Site icon Trickbd.com

Your Name – এমন লাভ স্টোরি মুভি যা দেখতে নিলেও আপনার ব্রেণ খাটাতে হবে!!!

হ্যালো ভিউয়ার্স

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি একটা অ্যানিম মুভির রিভিউ নিয়ে আলোচনা করবো যার নাম, ইওর নেম।

অনেকে বলতে পারেন ভাই এই মুভিটা অনেক আগের/বহু আগেই এই মুভি দেখেছি। তাদের জন্য বলব ভাই অনেকেই আছে যারা এই মুভির নাম শোনোনি। সো এটা একটা মাস্টারপিস অ্যানিমেশন মুভি এখন অব্দি যারা দেখেন নাই তারা জলদি দেখে নেন। লিংক রিভিউয়ের শেষে পাবেন।

এই মুভি নিয়ে বলার মতো অনেক কিছু আছে। ইচ্ছে হচ্ছে সব বলে দেই কিন্তু এতে স্পয়লার হয়ে যাবে। মানে মুভির মূল কাহিনী রিভেল হয়ে যাবে। তার সাথে আপনাদের মুভি দেখার মুডও যাবে।

এই মুভির স্টোরি আর প্লট নিয়ে শুধু একটা কথাই বলবো আপনি কখনোই একটা অ্যানিমেশন মুভিতে এমন গল্প এবং লাভ স্টরি দেখেননি।

কখনোই দেখেননি সেটা গ্যারেন্টি দিয়ে বলতে পারি।

এই মুভির স্ট্রাকচারও আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সকল কিছু খুব ধীরে ধীরে সুন্দরভাবে সাথে রিভেল করেছে। তাই এই মুভিটা যখন দেখা শুরু করবেন প্রথম 20 থেকে 30 মিনিট বুঝতেই পারবেন না আসলে হচ্ছেটা কি।

এই সময় যদি মুভি থেকে বের হয়ে যান তাহলে আপনি আসল মজাটা মিস করবেন। তাই ধৈর্য সহকারে মুভিটা দেখবেন। এই মুভিতে আপনি প্রায় সকল কিছুই দেখতে পারবেন। কিউট লাভ স্টরি, সারপ্রাইজও আছে সাথে টুইস্ট এবং কমেডি।

আমার বন্ধুরা যারা মুভিটি দেখেছেন তাদের অধিকাংশই বলেছে “মুভিটা দেখলে প্রায়ই কেঁদে ফেলবি”।

একচুয়ালি হয়েছেও তাই। এটি ফুল ইমোশনে ভরা একটা মুভি যেটা দেখে আপনি না কাঁদলেও আপনার মন খারাপ হতে বাধ্য।

এই মুভির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, গান একেবারে মন ছুঁয়ে যায় যদিও আপনি জাপানিজ ভাষা বুঝবেন না, লিরিকস বুঝবেন না কিন্তু গানের টিউন সেটা একেবারে মনমুগ্ধকর।

যখন আমার বন্ধু আমাকে মুভিটা রিকমেন্ড করেছিল তখন ভেবেছিলাম একটা লাভ স্টোরি অ্যানিমেশন মুভিতে এমন কি হতে পারে!

কিন্তু ভাই যখন দেখলাম তখন তো পুরাই অবাক। আপনি যদি এমনকি বলিউডের লাভ স্টোরি মুভি সাথে এইটার কমপেয়ার করেন তাহলে বলিউডের মুভি “লাভ স্টোরি” কখনোই এটার সাথে পারবে না।

যারা বলেন লাভ স্টোরি মুভি গুলো খুবই বোরিং হয়, দেখার মত কিছুই থাকে না তাদের জন্য এই মুভিটা দেখার জন্য হাইলি রেকমেন্ড করব।

কেননা এটা কোন সাধারন রোমান্টিক মুভি নয় এর জন্য আপনার ব্রেনের দরকার হবে আপনার ব্রেনকে খাটানোর দরকার হবে।

কেন হবে সেটা মুভি দেখলেই বুঝবেন। একটা ছোট স্পয়লার দিয়ে দেই মুভির একটা সিনে যখন মেয়েটি ছেলের হাতে লিখে দেয় সেটা যে কি পরিমান ইমোশনে ভরপুর, ভাইরে ভাই এটা বলে বোঝানো সম্ভব না।

বাই দ্যা ওয়ে স্টোরি সম্পর্কে কিছুই বললাম না, জাস্ট নিজের ফিলিংসটা শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। স্টোরি বললে স্পয়লার হতো তাই বলি নাই।

তো মুভিটা দেখতে চাইলে নিচের লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

 হিন্দি ডাবড আছে।

লিংক: এখানে ক্লিক করুন

 

আশা করি ভাল লাগবে। ধন্যবাদ সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য।