Site icon Trickbd.com

যা ঘটতে চলেছে পৃথিবীর সাথে ! করোনা ভাইরাসের যে গোপন তথ্যগুলো এখনও আপনার অজানা | আপনি যদি‌ করোনার কবলে একবার পড়েই জান তাহলে কিভাবে রেহাই পাবেন?

Unnamed

হোয়াটসঅ্যাপ গাইজ কি অবস্থা সবার?


করোনাভাইরাস বর্তমান পৃথিবীতে এ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবথেকে ভয়ঙ্কর ভাইরাস হচ্ছে করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ এবং যেটা বর্তমানে ক্যান্সার এর থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর একটি মরণব্যাধি বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় সব রোগের ওষুধ আবিষ্কৃত হয়ে গেল ও এখন পর্যন্ত কোন ভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি,

আপনি যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পারবেন যে আমাদের পৃথিবী প্রতি ১০০ বছর পর পরই কোন একটা বিশাল মহামারীর দ্বারা আক্রান্ত হয় অর্থাৎ ১৭২০ সালে প্লেগ রোগ, ১৮২০ সালে কলেরা, ১৯২০ সালে স্পানিশ ফ্লি এবং ২০২০ সালে এই করোনাভাইরাস।


এবং এই করোনাভাইরাস আমাদের পৃথিবীতে কিভাবে আসলো তা একটা বেশ রহস্যজনক ব্যাপার কারন আমরা হয়তোবা অনেকেই জানি ১৯৮১ সালে দিনকুন্জ নামে একজন লেখক একটি বইতে এই জাতীয় কোন একটা ভাইরাসের ব্যাপারে ভবিষ্যৎবাণী করেছিল, এবং সে বইটিতে বলেছিল যে 2020 সালে কোন একটা ভাইরাসে পৃথিবীতে আক্রমণ করবে যেটা খুবই কম সময়ের মধ্যে মানব শরীরে আক্রমণ করবে এবং তিনি যে ভাইরাসের ব্যাপারে বলেছিলেন তার সাথে করোনা ভাইরাস এর বেশ মিল পাওয়া যায়।

এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিখ্যাত গবেষণা কেন্দ্র জন হপকিন্স সেন্টার ফরেন সিকিউরিটি গত অক্টোবর মাসে একটি স্বাস্থ্য সর্তকতা জারি করেছিল যাতে তারা ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিল নতুন কোন একটা ভাইরাসে পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে এবং সেই ঘোষণার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে এই করোনা ভাইরাস আক্রমণ করে বসে।


এই ভাইরাসটি সেনসিটিভ আপনার হাঁচি-কাশির এমনকি হাতের স্পর্শের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে এমনকি অসুস্থ ব্যক্তির স্পর্শ করা কোন জিনিসপত্র স্পর্শ করলেও আপনি এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন এই ভাইরাসটি সরাসরি ফুসফুসের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায় তাই আপনার নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে ভাইরাসটি একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ট্রান্সফার হয় চীনের উহান এর একটি স্থানীয় বাজার থেকে এই ভাইরাসটি প্রথম ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

যে বাজারে বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণী সামুদ্রিক মাছ বিষধর প্রাণী ও বেচাকেনা করা হতো আবার কোনো কোনো ধারণা মতে ভাইরাসটি মানুষের দ্বারাই সৃষ্টি করা হয়েছে যাই হোক আমরা সেসব আলোচনায় যাচ্ছি না কারণ ভাইরাসটি অলরেডি ছড়িয়ে পড়েছে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ অলরেডি ভাইরাসটিকে এফেক্টেড হয়ে মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।


তবে এখানে উল্লেখ্য যে করোনাভাইরাস নামক এই রোগটি এতটাও ভয়ঙ্কর নয় যে এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগী মারা যাবে এবং এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে যত মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে তাদের অধিকাংশেরই পূর্বে থেকে অন্য কোন রোগ ছিল তবে আপনি যদি একবার এই রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করেন তবে দ্বিতীয়বার এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

এই রোগের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে শ্বাস নিতে প্রচন্ড কষ্ট হবে এর সঙ্গে আপনার জ্বর এবং কাশি হবে মাথাব্যথা হতে পারে সেইসাথে সর্দি-কাশিসহ আপনার কিডনি পর্যন্ত বিকলাঙ্গ হয়ে যেতে পারে আপনার প্রচন্ড পরিমানে গলা ব্যথা হবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে ডায়রিয়া এবং বমি হতে পারে এবং এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার এক পর্যায়ে আপনার গলা অর্থাৎ কণ্ঠস্বর ভেঙে যাবে শরীরের যে কোন অংশে ব্যাথা হতে পারে এবং সেটা আস্তে আস্তে সারা শরীরে মুভ করবে।


শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথাসহ শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে আস্তে আস্তে আপনার জয়েন্টের ব্যথা আঙ্গুর গুলোর দিকে প্রসারিত হবে তীব্রভাবে ডায়রিয়া এবং বমি হতে থাকবে এবং শরীরের তাপমাত্রা আস্তে আস্তে ৩৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ছাড়িয়ে যাবে তবে এই যে লক্ষণগুলো বলা হলো এগুলো আপনি তখনই বুঝতে পারবেন যখন আপনার বয়স ৬০ থেকে ৭০ এর বেশি হবে তাছাড়া আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন তাহলে আপনি সাধারণ সর্দি-কাশির জ্বরসহ হালকা গলা ব্যথা অনুভব করতে পারেন।

তবে এই ভাইরাসকে কেন্দ্র করে মানবমনে অতিরিক্ত ভীতি এবং কিছু গুজব সৃষ্টি হয়েছে প্রকৃতপক্ষে এই করোনাভাইরাস তেমন কোনো শক্তিশালী ভাইরাস নয় , আপনি যদি সঠিক নিয়ম অনুসারে চলাফেরা করেন তবে আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও আপনি খুবই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।


করোনা সম্পর্কিত যেসব সর্তকতা আপনাদেরকে অবলম্বন করতে হবে সেগুলো হল, ঘরের বাইরে গেলে ব্যবহার করতে হবে গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে হবে বিশেষ করে লোকাল বাস, প্রচুর পরিমাণ ফলের রস এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে ঘরে ফিরে স্যান্ডউইচ কিংবা সাবান দিয়ে ভালো করে ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত হাত ধুয়ে নিতে হবে হ্যান্ডওয়াশ স্যানিটাইজার না পাওয়া গেলে অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত কাপড় কাচা সাবান দিয়ে অবশ্যই ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে।

এক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে আপনার হাতে লেগে থাকা করোনাভাইরাস কে মারতে হলে আপনাকে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে এখানে ৫ বা ১০ সেকেন্ড ধরে হাত ধরে হাত ধুলে আপনার সাবানের প্রভাব করোনাভাইরাস এর উপরে কাজ করবে না , যার কারণ হলো করোনাভাইরাসের শরীরের উপরের রেয়ার চর্বি দিয়ে তৈরি এবং ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করলে এই ভাইরাসের উপরের চর্বি ভেঙে ভাইরাস মারা যায় তাই আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি ২০ সেকেন্ড ধরেই হাত ধুচ্ছেন।


কিছু খাওয়া কিংবা রান্না করার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে ডিম কিংবা মাংস রান্নার সময় ভালো করে সেদ্ধ করতে হবে মহিলা কাপড় চোপড় দ্রুত ধুয়ে ফেলতে হবে নিয়মিত থাকারঘর এবং কাজের জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে অপ্রয়োজনে ঘরের জানালা দরজা খোলা রাখবেন না।

এখানে একটা বিষয় উল্লেখ্য যে পোষা কুকুর বিড়াল থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ায় বলে একটি গুজব রিসেন্টলি আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়েছে যা পুরোপুরি ভাবে ভিত্তিহীন এই গুজবের মাশুল দিতে হচ্ছে এই অবুঝ প্রাণী গুলোকে গুজব ছড়িয়ে পড়ার কারণে সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গার পোশাক এবং রাস্তার কুকুর বিড়াল গুলোকে হত্যা নির্যাতনসহ নানা রকম অমানবিক আচরন করা হচ্ছে এবং পোষা প্রাণী থেকে যে করোনা ভাইরাস ছড়ায় এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ ও মেলেনি। আর কুকুর বিড়াল যে করোনাভাইরাস বাহক না সেটিও নিশ্চিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।


করোনা ভাইরাস থেকে উত্তরণের উপায় করোনাভাইরাস যদি আপনার একবার হয়েই যায় তবে আপনি এ থেকে কিভাবে রিকভার করতে পারেন চলুন সেটা নিয়ে একবার আলোচনা করা যাক, যেহেতু এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোন মেডিসিন আবিষ্কৃত হয়নি এবং যেহেতু এই ভাইরাসটি খুবই দুর্বল সেহেতু আমরা আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি সিস্টেমকে কাজে লাগাতে পারি এই এন্টি বডি সিস্টেমকে আমরা সচল রাখতে পারি পর্যাপ্ত পরিমাণ এক্সারসাইজ এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি খেয়ে।

যা আপনি পেতে পারেন আমলা আমলকি সহ আরও অন্যান্য ফল থেকে এবং শুধুমাত্র আমরা যদি আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি সিস্টেম অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে পারি তাহলেই করোনা থেকে রিকভারি করা খুব একটা কঠিন ব্যাপার নয়, এবং এই সময়ে যেসব খাবার আমাদের শরীরের ক্ষতি করে সেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত এবং এছাড়াও আপনাকে বাসায় থাকার রুলস গুলো পুরোপুরিভাবে ফলো করতে হবে।


করোনা যখন চীনের ওহান শহরে মহামারী আকার ধারণ করেছিল তখন করোনাভাইরাসের দাপটে উহান সহ বহু শহর অবরুদ্ধ করে দিয়েছিল চিন। এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, এমনকি এখনও তারা করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের দেহ পুড়িয়ে ফেলছে, আর তাতেই বিভাগে পড়ছে শ্মশান কর্মীরা রীতিমতো ২৪ ঘন্টায় এখন মরদেহ পড়াতে হচ্ছে তাদের লাসের আত্মীয়-স্বজনদের কারোর সাথেই দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।

এবং ইতালিতে বর্তমানে এর চেয়েও ভয়ঙ্কর অবস্থা। সেখানে করোনা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের দেহ কফিনে অবরুদ্ধ করে কোনরকম শেষকৃত্য ছাড়াই কবর দেয়া হচ্ছে , লাসের আত্মীয়-স্বজনদের সাথেও কাউকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না,


ইরান একটি মুসলিম কান্ট্রি হওয়া সত্বেও সেখানে কোনো রকম জানাজা নামাজ ও পড়ানো হচ্ছে না সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায় ইরানে করোনা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির মৃতদেহ স্পর্শ ছাড়া কবরে দাফন করা হচ্ছে এবং সেটাও খুবই নির্মম ভাবে মৃত ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনরা তাদেরকে স্পর্শ করতেও ভয় পাচ্ছে সত্যি বলতে মানুষের মৃতদেহ যেন বিভিন্ন জীবজন্তুর মত করেই দাফন দেয়া হচ্ছে।

এবং পরিশেষে এটাই বলা যায় যে করোনাভাইরাস যথেষ্ট দুর্বল একটি ভাইরাস এবং এই ভাইরাসটি নিয়ে এত গুজব মাতামাতি না করে একটু সাবধান থাকলেই আমরা রক্ষা পেতে পারি এই মহামারী থেকে তাই নিজে ভালো থাকুন এবং অন্যকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন ধন্যবাদ।

This Post is sponsored by mayajaal YouTube channel……


আর গেজেট রুট বিডিতে পাওয়া যাচ্ছে “আইটেল ভিশন ১” মাত্র ৬,৪০০ টাকা দিয়ে অর্ডার করতে ফোন করুন ০১৮৬৫৭৩৩২৪০
বিঃদ্রঃ সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারণে আগামী ৪ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।