Site icon Trickbd.com

মার্কিন ডলার যেভাবে ইন্টারন্যাশনাল কারেন্সি হলো The way the US dollar became the international currency

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

মার্কিন ডলার যেভাবে ইন্টারন্যাশনাল কারেন্সি হলো

বন্ধুরা আপনি যদি আপনার জীবনে একটি International transactions করে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই জানেন International transactions শুধু একটা কারেন্সিতেই হতে পারে এবং সেটা হচ্ছে ডলার। শুধু তাই নয় কোন Country Icnomic অবস্থা Valuation করার সময় একটা পয়েন্টকে বেশি কনসিডার করা হয় সেটা হলো ঐ Country Foreign Reserve কত ডলার রাখা হয়েছে। হে এটা সত্যি এখন দুনিয়া কিছু transactions জাপানি, ইয়েন ও কিছু transactions ইউরোতে হয়। কিন্তু এখন ৯০% International transactions ডলারে হয়ে থাকে। এখন কথা হচ্ছে কেন এবং কিভাবে ডলার এতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল। একটি মাত্র দেশ আমেরিকার কারেন্সি World কারেন্সি হিসেবে বিবেচিত হল। যদি জানতে চান আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

বন্ধরা ডলারের International যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৪৪ সাল থেকে। এই সময়টা শুধু আন্ডারওয়ার্ল্ডের শেষ সময় ছিল না। বরং তখন পুরো পৃথিবী ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছিল। তখন পুরো দুনিয়ায় সামনে একটা প্রশ্ন দাঁড়িয়ে ছিল সেটা হলো যুদ্ধের ফলে এতো ক্ষয়ক্ষতি কিভাবে কাটিয়ে উঠবে। এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে আমেরিকাতে একটি মিটাং ডাকা হয়।

যেখানে ৪৪ টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল। এই মিটাং বৃটেন ওড নামে পরিচিত। এই মিটিং এ IMF এবং World Bank বানানো অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নেয়।এই সব সিদ্ধান্তের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত ছিল যেটা আমেরিকাকে অনেক শক্তিশালী বানাতে চলেছিল। কেননা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আমেরিকা ছিল সবচেয়ে কম ক্ষতি হওয়া দেশ। এর পাশাপাশি তখনো আমেরিকার ইকোনমিক পুরো দুনিয়ায় মধ্যে ভালো অবস্থানে ছিল।

তখন আমেরিকার কারেন্সি একমাত্র কারেন্সি ছিল যেটা Renewable and trustable দুটোই ছিল সে জন্য বৃটেনের সাপোর্টে World Bank এবং IMF এর হওয়া সমস্ত transactions আমেরিকার কারেন্সিতে করা বাধ্যতাম মুলক করা হয়। এবং World রিযাব কারেন্সিতে হিসেবে সৃকৃতি দেওয়া হয়। এর বদলে আমেরিকার পুরো বিশ্বের সাথে একটি চুক্তি করেছিল যেটা ছিল ডলারের পেইন্টিং এ লিমিট রাখবো এবং ৩৫ ডলার প্রতি আউন্সে Fiske রেটে আমেরিকা থেকে ডলারের বদলে গোল্ড এসেন্স করতে পারবে।

এরপর থেকে ডলারকে International কারেন্সি হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। কিন্তু যখন ১৯৫৫ থেকে ১৯৭৫ এ ভিয়েতনামে যুদ্ধ চলছিল তখন পুরো দুনিয়ায় বুঝতে পেরেছিল। যে আমেরিকা ইচ্ছে মতো ডলার ছাপছে এবং ফেডারেল রিজার্ভ দুনিয়ায় সব Country পেইন্টিং পেসের ওডিট করার পারমিশন দিতে মানা করে দেয় এরপর থেকে আমেরিকান ডলারের বেলো কমতে থাকে।

শুধু তাই নয় ১৯৯১ সালে France ডলারের বদলে গোল্ড চাইলো তখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন সরাসরি মানা করে দেন। এবং ১৫ আগস্ট ১৯৯১ সালে টেম্পারিভাবে সাসপেন্ড করে দেন।এর সাথে পুরো দুনিয়ায় আমেরিকার ডলারের বেলু একেবারে শূন্য হয়ে যায়।তখন পুরো দুনিয়ায় ডলার রিযাব করা ছিল। রাশিয়া আর চীনের কাছে নিউক্লিয় অস্ত্র ছিল সেই জন্য ভয়ে হলেও আমেরিকাকে এই ডলারের বদলে কিছু না কিছু তো দিতেই হবে। তখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন একটি গেইম খেললেন।

পুরো দুনিয়ায় মধ্যে এমন একটি দেশ ছিল যাদের কাছে ফ্রিতে মাল ও ছিল মানে তেল এবং সেই দেশটি ছিল সৌদিআরব। এবং সেই জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তার মাস্টার প্লেন চালানো জন্য সৌদিআরব চায়। সৌদিআরবের শাসক ফয়সাল কে সে এই বেপারে রাজি করিয়ে ফেলে এবং তারা যেন পুরো দুনিয়ায় তাদের তেল আমেরিকান ডলার বিক্রি করে এর বদলে আমেরিকার সৌদির তেল ক্ষেত্র গুলোকে প্রটেকশন দিবে শুধু তাই নয় এমন অফার দুনিয়ায় সব অপেকনেশনকেও দেওয়া হয়।

এখানে আপনাকে একটু মনযোগ দিয়ে বুঝতে হবে এটা সেই সময় ছিল যখন আরবদেশ গুলো ইজরাইলের সাথে 6 Day বারে খারাপ ভাবে হেরে গিয়েছিল। এবং আমেরিকা সৌদিকে যে প্রটেকশন দেওয়া কথা ছিল সেটার সোজা অর্থ হলো হয় নিজেদের তেল আমেরিকার ডলারে বিক্রি করো না হলে আরেকটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও। সেই জন্য সৌদি যে তেল গোল্ডের বিনিময়ে বিক্রি করতো এখন সেই তেল যুদ্ধের ভয়ে ও তেলকে কাগজের টুকরায় বিনিময়ে বিক্রি করতে রাজি হয়ে যায়।

যে ডলারের বেলো ছিল শূন্য এখন সেই চুক্তি মাধ্যমে ডলারের মুল্যায়ন আবার শুরু হয়। এটার ফলে আমেরিকা আর বেশি শক্তিশীল হয়ে গেয়েছিল। আর আরবেরা ছিল আমেরিকার হাতের নিচে। কিন্তু এটা নয় যে আরবদেশ তাদের বুঝতে পারেনি ১৯৭৩ সালে ইজরাইল ও আরবের যুদ্ধ চলাকালীন যখন আমেরিকা ইজরাইলকে সাপোর্ট করছিল তখন আরব এটা বুঝে ছিল যে তাদের চুক্তি করা ঠিক হয়নি। এখন আপনি জানেন কি এখনো তাদের ডলারের বিনিময়ে তেল বিক্রি করছে কেন। কেননা এই চুক্তি ভাঙ্গা কথা আজ পর্যন্ত চিন্তা করেছে তাদের অবস্থা গাদ্দাফি বা সাদ্দাম হোসাইনের মতো হয়েছে। এই জন্যই আজকে ইরানকে নিয়ে এতো টানাটানি।

টেকনিকালি আমেরিকার আরবের থেকে এক চামচ তেল ও দরকার নেই। কিন্তু তারা এটা চায় পুরো বিশ্বে এই তেলকে আমেরিকান কারেন্সিতে বিক্রি করুক।এর ফলে আমেরিকার করা ডলারের ব্যবহার পুরো দুনিয়ায় বাধ্যতাম মুলক থাকবে।

তো আজকে এই পর্যন্তই ভালো লাগল লাইক কমেন্ট করেবেন কারণ লাইক কমেন্ট করলে লেখাতে ইচ্ছেটা বেড়ে যায়। ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ