হ্যালো গাইস আমি কে সেটা বড় নয় বড় হচ্ছে আজকের পোস্ট। বাই দ্যা ওয়ে কথা বলছিলাম মনির চলুন শুরু করি।
বন্ধুরা আর আজ আমি রিভিউ করার চেষ্টা করব নেটফ্লিক্সের রিলিজ হওয়া প্রজেক্ট পাওয়ার ফিল্মটি,
মূলত এই সিনেমাটি নেটফ্লিক্সে ইংলিশ এবং হিন্দি ভাষায় দেখা যাচ্ছে।

তো আজকে কথা বলবো এই ফিল্মটি আপনি দেখবেন কিনা বা কেমন ছিল? চলুন স্পয়লার ফ্রি রিভিউতে আলোচনা করা যাক।

পোস্ট শুরু করার আগে ফিল্ম প্লটের একদম ছোট ডিটেলস সম্পর্কে কথা বলা যাক যাতে করে আপনি সহজে বুঝতে পারেন মুভিটি আপনাকে কি দেখাতে চাই, আর এতে আপনি কতটা আগ্রহী।

সিনেমাটির পুরো কাহিনীতে মোট তিনটি ক্যারেক্টার এর উপর ফোকাস করা হয়েছে আর সেই তিনটি ক্যারেক্টারকে আমরা হয়তো অনেকেই ফিল্মের পোস্টার এর ওপরেই দেখেছি।
আর্ট ক্যারেক্টার টি প্লে করেছেন জেমি ফক্স সে বেসিক্যালি তার মেয়েকে খুঁজছে।
দুইনাম্বার ক্যারেক্টারে নামটা ভুলে গেছি ? শুধু এতোটুকু জানি সে তার শহরের লোকাল অফিসার এবং সে তার শহরকে সবসময় পরিষ্কার দেখতে চান।
আর এই কাজটি করার জন্য সে টিমেরস ক্যারেক্টার রবিনের সাহায্য নেন।
আর রবিন কারেক্টর এই ফিল্মে প্লে করেছে ডোমেইন ফ্ল্যাশব্যাক এবং এই তিনজন কিভাবে ক্যাপসুল এর সঙ্গে কানেক্ট হয়ে যায় যা খাওয়ার পর ৫ মিনিটের জন্য সুপার পাওয়ার চলে আসে।

আর এর মাধ্যমে শহরে কি হচ্ছে আর তার পিছনের কাহিনি বা কি সেটা জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে নেটফ্লিক্সের প্রজেক্ট পাওয়ার।

তো ফিল্মের প্লট সম্পর্কে বলতে গিয়ে যে ডিটেলস গুলো বলেছি সেগুলো মোটেও স্পয়লার নয় বরং এর আগে আমি ট্রেইলারে এগুলো দেখেছি।

আর হ্যাঁ ট্রেলারে একশন গুলো দেখা গিয়েছে ঠিক একই একশন দেখা যায়আর কিছু কিছু ছেলে তো মনে হচ্ছিল একশন টা একটু বেশি মানে এক্সট্রা হয়ে গিয়েছে।

তবে আপনাদের অনেকের কাছে আবার অ্যাকশন সিনেমা মনে হতে পারে তবে এটা আসলেই অ্যাকশন সিনেমা নয়।
চলুন সোজাসাপ্টা বলে দিই যে এই সিনেমাটি আপনার দেখার প্রয়োজন কতটুকু।
হ্যাঁ অবশ্যই আপনি যদি সময় নষ্ট করতে চান তাহলে মুভিটি দেখে আসতে পারেন কারণ এটি সময় নষ্ট করার মতোই একটি মুভি। তাই যারা ভাবছেন টাইম পাস করবেন সিনেমা দেখে তারা সিনেমা টি অবশ্যই দেখুন।
তবে এই ফিল্মটি আপনি দেখবেন কি দেখবেন না সেটা আপনার উপরেই নির্ভর করছে।

এধরনের কথা বলছি কারণ এই মুভিতে আপনি বেশি কিছু আশা করতে একদমই পারবেন না। আর যদি করেন ও তাহলে সেটি আপনার খারাপ অভিজ্ঞতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

যদি এখন সবাই জানতে চান আমার পার্সোনাল অপিনিওন তাহলে বলব এই সিনেমাটি আমার কাছে ততটা ও ইন্টারেস্টিং লাগেনি যতটা আমি আশা করেছিলাম।
তবে এটা মোটামুটি চলনসই একটি ফিল্ম যেটা মাস্টার অডিয়েন্স দের কথা মাথায় রেখেই বানানো হয়েছে।

আচ্ছা চলুন সিনেমার কি সব ভাল দিক বলি, ফিল্মটির কনসেপ্ট ছিল সত্যি প্রশংসা করার মত।
তিনটি ক্যারেক্টারে আলাদা আলাদা স্টরি দেখানো আর পুরো ফিল্ম টির ফোকাস শুধুমাত্র রবিন ক্যারেক্টার এর ওপর ই করা হয়েছে।

আর যদি জেমি ফক্স এর পারফরম্যান্সের কথা বলি তাহলে নিঃসন্দেহে প্রশংসা করার মত ছিল।
তবে প্রবলেম হচ্ছে এই সিনেমাটি যেভাবে শুরু করা হয়েছিল সেই ধারাবাহিকতায় অনেক দ্রুত শেষ করতে যাওয়ার কারণে মাঝে মাঝে বেকাপ দা লেগেছে।
আর এর ফলে একটি ভালো মানের ফিল্ম এবং ভালো মনের কাহিনী খারাপ হয়ে গিয়েছে।

আর এই সুপার হিরো মুভি দেখতে গিয়ে যদি আপনি মনে করেন ভিলেনের দেখা পাবেন তাহলে আপনার ধারণাটা একদমই ভুল কারণ এই ফিল্মে আপনি কোথাও ভিলেনের দেখা পাবেন না।

ফিল্মটি যেহেতু হলিউড তাই ভিএফএক্স এর কথা না বলে আর পারলাম না,
হ্যাঁ অভিয়েসলি কিছু কিছু জায়গায় ভিএফএক্স এর কাজ দেখে আপনার মাথা ঘুরে যেতে বাধ্য। তবে কিছু কিছু জায়গায় পছন্দ নাও হতে পারে তবে শক্ত আর পারফেক্ট করা সম্ভব না।

তাই এ বিষয়ে আমার কোনো কমপ্লেন থাকলো না। আর ইডিটিং এর কথা বললেও সত্যি অনেক ভালো ছিল এটা না বললেও অনেকেই বুঝে যেতেন যেহেতু হলিউড মুভি।

মুভি ট্রেইলার দেখে মুভি সম্পর্কে কিছুটা ধারনা নিন।

মুভিটি দেখার জন্য নেটফ্লিক্সের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপে দেখতে হবে।
নেটফ্লিক্স অ্যাপ এর ডাউনলোড লিংক https://play.google.com/store/apps/details?id=com.netflix.mediaclient

তো এই ছিল আমার পার্সোনাল অপিনিওন এই মুভিটি কে নিয়ে এখন আপনি চাইলেই দেখে আসতে পারেন।
টেক রিলেটেড যেকোনো সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য জয়েন করুন এই ফেসবুক গ্রুপে।

তো ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন আজকের মত আল্লাহ হাফেজ।

One thought on "কেমন ছিল নেটফ্লিক্সের নতুন সিনেমা Project Power | বাংলা মুভি রিভিউ।"

  1. Emrus Legend Author says:
    মোটামুটি লেগেছে মুভিটা।
    গতমাসে দেখেছিলাম

Leave a Reply