৃথিবী ও সূর্য এক লাইনে চলে আসে চন্দ্র দ্বারা সূর্য আরাল হয়ে যায়।
তখনই সূর্যগ্রহণ হয় এটা শুধু আমাবস্যা দিনেি হয়।
কারণ পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে, যার ৫ দশমিক কোণে ঘরে হয় যার কারণে প্রতি আমাবস্যায় সূর্যগ্রহণ হয় না।
সূর্যগ্রহণ চার প্রকার হয়ে থাকে।
১.আংশিক গ্রহন হয়।
২.পূর্ণ গ্রহণ।
৩.বলয় গ্রহণ।
৪.হাইব্রিড গ্রহণ।
১৯০১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত মোট সূর্যগ্রহণ হয়েছে ২২৮ টি এর মধ্যে
১.আংশিক গ্রহণ ৭৮ টি।
২.পূর্ণ গ্রহণ ৭১ টি।
৩.বলয়গ্রহণ ৭৩ টি।ও
৪.হাইব্রিডগ্রহণ ৬ টি।
২০০১ সাল থেকে ২১০০ পর্যন্ত মোট সূর্যগ্রহণ ঘটবে ২২৪ টি এর মধ্যে
১.আংশিক গ্রহণ ৭৭ টি।
২.পূর্ণ গ্রহণ ৬৮ টি।
৩.বলয়গ্রহণ ৭২ টি।
৪হাইব্রিডগ্রহণ ৭ টি।
পরবর্তী সূর্য গ্রহণ টি হবে আগামী বছরের ২১ই জুন এটি হবে বলয়গ্রহণ এটি দেখা যাবে ইউরোপ ও অস্টলিয়া কিছু অংশে এবং আফরিকার ও এশিয়ার অধিকাংশ অন্চল থেকে।
বন্ধুরা মোটামোটি সূর্যগ্রহণ নিয়ে এই তথ্য গুলো ছিলো।
এবার আমি জানবো সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে সেই সময় খাবার খাওয়া যাবে না।
বিজ্ঞান কি বলে বিজ্ঞান কিন্তু এই কু-সংস্কার
খাওয়া না খাওয়া তার কোনো বিধি নিষেধ নেই,
তবে এটা কিন্তু ফ্যাক্ট বিজ্ঞানিরা বলে থাকেন যে গ্রহণের সময় কিছু কিছু ক্ষতি কর রশ্মি প্রভাব ফেলে যেমন অতিবেগুনি রশ্মি বেশি মাত্রায় বিক্রিত হয় যা খাবারের মধ্যে যেতেই পারে। চন্দ্র গ্রহণের সময় রশ্মি কম থাকে কিন্তু সূর্যগ্রহণের সময় বেশি থাকে,ফলে খাবারই বলুন আর জীবিত কোষই বলুন ক্ষতি হতেই পারে।
আর খাবার যদি হয় রান্নাকরা তাহলে আরো হলো বিপদ কারন রান্নাকরা খাবারে থাকে জল আর গ্রহণের সময় রশ্মি বিকরণ রেডিওয়েশন সব থেকে বেশি ক্ষতিকর প্রভাব পরে এ জলে আর রান্না করা খাবারে ও থাকে জল যেহেতু সেটা ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এই ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে বাচার জন্য খাবারে দেওয়া হয় তুলসী পাতা কিন্তু কতটা রেডিয়েশন কমায় তা নিয়ে সন্ধেহ থেকে যায়।
তাহলে কি বুঝলেন গ্রহণের সময় খাবার খেতে নেই বা কু-সংস্কার তাহলে এখনই আপনার ধারণা বদলান
কারন বিজ্ঞান ও শাস্র যুক্তি আছে দুপক্ষের ই এবার মতামত আপনার।
সুন্দর সুন্দর পোষ্ট দেখে আসুন আশা করি উপকারে আসবে।
এমন ভালো ভালো টেক রিলেটেড পোষ্টা পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ঘুরে আসুন।
আশা করি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে এমন পোষ্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আশা করি উপকৃত হতে পারছেন।
ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করে দিবেন।
এমন হাজারো পোষ্ট পেতে আমাদের ব্লগে ঘুরে আসুন। এতোক্ষণ ধৈর্যধরে পোষ্টা পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকুন সুস্ত থাকুন।