অনেকদিন পর আজ লিখতে বসলাম ভালোবাসার প্রিয় Trickbd এর জন্য আর এটাই হবে আমার জীবনে Trickbd এর জন্য সর্বশেষ লেখা [যেমন নিত্য মরা’কে কেউ মাটি দিতে চাইনা তেমনি “নিয়নবাতি” এর শেষপর্ব লেখার পরও নতুন করে আবার “শেষ লেখা” বলার আদিখ্যেতা দেখাতে চাইনা; তবে যেহেতু এনোনিমাস “নিশান আহাম্মেদ নিয়ন” এর জন্ম Trickbd হতেই হয়েছিলো তাই Trickbd তেই নিয়নের নিঃশেষ বা মরণ হউক; জন্মের স্থানে মৃত্যুর সুখ সেটাও সৌভাগ্যের বিষয়]।
আজকের এই লেখাটি আমার নিজের ভালোবাসা বা সিমপ্যাথি পাওয়ার জন্য নয় বরং সাকসেসে পাওয়ার জন্য; আর সেই সাকসেস আমার জন্য নয় শুধু আপনার আর শুধুই আপনার জন্য [আজ আমার ভেতরে যা আছে তা নিয়নের নিঃশেষ হওয়ার প্রাক্কালে আপনাদের ভেতর সবটুকুই দিয়ে যাবো, আপনার কাজটুকু হবে সেই নিয়নবাতির আলোতে সফলতার শিখরে পৌছানো….মাফ করবেন আজ আর আলো হাতে হাত ধরে ধরে আপনাকে গন্তব্যে পৌছে দিতে পারছি না, মৃত্যু ঘড়ির কাটাকে কেটে কুটে একাকার করার সাধ্যি শুধু যে সৃষ্টিকর্তার]।
লেখার শুরুতেই বলে নিই আজ আমার এই কান্না জড়ানো শত স্মৃতি মেশানো লেখাটি পুরোটাই ব্যর্থ হবে যদি এই লেখাটি পড়ার পর আপনি সামান্য ব্লগ/আর্টিকেল পড়েছেন ভেবে ভুলে যান কিংবা এড়িয়ে যান, আমি চাই এই লেখাটি পড়ার পর থেকেই আপনার জীবন পুরোটাই বদলে যাক, আপনার জীবনে নেমে আসুক সফলতার বৃষ্টি….হ্যা, আমি এই গোটা পৃথিবীকে দেখিয়ে দিতে চাই “সামান্য তুচ্ছ একটি লেখা” ইন্টারনেটের জগতে বদলে দিতে পারে কতো মানুষের জীবন, গড়ে দিতে পারে আপনার ক্যারিয়ার!!!
হয়তো ভাবতে পারেন আমি কি বোকার মতোন আজগুবি কথা বলছি তাইনা? আচ্ছা তাহলে ফিলিপ বুদেকিন যদি রাশিয়ান সোস্যাল নেটওয়ার্ক (www.vk.com) এর F57 সিক্রেট গ্রুপের মাধ্যমে “ব্লু হোয়েল” নামক টাস্ক (অনলাইন চ্যালেঞ্জিং গেইম) এর মাধ্যমে মানুষকে সুইসাইড পর্যন্ত করাতে পারে তবে আমি কেন পারবো না….সেই বিকৃতমনা মাইন্ড হ্যাকার যদি ভার্চুয়ালি মানুষ খুন করতে পারে তবে এই পচা নিয়নটা কেন ভার্চুয়ালি ভালোবেসে আপনার লাইফটা গড়ে দিতে পারবে না?
আসুন শুরু করা যাক………..
সবার আগে আপনি একটা কালো মলাটের সাদা পৃষ্ঠার ডায়েরী আর একটা কালো কালির কলম নিয়ে চেয়ার টেবিলে বসুন [সম্ভব হলে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খেয়ে নিতে পারেন তাতে ব্রেইনের ব্লাড সার্কুলেশনের সাথে সাথে আপনি মানসিকভাবেও স্বস্তি ফিল করবেন- এই স্বস্তিটাই হলো লাইফের সবচেয়ে বড় সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশন বা সোজাকথায় এটাই “সুখ”]। এবার আপনি আপনার জীবনের লক্ষ্য’টা ডাইরির কাগজের একদম মাঝখানে লিখুন [ছোটকালে আমরা পরীক্ষার সময় বাংলা ২য় পত্রতে “জীবনের লক্ষ্য” রচনা লিখতাম, যতো লম্বা রচনা হতো ততো বেশী নাম্বার পাওয়া যেতো; আর আজ আপনি নিজেই আপনার নিজের জীবনের লক্ষ্য রচনা তথা সৃষ্টি করবেন….এখানে আপনিই বেত হাতে সেই টিচার আবার আপনিই কলম হাতে এই স্টুডেন্ট] এরপর সেই লক্ষ্য পূরণে আপনার সামনে কি কি বাধা আছে সেগুলি কাগজের চারিপাশে লিখুন তারপর ডাইরীর মলাট বন্ধ করে আপনার ঘুমানোর বালিশের নিচে রেখে দিন; প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই ঐ মাঝখানের পৃষ্ঠাতে আপনার ঐ “লক্ষ্য” এর দিকে মনোযোগ [কনসেনট্রেশান] দিন এবং সারাদিন সেই “লক্ষ্য” বা “স্বপ্ন” পূরণে আপনি কি কি করেছেন সেটা ঘুমানোর আগে ডাইরীটাতে লিখে রাখুন।
আপনার এই লক্ষ্য পূরণে আপনাকে কেমন হতে হবে জানেন???
আপনাকে ঠিক ঐ মুক্ত আকাশের ঈগল পাখির মতো ধীর-স্থীর চিত্তের অধিকারী হতে হবে; সুন্দরবনের বাঘের মতোই ফোকাসড লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থাকতে হবে…..অথচ আপনি খেয়াল করেছেন উপরের প্যারার ভেতর আমি “ডাইরি” শব্দটা একবার নয় প্রতিবার “ভুল” বানান লিখেছি, এমনকি এই যে সবেমাত্র “ভুল” বানানটা পড়েছেন সেটাও ভুল অথচ আপনি কিছুই মার্ক করতে পারেননি…..সুতরাং আপনাকে তেমনি ধীর স্থির এবং লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থাকতে হবে যেন সফলতা কপালের দোষে অযুহাতে পার না পেয়ে উপরন্তু আপনার পায়ে এসে চুমি দিতে বাধ্য হয়!!!
এবার আপনি আপনার পরিবারের সবাইকে নিয়ে এক রাতে খাবার টেবিলে বসুন [আপনার বাবা, মা, ভাই, বোন সবাই] তারপর তাদেরকে আপনার জীবনের লক্ষ্যের কথা- আপনার স্বপ্নের কথা খুলে বলুন এবং সবিশেষ তাদের সাপোর্ট ও সহায়তা চান।
হয়তো ভাবতে পারেন যে বিষয়টা সেই পুরানো সাদা কালো আমলের “মিনা কার্টুন” এর মতো হয়ে যাবে না তো?
হউক তো…..যেই মিনা কার্টুন দেখে আপনি আজ এতো বড় হয়েছেন, সেই মিনা কার্টুনের স্টাইল’ই যদি আপনাকে সাকসেস এনে দেয়, আপনাকে জীবনে বড় করে গড়ে তুলতে পারে তবে ক্ষতি কি?
এখানে ভয়- সংকোচ- লজ্জা- দ্বিধা- বিদ্রুপ কিছুই থাকতে পারে না….ইটস এ ম্যাটার অফ লাইফ!!!
আপনি হয়তো হয়তো কোডিং শিখে ফেসবুকের মতো এমনকিছু তৈরী করতে চান সেটা তো আর পরিবারের সামনে মুখ ফুটে বলা যাবে না তাইনা?
আপনার আব্বা আম্মার কথা বাদ দিন; আপনার পছন্দের মানুষ আইমিন গার্লফ্রেন্ডের বাবার সামনে কি বলতে পারবেন “আংকেল আমি চাকুরী ব্যবসা করি না, তবে ফেসবুকের মতো কিছু একটা বানাতে চাই…..আপনার মেয়েকে আমার হাতে তুলে দিবেন?”
এবার আপনার গার্লফ্রেন্ডের বাপের কথাও বাদ দিই স্বয়ং আপনার গার্লফ্রেন্ডই তো আপনাকে ছেড়ে দৌড়ে ঘরে গিয়ে দোর দিবে!!!
যে দৌড় দিক আর যে দোর দিক, যে বিদ্রুপ করুক আর যে হেসে কুটিকুটি হউক আপনার ছায়া কিন্তু সবটা সময় আপনার সাথেই থাকে….আয়নার সামনে আপনার প্রতিবিম্ব কিন্তু আপনাকেই সর্বদা ভুল শুদ্ধ্রে দেয়, তাহলে আবার ভয় কিসের???
তবুও আপনি আপনার বাবা – মা’কে কনভিন্স করার চেষ্টা করুন কেননা এই দুইটা মানুষ’ই শত কষ্টে শত বিপদেও আপনাকে আগলে রাখবে তাই তাদের হাতের দোয়া কিংবা তাদের হাতের শক্তিটাই আপনার ভবিষ্যত’টা সুনিশ্চিত শক্ত হবে।
ধরে নিচ্ছি আপনি একজন ওয়েব ডেভোলপার হতে চান তাই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার জন্য কম্পিউটার প্রয়োজন কিন্তু আপনার বাড়িতে আব্বার যা ইনকাম তাতে তো আর পিসি এ্যারেঞ্জ করা সম্ভব না তাইনা? তাহলে কি করবেন…..আপনি কি আপনার আব্বাকে জিদ করে “কিনে দেওয়াই লাগবে” এমনটা বলবেন নাকি “ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিবেন” অথবা “ঘরের সবকিছু ভাঙ্গাচুরা” শুরু করবেন?
নাহ….আমি তো শুরুতেই বলেছি আপনার বাবা মায়ের দোয়া নিয়েই আপনার জীবনের সফলতার শুরুটা করতে হবে সুতরাং তাদের কষ্ট দিয়ে কখনোই ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন না [***ধনী গরীব মুচি মেথর আমরা সবাই মানুষ]।
আপনি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার জন্য আপাত মিনি ক্রেডিট কার্ড সাইজ কম্পিউটার Raspberry Pi 4 Model B নিতে পারেন যার অফিশিয়াল মূল্য ৩৫ ডলার যা বাংলাদেশী টাকাতে ২৯০০+ মাত্র। অন্যদিকে এভিলেবল থাকলে Raspberry Pi Zero কিংবা Raspberry Pi Zero W কেনা যেতো যা মাত্র ১০০০ টাকার থেকেও আরও কম দামে।
আর আপনার হাতের এনড্রোয়েড মোবাইল দিয়েও কিন্তু শিক্ষার শুরুটা করা যেতে পারে, গুগল প্লে স্টোর হতে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার জন্য বহু এপ্লিকেশন পেয়ে যাবেন যেখানে হাতে ধরে কোডিং করতে পারবেন এবং কোড রান করিয়ে আউটপুট দেখতে পারবেন, দাড়ান সার্চ কৌশলটা শিখিয়ে X Learning App [এখানে X হলো প্রোগ্রামিংয় ল্যাঙ্গুয়েজ তা হতে পারে HTML,CSS,JAVA,Javascript ইত্যাদি ইত্যাদি আবার আপনি X এর স্থানে All Programing Language ও দিতে পারেন]
ইস…..আমি বুঝি এতো বাচ্চা নাকি যে গুগল সার্চও আমাকে এমন করে শিখিয়ে দিতে হবে?
আচ্ছা আপনি বাচ্চা নন বুড়ো…তাহলে শুনুন দাদু “আপনি যদি শুধুমাত্র সঠিকভাবে Google Search এর মতো সহজ কাজটা করতে পারেন তবে আপনার শিক্ষার শতকরা ৬০ ভাগ এমনিতেই পূরণ হয়ে যাবে” আপনি শিক্ষার সোর্স হিসেবে Google, Youtube এবং Facebook কে বেছে নিন।
কিভাবে করবেন জানেন তো….Google হতে রিসোর্স ডাউনলোড করবেন [তা হউক টিউটোরিয়াল, সফটওয়্যার, পিডিএফ, ডকস কিংবা ফাইল] এরপর Youtube হতে সেটা ভিডিও আকারে দেখবেন এবং সবিশেষ Facebook (অথবা Linkdin বেছে নিতে পারেন) ঐ বিষয়ে এক্সপার্ট লেজিট পার্সনকে খুজে বের করবেন [প্রোফাইলের এবাউট সেকশনে ডিটেইলস ইনফো পাবেন যা সার্চ এলগরিদমে কিওয়ার্ড খুজে দেয়] এবং তাকে ফ্রেন্ডলিস্টে নিবেন অথবা ফলো করবেন (নাহ…তাকে আইডল মানতে বলছি না, তবে আপনার সমস্যাতে তাকে ফ্রি এ্যাসিসটেন্ট হিসেবেই না হয় ফ্রেন্ড করলেন বা ফলো করলেন। কথার কথা আপনি হয়তো HTML এর একটি ট্যাগে ভুল করেছেন তখন সেটি যদি আপনি ঐ পার্সনকে দেখান তবে তিনি কিন্তু সেটা আপনাকে ধরিয়ে দিবেন। নাহ এটা কিন্তু আপনি তার বন্ধু বলেই করবে এমনটা নয় বরং সাবকনশিয়াস মাইন্ডেই তিনি ভুলটা শুদ্ধ্রে দিবেন কেননা যিনি “গুণ” শব্দটার বানানে “ণ” ব্যবহৃত হয় সেটা জানেন তার চোখে “গুন” এর “ন” কাটার মতোই বিধে….এটাই হলো সাইকোলজিক্যাল মাইন্ড হ্যাকিং)।
অন্যদিকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস করার জন্য পিসি এর XAMPP সফটওয়্যারের বদলে আপনি এনড্রোয়েডের LocalHost হিসেবে icodego ও icodeweb কিংবা kickweb এর মতোন সফটওয়্যার’গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
হুমমম…যদি আপনার লাইফের টার্গেট’টা হয় হ্যাকার হওয়া তাহলে তো আর আব্বার সামনে বলা যাবে না “আব্বা আমি হ্যাকার হতে চাই” কেননা আপনার বাবা হয়তো হ্যাকিং কি সেটাই জানেন না, আর যদিওবা জানেন তাহলে তো আরও বিপদ কেননা হ্যাকিং মানেই তো চুরি [***একজন হ্যাকার যখন বাবা হয় তখন সেটা হয় খুব কষ্টের এবং কান্নার]।
এই যে মিস্টার হ্যাকার…..আপনি যে হ্যাকার হতে চাইছেন তাহলে শুরুর টাস্কটা তো আপনি আপনার বাবাকে দিয়েই করতে পারেন [যা ইথিক্যাল হ্যাকিং] আপনার বাবার সাবকনশিয়াস মাইন্ডের এক্সেস নিয়ে তাকে এমনভাবে বোঝান যেন তার হাতে চড় না খেয়ে সেই হাতটা মাথায় উঠিয়ে আপনাকে দোয়া করেন [করতে বাধ্য হন] জগতের সবচেয়ে বড় হ্যাকিং হলো “মাইন্ড হ্যাকিং” আর সবচেয়ে বড় সফটওয়্যারটার নাম আমাদের “ব্রেইন”!!!
হয়তো আমার কথাটা আপনার ঠিক মনে ধরেনি কেননা এই হ্যাকিং জগতের রবিনহুড হামজা বেনদালভেজ যেমন হ্যাকিং এর মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা হ্যাক করেছিলেন (কাস্টম কি-লগার সফটওয়্যার) তেমনি মাইন্ড হ্যাকিং এর মাধ্যমে তো আর টাকা হ্যাক করা যাবে না তাইনা?
হুমমম…আপনি জানেন কি বাংলাদেশ ব্যাংক রোবারীতে রিজার্ভ ফেডারেল ব্যাংক (নিউ ইয়ার্ক) হ্যাকিং এর ঘটনাতে কথিত আছে হ্যাকারেরা প্রতি মাসেই চাকুরী চেয়ে ইমেইল স্পমিং করতো আর তাতে এটাচমেন্ট হিসেবে সিভির আদলে থাকতো ট্রোজান, এমনিভাবে এমন স্পামিং তারা করেই যেতো করেই যেতো আর ব্যাংক অথোরিটি সেটা ইগনোর করতো (স্প্যাম বক্সের ইমেইল ওমন গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার হতে যে ওপেন করা হবেনা এটাই তো স্বাভাবিক) তবে একজন নতুন এমপ্লয়ী সেটা ওপেন করলেই বিপদ বিধে [ট্রোজান এমন একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বা সফটওয়্যার যা কোন সিস্টেমে একবার প্রবেশ করে তাতে নিজে নিজেই ইমিউন হয় এবং সকল ডাটা হ্যাকারের সার্ভারে জমা করে]।
এইবার আপনিই ডিসাইড করুন তো হ্যাকিং বিদ্যার রুট বা মূল সাইকোলজিক্যাল মাইন্ড হ্যাকিং কিনা- যেখানে সাইকোলজির সাথে সফটওয়্যারের মেলবন্ধনের সিস্টেম হ্যাক করা সম্ভব হয়!!!!
আমি আপনার জীবনের লক্ষ্য একজন ওয়েব ডোভোলপার এবং একজন হ্যাকার – এই দুইটি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছি মাত্র, আপনি মুক্ত ও স্বাধীনভাবে নিজের “মন যেটা বলে সেটা মাথা তথা ব্রেইন দিয়ে বিবেচনা করে ডিসিশন নিয়ে নিবেন”।
[দুঃখিত কথাতে কথা বাড়ে আর এতোদিন পর লিখতে বসে হয়তো লোভ সামলাতে পারছি না তাই লম্বা লেখার জন্য মাফ চাই, তবে এই লম্বা লেখাটি শুধু আপনাকে জীবনের সংক্ষিপ্ত পথে সফল করার জন্যই কিবোর্ড ধরা….নিজের লোভ বা লাভের জন্য নয়]।
আপনার জীবনের লক্ষ্য পূরণে সবচেয়ে বড় বাধা যেটা আসতে পারে সেটা হলো টাকার অভাব; সেই অভাব পূরণ এবং মনের শক্তি যোগাতে আমি আপনাকে এমন এক বন্ধুর সন্ধান দিবো যিনি আপনার সব সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে – আপনার স্বপ্ন সত্যি করে দিতে পারে নিমিষেই তিনি হলেও “আল্লাহ”।
হ্যা, আমি সত্যিই বলছি আল্লাহ আপনার লাইফের সমস্ত অভাব মিটিয়ে আপনাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে দিতে পারেন। একবার ভাবুন রাস্তায় ফুটপাতে কতো অসহায় দরিদ্র পথশিশু থেকে ভিক্ষুক পড়ে থাকে যাদের অবলম্বন বলতে কিছুই নেই তবুও তারাও কিন্তু দিনশেষে দুমুঠো চাউল মাটির পাত্রে ইটের চুলায় চড়িয়ে উদরপূর্তি করে, চড়ুই পাখির ছোট্ট উদোর থেকে তিমির বিশাল পেট পর্যন্ত কিন্তু ঐ একজন সৃষ্টিকর্তা’ই (বাস্তুসংস্থান হতে) কিন্তু খাবারের যোগান দিয়ে থাকেন….তাহলে আপনি কেন হতাশ হচ্ছেন?!
আপনার জন্য এই কথাটুকুই হয়তো এনাফ হবে যে ” চড়ুই যেমন ভোরে খালি পেটে বের হয় আর দিনশেষে ভরা পেটে বাসায় ফিরে তেমনি মানুষও যদি ঐ চড়ুই এর মতো বিশ্বাস করতো যিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই তাকে আহার দিবেন তবে আল্লাহ সেই চড়ুই এর মতোই আপনাকে আহার তুলে দিতেন”।
তাহলে যে আপনি আল্লাহকে এতো ডাকেন কোই তিনি তো আপনার সমস্যাতে সাড়া দেন না…..আল্লাহ তো এতোদিনেও আপনাকে বড়লোক বানিয়ে দিলেন না?!!!!
আমাদের সমস্যাটা হলো “আল্লাহ তুমি আমাকে ধৈর্য দাও….এখনি দাও, এই মুহূর্তেই দাও” এমন মানসিকতা পরিহার করা উচিত তথাপি আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তাকে তো সঠিকভাবে ডাকতেই জানি না!
কি…আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না তাইতো?
তাহলে আপনিই আপনার বিচার করুন তো নামাযে দাড়িয়ে কি আপনার আল্লাহর কথার চেয়ে বাইরের অবান্তর কথায় বেশী মনে পড়ে, অথচ নামায তো আল্লাহর সাথে বান্দার সাক্ষাত।
আপনিই বলুন “ক্লাসে বসে স্যারের কথা না শুনে আপনি যদি জানালা দিয়ে বাইরের আকাশ দেখেন তাহলে পরীক্ষাতে কি পাস করা যায়?” তেমনি আল্লাহর সাথে সাথে সাক্ষাত করতে হলে আপনার সাবকনশিয়াস মাইন্ডকে আল্লাহর প্রতিই ফোকাস রাখতে হবে।
দাড়ান সলিউশন দিয়ে দিচ্ছি “আপনি যদি নামাযে মনোযোগ দিতে না পারেন তবে নামাযে দাড়িয়ে এমনটা ভাববেন যে আপনি স্বয়ং আল্লাহকে দেখছেন যিনি আপনার সামনে আছেন [যদি তাতে আপনার অবচেতন মন আল্লাহর কোন অবয়ব তৈরী করে ফেলে তাহলে এটা করার প্রয়োজন নেই কেননা তাতে গুনাহ হবে] তথাপি আপনি এমনটা ভাবতে পারেন যে আপনি নামাযে দাড়িয়েছেন এটা স্বয়ং আল্লাহ দেখছেন [পরীক্ষার হলে আপনার সামনে যদি স্যার দাড়িয়ে থাকেন তবে আপনি কি নকল করতে পারবেন? তাহলে আল্লাহ যদি আপনাকে দেখে এমনটা ভাবেন তাহলে সেই আল্লাহর আদেশে নামাযে মনোযোগ কিভাবে অন্যদিকে যাবে বলুন তো…]।
আর নামায বা সালাতে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময়টা হলো সিজদাহ্ তাই আপনার দোয়া [আপনি কি জানেন সালাত শব্দের অর্থ’ই দোয়া] আপনার চাওয়া পাওয়া কায়মনোবাক্যে সিজদাহ্’তে আল্লাহকে জানান।
যদিচ ফরজ নামাযে জামায়াতে সেটা সম্ভবপর হয়না তাই আমি প্রেফার করবো তাহাজ্জুদের নামাযে এমনটা প্র্যাকটিস করুন, চেষ্টা করুন চোখের দু ফোটা পানি বের করার জন্য [পানি না আসলেও অন্তত কান্নার চেষ্টাটুকু তো করুন কেননা আল্লাহর নিকট এই চোখের এক ফোটা পানির মূল্য অনেক বেশী আর আপনার চেষ্টা টুকুই আল্লাহকে খুশী করার জন্য যথেষ্ট হবে]।
সবাই যখন ঘুমিয়ে থাকবে তখন দুফোটা চোখের পানিতে জায়নামাজে সালাতের সিজদাহ্’তে আল্লাহর নিকট দোয়া করলে তিনি নিশ্চয়ই তা কবুল করবেন (ইনশাআল্লাহ) আল্লাহর করুণার ওপর বিশ্বাস রাখুন প্লিজ [মনে করুন আপনি এমন একটা লঞ্চে আছেন যা মাঝ নদীতে ডুবে যাচ্ছে তখন আপনার মনের অজান্তেই মুখ থেকে কিন্তু সৃষ্টিকর্তার নামটি চলেই আসবে…..হ্যা, আল্লাহ আপনার এতোটাই কাছের]।
যারা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী তাদের জন্যও একই কথা কেননা “সৃষ্টিকর্তাকে ভিন্ন নামে ডেকেও যদি তাকে সৃষ্টির কর্তা একক মেনে মনের কথা জানান তবে তিনি নিশ্চয়ই হয়তো আপনাকে ফিরিয়ে দিবেন না…..আপনার বিশ্বাস’টাই আপনাকে মুক্তির আলো দেখাবে, ট্রাস্ট মি”।
[আর যারা সৃষ্টিকর্তাতে বিশ্বাসী নন অর্থাৎ নাস্তিক তাদের জন্য কিছুই বলার নেই, ধর্মের বিপরীতে সবচেয়ে বড় অধর্মের কাজই হলো ধর্ম নিয়ে অহেতুক বাড়াবাড়ি করা]।
আপনি যেই ধর্মেরই হউন না কেন সৃষ্টিকর্তাতে পূর্ণ বিশ্বাসী হউন তিনিই আপনার সফলতার পথ মসৃণ করে দিবেন তবে সেই পথে হেটে চলার কাজটুকু আপনাকেই করতে হবে।আপনি আপনার গন্তব্যের দিকে দৌড়াতে না পারলে হেটে চলুন, হাটতে না পারলে হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে যান আর হামাগুড়ি না দিতে পারলে অন্তত চোখ দুইটা গন্তব্যের দিকে প্রশস্ত রাখুন যেন সফলতার আলোটুকুতে নিজের চোখ উদ্ভাসিত হয়…..চোখ বন্ধ করে ইচ্ছাকৃত অন্ধ হওয়ার চাইতে মরে যাওয়ায় বোধহয় শ্রেয়তর কেননা “দেহের মৃত্যুতে শরীর পঁচা গন্ধ না হয় মাটি চাপা দেওয়া চলে কিন্তু মনের মৃত্যুতে জিন্দা লাশ হয়ে বেঁচে থেকে বুকের মাঝখানে পাথর চাপা নিঃশ্বাসটুকুও নিতে পারবেন না”।
সফলতার পথের শুরুতেই সঞ্চয়ী হওয়া শিখুন; একটি মাটির ব্যাংক কিনুন এবং তাতে প্রতিদিন তাতে ৫ টাকা করে হলেও জমান।
এখন কথা হলো এই ৫ টাকা আপনি কোথায় পাবেন?
আপনার হাত খরচের টাকা কিংবা বদ-অভ্যাসের মাত্রা (এইটার অর্থ যারা বদ অভ্যাসে অভ্যস্ত তারা রিয়েলাইজ করতে পারবেন নিশ্চয়ই) অথবা কলেজ/ভার্সিটিতে যাওয়ার পথ খরচের টাকা থেকে বাঁচিয়ে প্রতিদিন নূন্যতম কিছু টাকা জমান; এই জমানো টাকা’টাই একদিন স্বপ্ন পূরণে স্বার্থক সহায়ক হবে [***আপনার জমানো টাকা নিজের কাছে গচ্ছিত রাখুন – অতি লাভের আশায় ইনভেস্টমেন্ট করতে কোন স্বপ্ন বিক্রির হকারের হাতে তুলে দিবেন না কিংবা এমন কোন হ্যাকারের হাতেও তুলে দিবেন না যে পরিস্থিতির স্বীকার]।
নিজের প্রতিটি সময় ক্রিয়েটিভ এবং ইফেক্টিভ কাজে ব্যায় করুন, সোনালী বিকাল নিকোটিনে না পুড়িয়ে আপনি টিউশানির করতে পারেন এতে কারে আপনার ব্রেইন যেমন শার্প থাকবে তেমনি হাত খরচের কিছু টাকাও হয়ে যাবে…..বাবার হাতে সংসারের খরচের কিছু টাকা দিতে না পারলে অন্তত তার নিকট হাতখরচের জন্য টাকা চাইতে লজ্জাবোধ করুন; আত্মসম্মান বা সেল্ফ রেসপেক্টেশনের শুরুটা এভাবেই করুন!
উদাস সন্ধ্যায় মন খারাপ করে ব্যালকনী বা ছাঁদে সময় না কাটিয়ে সেই সময়টাতে কবিতা লিখুন কিংবা গল্প লিখুন, হয়তো ভাবতে পারেন আজকের এই দিনে ভার্চুয়াল আবেগ রেখে কে আপনার গল্প কবিতা পড়বে?
নাহ….গল্প বা কবিতা আপনি আপনার জন্যই লিখুন, তাতে আপনার মনের ভেতর ক্ষীন ক্ষনিক অভিমাণ কিংবা ক্ষোভ খাতা কলমে কালির আঁচড়ে নিঃশেষ করে দিন; চাইলে কিবোর্ডে হাত রেখেও তৈরী করে ফেলতে পারেন আপনার আলাদা এক সাহিত্যিক ফ্যানবেইজ!!!
যতোটা দ্রুত সম্ভব রাতে ঘুমাতে যান [যদি কোন নির্দিষ্ট কাজ না থাকে তবে অবান্তর জেগে থাকার চাইতে] এবং অনৈতিক অভ্যাস থাকলে সেটা পূর্ণরূপে পরিহার করুন [শেষরাতে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করুন এবং পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সাথে সাথে দুপুরে নিজের গোছলের সময়টা যথাসম্ভব সীমিত ৬/৭ মিনিটের ভেতর সম্পন্ন করুন]; ক্লোজ ফ্রেন্ড, বেস্ট ফ্রেন্ড, জাস্ট ফ্রেন্ড, ওপেন মাইন্ডেড এই সমস্ত এডজেকটিভ হতে নিজেকে সংযত রাখুন [আপনি একজন ছেলে হলে আপনার সমস্ত পৌরুষত্ব পাওয়ার রাইট আপনার ভবিষ্যতের উডবি ওয়াইফের, সেখানে শব্দের যৌনতায় নিজের শরীর ও মনকে বিকিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে সবকিছু সযত্নে রাখুন এজ এ আমানত]।
এতোক্ষনে আপনি হয়তো আপনার লাইফের সফলতার পথের শুরুটা সঠিকভাবে করেছেন তবে এরমানে এই নয় যে আপনি চূড়ান্তভাবে সফলতা এচিভ করবেন….বেশীরভাগ মানুষেরাই শুরুটা সঠিকভাবে করলেও মাঝপথে হারিয়ে যায় আর তাতেই তারা হেরে যায়!
আমার কথাটি মনে রাখুন “একবার না পারিলে দেখ শতবার কথাটি ভুলে যান….আপনাকে ততোক্ষন অবধি চেষ্টা করে যেতে হবে যতোক্ষন না অবধি আপনি আপনার সাকসেস এচিভ করতে পারছেন, এখানে সংখ্যা দিয়ে সফলতা যাচাই করবেন না”।
আপনি হয়তো জানেন কিছুদিন আগে বাংলাদেশে Aimbook এবং Aladdin নামক দুটি সোস্যাল নেটওয়ার্ক তৈরী হয়েছিলো তবে এখন তাদের অবস্থা নাজুক…নাহ ইউজারদের স্বল্পতা বা এক্টিভিটি না থাকার কথা বলছি না, আমি ঐ ওয়েব এপ্লিকেশন নির্মাতাদের স্ট্যামিনার অভাব’কে দায়ী করছি।
আপনি কি জানেন বাংলাদেশে সার্চ ইঞ্জিন এর নাম কি??
জানি তো….পিপিলিকা; হ্যা, এটা পরীক্ষার ভাইভাতে আসার জন্যই মুখস্থ করা তবে বাস্তবে আমরা কতোজনই বা গুগলের বিপরীতে সেটা ইউজ করি বা লাইফে অন্তত একবার ব্যবহার করেছি?!
আপনি জানেন বাংলাদেশের আরও দুটি সার্চ ইঞ্জিন আছে….সরি “আছে” নয় “ছিলো” একটি হলো “চরকি” এবং অন্যটি হলো “খোঁজ” অথচ আজ তাদের দেহাবশেষ পর্যন্ত অবশিষ্ট নেই; হাস্যকর ডোমেইন ফ্লিপিং এর আশায় আজ ডোমেইন নির্লজ্জ দুটি বিকিয়ে আছে!!!
বাংলাদেশের টেক জগতের বিষ্ময় Techtunes তাদের অরিজিনাল (.com.bd) সিসিটিএলডি ডোমেইনটি অবধি টিকিয়ে রাখতে পারলো না, আর বর্তমানে সময়ে বাংলাদেশের টেক জগতের মিলনমেলা TrickBD এর সেই অতীত জৌলুসটাও হারিয়ে যেতে বসেছে; এমনিভাবে সামু, সচলায়তন, প্রজন্ম ফোরাম সবকিছুই অতীত ভুলে খেয় হারিয়ে ফেলেছে!!
প্রায় প্রত্যকের লাইফেই বয়সের দোষে কিংবা আবেগের মোহ অথবা নিছক ” অব্যক্ত আকারণে” ভালোবাসা চলেই আসে….এই ভালোবাসা জিনিসটাকে আমি অবজ্ঞা করছি না আবার আপনাকে আপনাকে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে অবহেলা করার কথাও বলছি না….মূলত এই বিষয়ে আমি কিছুই বলবো না।
তবে আমি যেটা বলবো “আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে কাছে পেতে নিজের জীবন বিসর্জন দিবেন না কেননা আপনি বেঁচে থাকলেই ভালোবাসা বেঁচে থাকবে, নিজেকে নিঃশেষ করে নিঃস্ব করার নাম অন্তত ভালো ভালোবাসা হতে পারে না; তদ্রুপ প্রিয়জনের বিরহে চোখের পানির কান্নাতে নিজেকে কষ্ট হালকা করুন তবে নিজের ক্যারিয়ার বিসর্জন নয়”।
প্রকৃত ভালোবাসা হলো ” প্রিয়জনকে ভালো রাখা এবং প্রিয়জনের জন্য নিজেকে ভালো রাখা”।
ভাইয়া….এমন কোন টেক-আইডিয়া আছে যা আমার লাইফটা বদলে দিবে??
আপনি চাইলে গুগলের চেয়ে বেটার এমন একটা সার্চ ইঞ্জিন বানাতে পারেন; নাহ….এর জন্য আপনাকে গুগলের মতো মস্ত ওয়েব সার্ভারের দরকার হবে না বরং প্রয়োজন হবে আপনার ব্রেইনের বুদ্ধি।
আপনি চাইলে সারফেস ওয়েবের Google, Bing, Yahoo, Youtube এবং Facebook এর সমন্বয়ে এমন একটি ইউনিভার্সাল সার্চ ইঞ্জিন বানাতে পারেন যাতে “কেউ একই ওয়েবপেইজের একটি একক সার্চবারে একই শব্দ একবার লিখে তার মন মতো সার্চ ইঞ্জিন বাছায় করে নিতে পারবেন; আপনি চাইলে গুগল সিএসই’টাকে রিভার্সলি ফিল্টারেশন হিসেবেও ইউজ করতে পারেন আরও স্পেসিফিক সার্চ নিশ্চিত করার জন্য। এমনকি আপনি সার্চ ক্যাটাগরিতে আরও বিভিন্ন ওয়েবসাইট যুক্ত করে একটি মেগা সার্চ মেশিন বানাতে পারেন “যেমন একজন সাধারণ স্টুডেন্ট যদি web development লিখে সার্চ করে তবে তার প্রয়োজন হচ্ছে web development related tutorials অন্যদিকে একজন ফ্রিল্যান্সার কিন্তু web development লিখে সার্চ করবে web development related job তাই আপনি যদি স্পেসিফিক ক্যাটাগরিতে স্টুডেন্ট’টির জন্য বিভিন্ন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট লার্নিং ওয়েবসাইটের প্যাকেজ এবং ফ্রিল্যান্সদের জন্য ফ্রিল্যান্সার,ফাইবার,আপওয়ার্ক, গুরু ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং ও মাইক্রোজব সাইটের প্যাকেজ তৈরী করেন তবে নিশ্চয়ই সেটি সারা ইন্টারনেট দুনিয়াতে সাড়া ফেলতে বাধ্য”। আর সবচেয়ে মজার কথা হলো কাজটি শুধুমাত্র ওয়েবপেইজ স্ট্র্যাকচারাল এইচটিএমএল এবং সেটা সাজাতে সিএসএস বা সিএসএস থ্রি এবং তাতে লাইভ আনতে জেকুয়ারি-জাভাস্ক্রিপ্ট হলেই চলবে আর এডিশনালি ইলিমেন্ট ফিল্টার করতে গুগলের সিএসই’ই হয়তো এনাফ হবে [হোস্টিং স্পেস নিয়ে চিন্তা করলে নিশ্চিত থাকুন পর্যাপ্ত ব্যান্তউইথে মাত্র ১ জিবি/ ২ জিবি স্পেসই এনাফ ইন এনাফ]।
উহু…লাইফে সফলতার জন্য আরও কিছু নীতিকথা মেনে চলুন (১) হিংসা পরিহার করুন (২) রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন (৩) ভালোবাসতে শিখুন (৪) কাউকে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করার আগে জাস্টিফাই করুন (৫) ক্ষমা করে দিতে শিখুন (৬) কষ্ট কখনো নিজের মাঝে চাপিয়ে চুপিচুপি থাকবেন না (৭) মন খোলা হাসি হাসতে শিখুন।
কথাগুলি মুখস্থ করে রাখতে হবে না, স্রেফ আতস্থ করে রাখলেই চলবে!!!
যদি খুব মন খারাপ হয়, কিছুই ভালো না লাগে…ডিপ্রেশনে নিজেকে অসহায় মনো হয় তবে আপনি কোন গোরস্থানে গিয়ে কিছুক্ষণ ঘুরে আসুন, অজানা অচেনা কারোর কবরে গিয়ে জিয়ারত করুন।
নাহ…আমি পাগল হয়ে যায়নি, যেখানে একদিন আপনি আমি সবাই থাকবো সেখানে আগের থেকে আগ বাড়িয়ে ঘুরে আসা মন্দ কিছু হবেনা! দুনিয়াবি কষ্টগুলো বিসর্জন দিয়ে আসা বোকামী তো হবে না!! অহংকারে আবৃত কালো কুৎসিত মনের উৎপাদ “ডিপ্রেশন” ভুলে ভালো কারে বেঁচে থাকার স্বপ্ন নিয়ে ফেরা স্বার্থক হবে!!!
সবিশেষে নিজের জন্য একখানা মিথ্যা বানানো গল্প বলি…নাহ, বেশী লম্বা গল্প বলবো না অল্প কিছু লাইন লিখেই শেষ করবো, প্রমিস!
একদা এক প্রজাপতি রাজ্যের অহংকার আর প্রতিপত্তি ছেড়ে ভালোবাসার টানে আরেক লক্ষী প্রজাপতিকে নিয়ে ছোট্ট এক বাগানোর গোলাপ গাছে বাসা বাধিলো। প্রজাপতি’টি সেই গোলাপের সুগন্ধে আসা বহু ছোট ছোট প্রজাপতিকে ভালোবেসে আপন করে নিয়েছিলো নিজের ডানার তলে, একটু একটু করে উড়তে শিখিয়েছিলো বাগান ছেড়ে মুক্ত আকাশে। এমনি আরেক রঙ্গিন আকাশের পাড়ি দেবার আশায় প্রত্যেক প্রজাপতির ডানার ছোট ছোট কিছু পালক নিয়ে গড়তে চেয়েছিলো এক মুক্ত আকাশে মুক্তির মেঘে আবৃত ভালোবাসার ডানা। এরই মাঝে ঐ প্রজাতির দম্পতির জীবনে আসলো আরেকটা নতুন লক্ষী ছোট্ট শিশু প্রজাপতি, তবে বাগানে বিরাট দানবের মরণ বাণে নিষ্পাপ শিশু প্রজাপতির প্রাণ বন্দি হলো কাঁচের ঘরে আটকা ভেন্টিলেশনে….তাকে বাঁচাতে দিতে হলো ডানার সব রঙ্গিন পালক জলাঞ্জলি। অন্যদিকে সেই দানবের হাত হতে রেহাই পেতে সেই বাগান ছেড়ে ছোট্ট শিশু প্রজাপতিকে নিয়ে দম্পতি চলে গেল বহুদূর, পড়ে রইলো ঐসব ছোট ছোট প্রজাপতির ভালোবাসা যা একদিন অভিমান আর অভিযোগ শেষটাতে ক্ষোভে তারা হাজির হলো তার কাছে, ফিরে পেতে চাইলে সব রঙ্গিন ডানার পালক…..
মিথ্যা কথা বলে সেই দিনটা কোনমতে পার করিয়ে দিলো এরপর রাতে স্ত্রী প্রজাপতিকে লুকিয়ে নিজের ডানার একটা একটা করে রঙ্গিন পালক খুলে পরদিন সবকিছুই বিলিয়ে দিলো তাদের মাঝে তবুও ক্ষোভ কমলো না বরং আংশিক পালকে তারা বেজায় রেগে গেলো, কেউ হয়তো শিশু প্রজাপতি আর স্ত্রী প্রজাপতির দোহায় দিয়ে ভয় দেখাতেও দ্বিধা করলো না; অথচ যেই প্রজাতি নিজের পালক ছিড়ে ব্যথা সহ্য করে হাসতে জানে তার মরণের ভয় কি?
তবে ভালোবাসা ছিলো প্রিয়তমা স্ত্রী আর নিষ্পাপ শিশু প্রজাপতির জন্য। এরপর প্রজাতিটি নিজ ডানা কেটে মিথ্যা ডানা লাগিয়ে তাদের সামনে এসে বাকিটুকু মিটিয়ে দিলো….নাহ তবুও তো মিটলো না, তাইতো সব হারিয়ে রাতের আধারে একই ছাদের নিচে ঐদিন আর স্ত্রী প্রজাপতির চোখের দিকে তাকাতে পারলো না, পালকহীন ডানা ছাড়া পতঙ্গ আর হউক প্রজাতি তো হতে পারে না; ঐদিন রাতেই স্ত্রী প্রজাপতি বাচ্চা প্রজাপতিকে ঘুম পাড়িয়ে বাতি নিভিয়ে নিজের ডানা পালক একটা একটা করে উঠিয়ে, ডানার কেটে স্বামীর হাতে তুলে দিলো….পরদিন যতো দ্রুত সম্ভব তাদের সবটা ফেরতও দিয়ে দিলো তবুও বোধকরি দুই তিনটা পালক বাকি ছিলো, কিন্তু শরীরে তো আর ডানায় নেই পালক পাবে কোথায়???
তাইতো ক্ষমা না চেয়ে বরং শুলের উপায় বাতলে দিলো, ঐসব প্রজাতি শেষটাতে তীক্ষ্ণ কথাতে বিদ্ধ করে উড়াল দিলো দূর আকাশের পানে…পিছে কিছু কথা বলার জন্য শেষবার স্নেহের টানে “ভালোবাসি” কথাটি বলার জন্য প্রজাপতি উড়বার আশায় উড়াল দিলো তাদের পিছুপিছু……
আফসোস ডানা ছাড়া প্রজাপতি ঘাস ফড়িং এর মতো কিছু দূর উড়াল দিয়ে মাটিতে আছড়ে পড়লো, দূর হতে এটা দেখে রক্তাক্ত স্ত্রী প্রজাপতি ছুটে এলো।
তারপর একই ছাদের নিচে একই ভালবাসায় দম্পতি প্রজাতি সংসার করিতে লাগলো ঠিকই তবে এরপর থেকে কেউই আর কারোর চোখের দিকে তাকাতে পারতো না। একজন আরেকজনে ডানা ছাড়া এমন অবস্থায় শুঁয়োপোকার মতো অবয়ব শরীর সহ্য করতে পারলেও চোখ সহ্য করতে পারে না; একজোড়া চোখ কান্না লুকায় অন্যজোড়া চোখ লজ্জা।তারা দুজনের তাকিয়ে থাকে ঐ নিষ্পাপ অবোধ লক্ষী শিশু প্রজাপতির চোখের পানে……………..
আহ….বেশ ভালো গল্প লিখতে পারি তো; তবে নিশ্চিত থাকুন এটা একটা ডাহা মিথ্যা বানোয়াট গল্প তাই অযথা ইমোশনাল হওয়ার প্রয়োজন নেই বরং ইনস্পায়ার্ড হউন আপনার মনের ইচ্ছাশক্তিতে।
আমি বা আমার এই শেষ লেখাটি কতোটা সফল সেটা নির্ভর করবে শুধুই আপনার ওপর; আজ নয় হয়তো আগামী ২ বছর কিংবা ১০ বছর, আমি না থাকি তবে লেখাটি সাক্ষী হয়ে থাকবে আপনার সফলতার গল্পে, সেই গল্পের নায়ক হওয়ার আশায় একটা এনোনিমাস নিয়ন বেঁচে থাকবে প্রত্যেকটা মানুষের অন্তরের গহীনে….একদম বুকের ঠিক মাঝখানটাতে!!!!
জাজাকাল্লাহ