Site icon Trickbd.com

Badlapur মুভি রিভিউ + লিংক – বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম রিভেঞ্জ/থ্রিলার মুভি

চলচ্চিত্র => Badlapur
মুক্তির সন => ২০১৫
ক্যাটাগরি => অ্যাকশান, থ্রিলার, ড্রামা
প্রত্যেক মানুষের জীবনে কখনো না কখনো এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা তাদের জীবনকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দেয়। আর সেই দুর্ঘটনা যদি আপন কারো সাথে হয় তাহলে সেটা নিত্য নৈতিক স্বাভাবিকতাকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দেয়।
বাদলাপুর মুভিটি এমন এক সাধারণ স্বাভাবিক পরিবারকে ঘিরে বানানো হয়েছে যারা একসময় সুখে স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করলেও একটা দুর্ঘটনা তাদের পরিবারকে অশান্ত করে দেয়।
মুভিতে ভারুন ধাওয়ান ওরফে রাঘব তার স্ত্রী এবং এক ছেলেকে নিয়ে জীবন সুখে-শান্তিতে অতিবাহিত করছিল।
তবে একদিন এক ব্যাংক ডাকাতি তাদের জীবনের সবকিছু এলোমেলো করে দেয়। ব্যাংক ডাকাতি করে পালানোর সময় ডাকাতের দলের একজন গাড়িতে জিম্মি করে পালানোর সময় রাঘবের স্ত্রীকে গুলি করে মেরে ফেলে এবং তার সন্তানকে গাড়ি থেকে ফেলে দেয়।
মাত্র 30 মিনিটের ভিতর রাঘব তার তার সুখের সংসার হারিয়ে ফেলে। সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। সব হারিয়ে পরিবারের সুখ-শান্তি হারিয়ে রাঘবের কাছে প্রতিশোধ ছাড়া আর কোন দ্বিতীয় রাস্তা খোলা থাকে না।
পুলিশ ডাকাত দলের এক সদস্য লায়েক নামের একজনকে গ্রেফতার করে এবং তাকে 20 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে রাঘব এটাতে সন্তুষ্ট হয় না এক পর্যায়ে সে নিজেই তদন্ত করা শুরু করে এবং প্রাইভেট গোয়েন্দা নিয়োগ দেয়।

কারণ গাড়িতে দুইজন লোক ছিল কিন্তু পাওয়া গেছে একজনকে।

একপর্যায়ে লায়েক এর প্রেমিকা যে কিনা যৌনকর্মী ঝিমলির ব্যাপারে জানতে পারে। পরে রাঘব সেখানে গিয়ে লায়েক এর ক্রাইম পার্টনার আরেকজন ডাকাতের সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে যে কিনা লায়েক এর সাথে ছিলো। যার নাম হারমান।
যেহেতু ঝিমলি লায়েক কে ভালোবাসতো তাই ও রাঘব কে মিথ্যা কথা বলে যে লায়েক এর সাথে আর কেউ ছিলনা। কিন্তু কোনভাবে রাঘব সব জেনে যায়। পরবর্তীতে এক এনজিও কর্মী রাঘব এর কাছে আসে লায়েক এর ক্যান্সার এর সম্পর্কে এবং লায়েকের প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানায়। রাঘব শুরু থেকে ব্যাপারটা মেনে নিতে পারেনা।
কিন্তু কিছুদিন পরে যখন লায়েক এর মা রাঘব এর কাছে এসে বলে সে লায়েক এর পার্টনার হারমান সম্পর্কে জানে তার অবস্থান সম্পর্কে জানে তখন রাঘব লায়েক কে প্যারোলে মুক্তির অনুমতি দেয়।
এরপর একের পর এক ঘটনা খুব দ্রুত ঘটতে থাকে লায়েক যেমন প্যারোল থেকে বেরিয়ে আসে তেমনি হারমান ও তার স্ত্রী সম্পর্কে রাঘব সকল তথ্য জেনে যায়। তবে এর থেকে আপনি যদি আন্দাজ করে ফেলেন মুভি পরিসমাপ্তির দিকে। তবে আপনার ধারণা ভুল।
কারণ এখান থেকে আসল কাহিনী শুরু হয়। কাহিনী নিশ্চিত পরিসমাপ্তির থেকে গেলেও ঘটনাটি শেষের দিকের মোড় না নিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে মোড় নেয়।

শেষে কি হয় এর জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ মুভিটি দেখতে হবে।

একটা কথা বলতে পারি বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম থ্রিলার মুভি এইটা। মুভিটা দেখা শুরু করলে এক সেকেন্ডও অন্যদিকে ফেরাতে পারবেন না। সবার এক্টিং এত মনমুগ্ধকর এবং রিয়েল স্টিক ছিল যে তারা যে অভিনয় করেছে এটা বোঝাই যায় নি।
মুভিটা বাবা-মা অথবা বাচ্চাদের নিয়ে দেখার জন্য নয়। তাই দেখলে একা একা দেখার অনুরোধ রইল। কারণ মুভিতে প্রচুর পরিমাণে ভায়োলেন্স রয়েছে। এছাড়া মুভিতে কিছু এডাল্ট সিন রয়েছে তবে পশ্চিমাদের মত নয় মুভির তাগিদে এই সিন গুলো রাখা হয়েছে।
ডাউনলোড করতে চাইলে নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।

কিভাবে ডাউনলোড করবেন?

নিচের লিংকে ক্লিক করুন, শুরুতে কয়েক সেকেন্ড লাগবে তারপর ডাউনলোড লিংক চলে আসবে।

ডাউনলোড লিঙ্ক: Click Here
size 1.3 gb
স্ক্রীনশট





আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে।