সবাইকে শুভেচ্ছা ,
এই পোস্টটি তে আমি কিছু ঘটে যাওয়া আজব ও বিরল ঘটনা শেয়ার করব । আমাদের পৃথিবীর অদ্ভুত রহস্যময় এক পৃথিবী যার মধ্য থেকে কিছু রহস্য আপনি জানেন কিন্তু আজ আমি এমন রহস্য সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যে রহস্য সম্পর্কে আগে কখনো শুনেননি ।
১.এক নম্বরে রয়েছে গাছের ভিতরে ঢুকে যাওয়া সাইকেল ।ওয়াশিংটনের ভার্সেন আইল্যান্ড এ রয়েছে এক বিচিত্র গাছ যার মধ্যে রয়েছে একটি মরিচা পাড়া পুরনো সাইকেল যা ভিতরে লুকানো অবস্থায় আছে । শুধু সামনের এবং পেছনের টায়ার দেখা যায় । সাইকেল টি দেখতে এমন লাগে যেন গাছটি মনে হয় সাইকেলকে খাওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে ছিল কিন্তু অর্ধেক খেতে পেরেছে । সাইকেলটা কিভাবে গাছের ভিতর চলে গিয়েছে এর উপরে বহু কাহিনী প্রচলিত আছে তবে বিখ্যাত কাহিনী প্রচলিত আছে সেটি হলো এই যে সাইকেলটি এক বালকের ছিল যে এই সাইকেলটি কাছে পাশে রেখে যুদ্ধে চলে গিয়েছিল এবং মারা গিয়েছিল ।
এবং দিতে ঘটনা অনুযায়ী একজন মানুষ এই সাইকেলটি কে রেখে আইল্যান্ড ছেড়ে অনেক দূরে চলে গিয়েছিল । আবার কিছু লোক তো এটাকে মানুষের কারসাজি বলে মনে করে ।
২. দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে 70 বছর ধরে চলা ট্রাফিক জ্যাম । 5 মিনিটের কোন ট্রাফিক জ্যামে আমাদের জীবনটা অতিষ্ঠ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট । কিন্তু কোন ট্রাফিক জ্যাম যদি 70 বছর ধরে চলে তাহলে জমে থাকা গাড়িগুলোর এমন হাল হওয়া কোন আশ্চর্যজনক বিষয় নয় ।এই যে গাড়িগুলো দেখছেন এগুলো এভাবেই 70 বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানে দাঁড়িয়ে আছে 70 বছর আগে এই গাড়িগুলো একেবারে নতুনের মতই মানুষ গ্রহণ করত । হঠাৎই তাদেরকে একদিন দাঁড়িয়ে যেতে হয় , আর দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে আর তাদের এই অবস্থা । কোনদিন তাদের মালিক তাদেরকে নিতে আসেনি আর এই জায়গা গাড়ি রাখার আস্তানা হয়ে গিয়েছে। এই রহস্যময় জায়গাটি রয়েছে ইউরোপের বেলজিয়ামের এক জঙ্গলে যেখানে আনুমানিক পাঁচশ পুরনো গাড়ি এভাবেই পড়ে আছে যা দেখতে বড়ো সরু ট্রাফিক জ্যামের মতই লাগে । তার ধারণা করা হয় এই গাড়িগুলোকে তাড়াহুড়ো করে এখানেই ছেড়ে চলে যাওয়া হয়েছিল । কিন্তু কেন ?? আসলে এই গাড়িগুলো বেলজিয়ামে বসবাসরত আমেরিকান সৈন্যদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিজের নিজের গাড়ি এখানেই ছেড়ে চলে যেতে হয় তখন তারা এই জঙ্গলে লুকিয়ে পার করেছিল এটা ভেবে যে এগুলো এখান থেকে নিয়ে যাবেন কিন্তু যুদ্ধ শেষে আমেরিকা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার খরচ জোগাড় করতে না পারায় গাড়িগুলো এখানেই এই অবস্থাই ছেড়ে চলে যেতে হয়।
৪. চার নম্বরে রয়েছে 1955 সালে গায়েব হয়ে যাওয়া এক বিমান যা 37 বছর পর ল্যান্ড করে । 1995 সালের “ফ্লাইট-914” 57 জন প্যাসেঞ্জার নিয়ে গিয়েছে নিউইয়র্ক থেকে মায়ামির উদ্দেশ্যে কিন্তু আর কখনো মায়ামি পৌঁছায়নি । 37 বছর পর 1992 সালে সেই একই বিমান ভেনিজুয়েলার বিমানবন্দরের ল্যান্ড করে । কন্ট্রোল টাওয়ারের সাথে তারা কথাও বলেছিল । এয়ারপোর্টের রাডার স্কিনে তখন কিছুই ছিল না কিন্তু তাও এয়ারপোর্টে সব মানুষ বিমানটিকে দেখেছিল । আর কাছ থেকে গ্রাউন্ডস্টাফেরা বিমানের যাত্রীদের কেও দেখেছিল , যারা জানালা থেকে আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে ছিল । সম্ভবত তারা ভবিষ্যতে জিনিসপত্র দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল। পাইলট জিজ্ঞেস করেছিল যে তারা কোথায় এসেছে জবাবে কন্ট্রোল টাওয়ারের কর্মী বলে এটা 1992 সাল আর আপনারা ভেনেজুয়েলার এয়ারপোর্টে , এটা শুনে আরো ভয় পেয়ে যায় নিজের জানালা খুলে হাত নাড়িয়ে বলে আমাদের থেকে দূরে থাকুন আমরা চলে যাচ্ছি আর কিছুসময়ের মধ্যেই বিমান দ্বিতীয় টেক অফ করে আর আকাশের চিরতরের জন্য গায়েব হয়ে যায় কিন্তু যাওয়ার পূর্বে বিমান থেকে একটা ক্যালেন্ডার উড়ে মাটিতে পড়ে যায় যা 1955 সালের ছিল । এই ঘটনাটি সবথেকে বড় সাক্ষী হয়ে যায় সেই ক্যালেন্ডার আর সেইসাথে কন্ট্রোল টাওয়ার এর সাথে কথাবার্তা রেকর্ডিং সেখানে ছিল । সেখানে উপস্থিত সকল মানুষ এই ঘটনায় সাক্ষী হয়ে যায়।
৫. পাঁচ নম্বরে রয়েছে এক অদ্ভুত বাদুড় যার আকার অনেক বিশাল। তো এমনই এক প্রাণীর দেখা পাওয়া গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার অজগর সাপের মুখের ভেতরে । কুইন্সল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া তে একজন ব্যক্তি নিজের গ্রামের বাড়ির ঘরের পাশ থেকে দেখতে পায় । তার মুখের ভেতরে থাকা এই প্রাণীটিকে দেখলে মনে হয় বিশাল সাইজের বাদুড় , সাধারণত বাদুড় এত বড় হয়ে থাকে না । এটা খুব বড় একটা রহস্য ।
আজ এ পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকবেন , ভালো থাকবেন , ধন্যবাদ ।