Site icon Trickbd.com

ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ১

Unnamed


আসসালামু আলাইকুম

আশা করছি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নবুয়ত প্রাপ্তির পর খুব বেশীদিন লাগেনি ইসলামের আলাে চুতর্দিকে ছড়িয়ে পড়তে। খােলাফায়ে রাশেদার শাসনামলের মধ্যেই এ আলাে দিগ্বিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মুসলমানেরা দেশের পর দেশ জয় করতে থাকে, সাথে সাথে মুসলমানদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।

ইকরা’ বা পড় এ শব্দটি দিয়েই কুরআন নাযিল শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ ‘পড়’ এটাই

পৃথিবী বাসির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ প্রথম শব্দ। জ্ঞান চর্চার এ তাকিদ আর কোন ধর্ম গ্রন্থের শুরুতে আছে বলে আমার জানা নেই। প্রথম যুগের মুসলমানেরা আল্লাহর এ নির্দেশ মেনে নিয়েছিলেন। তাঁরা সে অনুযায়ী তাদের জীবনকে গড়ে তুলেছিলেন। যে কারণে তাঁদের মধ্য থেকেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্মবেত্তা, ধর্মনেতা, সেনাপতি, ঐতিহাসিক, বিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিদ, অংক শাস্ত্রবিদ, রসায়নবিদ, পদার্থবিদ, জ্যোত্যিষী প্রভৃতি নানা শাখার ব্যক্তিত্ব, মনীষীরা বের হয়ে আসতে পেরেছিলেন।

এটা ছিল মুসলমানদের ইতিহাস। কিন্তু দুর্ভাগ্য আজ মুসলমানরা জ্ঞান-গবেষণার পরিবর্তে পরচর্চায় ব্যস্ত থাকে। অন্যদিকে তথাকথিত এক শ্রেণীর মুসলিম নামধারী বুদ্ধিজীবী নামের পরজীবীরা মত্ত থাকেন ইসলাম ও মুসলমানদের দোষ ক্রটি খুঁজে বের করার কাজে।

কষ্ট লাগে তাদের জন্য। তারা যদি অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে কল্যাণকর জ্ঞান-গবেষণায় রত থাকতেন তাহলে তাদেরসহ দেশ ও জাতি কতই না উপকৃত হতাে।

এই সিরিজে আমি ইতিহাসের সেরা কয়েকজন মুসলিম বিজ্ঞানীর নাম বলবো,

যাদের জন্য পুরো পৃথিবী তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
পুরােপুরি সফলতার সাথে কাজটি করতে পেরেছি তা বলবাে না। তবে চেষ্টা করেছি যথাসম্ভব।

১.জাবির ইবনে হাইয়ান (রসায়নবিজ্ঞানের জনক)

ধাতু, ইস্পাত ও কাচ। আমরা নানা কাজে ব্যবহার করি।এই ধাতু ও ইস্পাতের ওপর সভ্যতা নির্ভরশীল। ইতিহাসের নানা অধ্যায় রচিত হয়েছে সােনালি অক্ষরে। এই যে ধাতু, ইস্পাত ও গ্লাসের কথা বলা হলাে, এসব উপাদান প্রথম উদ্ভাবন করেন একজন মুসলিম বিজ্ঞানী। সােনালি অক্ষর প্রথম উদ্ভাবন করেন তিনি।

তিনি বিজ্ঞানের ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নাম। তাকে গণ্য করা হয় রসায়নের জনক বলে। তার পুরাে নাম আবু মূসা জাবির ইবনে হাইয়ান।

তিনি ৭২২ খ্রিস্টাব্দে পারস্যের তুসনগরে জন্মগ্রহণ করে।তাঁর পুরাে নাম আবু আবদুল্লাহ জাবির ইবনে হাইয়ান ইবনে আবদুল্লাহ আল আজদী আল তুসী আল সুফী আল ওসাবী।

তিনি শিক্ষা লাভ করেছিলেন ইমাম জাফর সাদিক এবং খালিদ ইবনে ইয়াজিদ-এর কাছে।

জাবির ইবনে হাইয়ান জীবনের শুরু থেকে বিজয়ীর বেশে জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখেন। তার বাবা ছিলেন একজন গরিব ওষুধ বিক্রেতা।

জাবির ইবনে হাইয়ানের উল্লেখযােগ্য অবদান ছিল বস্তুর বৈচিত্র্য আনয়ন।

তিনি পদার্থের জগৎকে তিন ভাগে ভাগ করেন। প্রথম ভাগ হচ্ছে স্পিরিট। দ্বিতীয় ভাগে ধাতু। এবং তৃতীয় ভাগ কম্পাউন্ড বা যৌগিক পদার্থ। তাঁর এই মৌলিক আবিষ্কারের সূত্রেই পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানীরা পদার্থকে তিন ভাগে ভাগ করেন।

এগুলাে হচ্ছে : ধাতু, অধাতু ও উদ্বায়ী বস্তু।

জাবির ইবনে হাইয়ান তাঁর নিজের গবেষণাগারে স্পিরিট আবিষ্কার করেন। তিনি সুনির্দিষ্ট কিছু পদার্থ উদ্ভাবন করেন। এগুলাে তাপ দিলে উড়ে যায়। এর মধ্যে ছিল কর্পূর, আর্সেনিক ও অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড।

তিনি আমাদের এমন কিছু যৌগিক পদার্থ উপহার দেন, যেগুলােকে ভেঙে চুরমার করে পাউডার করে দেয়া যায়। জাবির ইবনে হাইয়ানের এসব আবিষ্কার সে সময়ের বােদ্ধা লােকজনদের অবাক করে দেয়। এই মহান বিজ্ঞানী বারাে’শ বছর আগে পরীক্ষণের এক অনন্য পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এই একই পদ্ধতিই পরিবর্তনের মাধ্যমে রূপান্তরিত হয় আধুনিক রসায়নে। জাবির ইবনে হাইয়ান যথাযথ রসায়নকে সত্যিকারের রসায়নে রূপান্তর করেন।

সর্বপ্রথম তিনি বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে রসায়নের প্রাথমিক প্রক্রিয়াগুলি অনুশীলন করার উপায় উদ্ভাবন করেন। পাতন, উর্ধ্বপাতন, পরিস্রবণ, দ্রবণ, কেলাসন, ভস্মীকরণ, বাষ্পীভবন ও গলানো প্রভৃতি রাসায়নিক প্রক্রিয়ার সূত্রপাত তাঁর হাতেই সম্ভব হয়েছিল।

ইস্পাত তৈরী, ধাতুর শােধন, তরল ও বাষ্পীকরণ প্রণালী, বস্ত্র ও চর্ম রঞ্জন, ওয়াটার প্রুফ কাপড়ের ও লােহার মরিচা রোধক বার্ণিশ, চুলের নানা রকম কলপ প্রভৃতি অনেক অনেক রাসায়নিক দ্রব্য প্রস্তুত প্রণালী ও বিধি সম্বন্ধে তিনি তাঁর রচনাবলীতে বিস্তৃত বর্ণনা দিয়েছিলেন।

গ্লাস উৎপাদনে ম্যাঙ্গানিজ ডাই-অক্সাইডের
ব্যবহারের সূচনা করেন তিনি।রং ও গ্রীজ আবিষ্কার করেন তিনি।সিরকা পাতন পূর্বক সিরকা প্রধান অম্ল (Aceite Acid) তৈরী করতেও তিনি সক্ষম ছিলেন এবং সাইট্রিক এসিড, আর্সেনিক, এন্টিমনি, সিলভার-নাইট্রেট, কিউরিক ক্লোরাইড প্রভৃতি রাসায়নিক দ্রব্যের সঙ্গেও তাঁর পরিচয় ছিলাে।

তিনি জলীয় লতাগুল্ম ও দুরাদ (Tartar) ভস্ম করে পটাশ ও সোডা তৈরি করেন এবং এগুলিকে এসিডের সঙ্গে মিশ্রিত করে লবণ তৈয়ারী করতে সক্ষম হন।

বিভিন্ন রকমের গন্ধকের কথাও তার অজানা ছিলাে না। তিনি গন্ধককে ক্ষারের সঙ্গে তাপ দিয়ে লিভার-অব-সালফার এবং মিল্ক-অফ-সালফার তৈয়ারী করেন।

তাছাড়া ফিটকিরি, ক্ষার, সল্টপিতার লেড-এসিটেড প্রভৃতিও প্রস্তুত করতে তিনি সক্ষম হয়েছেন (মুসলিম মনীষা, পৃ. ৩০-৩১)।

জাবির ইবনে হাইয়ানই সর্ব প্রথম নাইট্রিক এসিড আবিষ্কার করেন । সালফিউরিক এসিডও তাঁর আবিষ্কার । তিনি ‘কিতাবুল ইসতিতমাস’ এ নাইট্রিক এসিড প্রস্তুত করার ফর্মুলা বর্ণনা করেন । নাইট্রিক এসিডে স্বর্ণ গলে না এটাও তার আবিষ্কার ।

নাইট্রিক এসিড ও হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মিশ্রনে স্বর্ণ গলানোর ফরমুলা তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন । নাইট্রিক এসিড ও হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মিশ্রনে স্বর্ণ গলানোর পদার্থটির নাম যে ” একোয়া রিজিয়া ” এ নামটিও তাঁর প্রদত্ত।

লেখক হিসেবে জাবির ছিলেন খুবই উল্লেখযােগ্য। চিকিৎসা বিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞানেও তার অবদান অসংখ্য।

ফিহরিস্ত নামক বিখ্যাত গ্রন্থসূচী–প্রণেতা মুহাম্মদ ইবনে নাদিম আল বােগদাদীর (কৃ. ৯৯৫ খু.) মতে জাবীর দুই হাজারেরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। সংখ্যাটা অনেকের নিকট অবিশ্বাস্য মনে হলেও বর্তমানে পণ্ডিতেরা এই সিন্ধান্ত এসেছেন যে, জাবীরের বহু কিতাব মাত্র দু’চার পৃষ্ঠার বেশি নয় এবং তার সমগ্র রচনা বারাে হাজার পৃষ্ঠার বেশি হবে না। তিনি চিকিৎসা,

রসায়ন, খনিজ পদার্থ ও বিশেষত পাথর, দর্শন, যুদ্ধবিদ্যা, জ্যামিতি,

জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করেন। চিকিৎসা বিষয়েই জাবীর প্রায় পাঁচশ গ্রন্থ রচনা করেন। এগুলিতে ভেষজ তত্ত্ব, রােগ নির্ণয়, ঔষধ নির্বাচন, এনাটমি বা শব-ব্যবচ্ছেদ প্রভৃতি ছাড়া চিকিৎসা ব্যবসায় তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বিস্তৃত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। তাঁর আল- জহর’ বা বিষ নামক চিকিৎসা-গ্রন্থটিই মৌলিকতার দিক দিয়ে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।(মুসলিম মনীষা, পৃ. ২৯)।

এছাড়া কিতাবুর রহমত, কিতাবুত তাজমী’ এবং জিবাক উশ-শরকী’ বিশ্বখ্যাত গ্রন্থ গুলােও তাঁকে অমর করে রেখেছে। জাবীর ইবনে হাইয়ান তাঁর অবদান সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন ছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার ধনদৌলত, টাকাকড়ি আমার ছেলেরা ভাইয়েরা ভাগ করে নিয়ে ভােগ করবে। কিন্তু জ্ঞানের দরওয়াজায় বারবার আঘাত করে আমি যে শিক্ষা দিয়ে গেলাম, তাই আমার তাজ হিসেবে চিরকাল শােভা পাবে।

পৃথিবীর এ সেরা বিজ্ঞানী ৮০৪ খৃস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।

2.আল খোয়ারিজমি(বীজগণিতের জনক)

আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ। পুরাে নাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল-খাওয়ারিজমী।

তিনি ছিলেন জগত-বিখ্যাত এক গণিতবিদ। তার সময়ে গণিতের জ্ঞানকে তিনি এক অভাবনীয় সমৃদ্ধতর পর্যায়ে নিয়ে তুলেন। একজন গণিতবিদ হওয়ার পাশাপাশি ছিলেন একজন উল্লেখযােগ্য জ্যোতির্বিদ। ভূগোল বিষয়েও তার প্রজ্ঞা উৎকর্ষতাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। তিনি ছিলেন এলজাবরার জনক।

তিনি প্রথম তাঁর একটি বইয়ে এই এলজাবরার নামােল্লেখ করে সেই বইটির নাম : ‘আল-জাবর ওয়া-আল- মুকাবলা’। তিনিই সৃষ্টি করেন গণিতের এই নতুন শাখা। তাঁর হাতেই গণিতের এই শাখাটি পরবর্তী সময়ে আরও সমৃদ্ধতর হয়।

খোয়ারিজমি রচিত কিতাব আল জাবর ওয়াল মুকাবলাতে তিনি রৈখিক এবং দ্বিঘাত সমীকরণ এর প্রথম পদ্ধতিগত সমাধান উপস্থাপন করেন। বীজগণিতে তার প্রধান সাফল্য ছিল বর্গের সাহায্যে দ্বিঘাত সমীকরণের সমধান, এর জন্য তিনি জ্যামিতিক প্রমাণ প্রদান করেন।

সর্বপ্রথম তিনিই বীজগণিতকে স্বাধীন শাখা হিসেবে তুলে ধরেন এবং সমীকরণ সমাধানের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন, তাই খোয়ারিজমিকে বীজগণিতের জনক বা প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। আলজেবরা(বীজগণিত) শব্দটিই এসেছে তার আল জিবর ওয়াল মুকাবিলা বই এর শিরোনাম থেকে। তার নামটি guarismo (স্পেনীয়)[৯] এবং algarismo (পর্তুগিজ) দুইটিরই উৎস, দুইটি শব্দেরই অর্থ অঙ্ক।

আরবরা আবিষ্কার করেন শূন্য (০) সংখ্যা বা অঙ্কটি। এটা ছিল এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। কিন্তু আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ এই ‘শূন্য ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করেন। তার শূন্য ব্যবহারের নীতি-ব্যাখ্যা শূন্য’ ব্যবহারকেই দ্রুত করে তােলে। এর ফলে গণিত এসে দাঁড়ালে তার পরিপূর্ণ প্রেক্ষিতে।

এই মুসলমান পণ্ডিতের কাছে ত্রিকোণমিতি অনেকটা ঋণী। ত্রিকোণমিতি হচ্ছে গণিতের আরেকটি শাখা। সমকোণী ত্রিভুজের তিন কোণ আর বাহু নিয়ে ত্রিকোণমিতির কারবার।

আল-খাওয়ারিজমী উদ্ভাবন করেন ত্রিকোণমিতি বিস্তারিত উপাত্ত। তিনিই ‘কনিক সেকশন’-এর গাণিতিক ধরনের আধুনিকায়ন
করেন।

এর পর তিনি হাত বাড়িয়ে দেন ক্যালকুলাসে। তিনি ক্যালকুলাসের উন্নয়ন ঘটিয়ে এর আধুনিকায়ন করেন। ডিফারেন্সিয়েশন হচ্ছে ক্যালকুলাসের একটি অধ্যায়। ক্যালকুলাস নিয়ে কাজ করার সময় তিনি ডিফারেন্সিয়েশনের অবাক জগতে প্রবেশ করেন।

জ্যোতির্বিদ্যায় তাঁর অবদান উল্লেখযােগ্য এবং ব্যাপক। তিনি এ বিষয়ে একটি বই লিখে গেছেন। তিনি ভূগােলকে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে গেছেন নতুন ধারণা ও প্রজ্ঞার জগতে। তিনি টলেমি সূচিত অনেক ভৌগােলিক ধারণার সংশােধন করেন। ইউরােপীয়রা এতে বিস্মিত হয়। টলেমির মানচিত্র পর্যন্ত তিনি সংশোধন করেন।

তাঁর আরও কাজের মধ্যে ঘড়ি ও সূর্যঘড়ির ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান অন্তর্ভুক্ত। দ্বাদশ শতকের গােড়ার দিকে তাঁর অনেক বই-ই লাতিন ভাষায় অনুবাদ করা হয়। কিন্তু মানব জাতি তাঁর গণিত বিষয়ক আরবী বইগুলাে থেকে বঞ্চিত থাকে।

‘কিতাব আল-জামা ওয়াল তাফরিক-বিল-হিসাব-আল হিন্দ’ হচ্ছে তেমনি এক বই। লাতিন ভাষায় এই বইটি এখনও অস্তিত্বশীল আছে। তার বীজগণিত সম্পর্কিত বই আল-মাকালা ফি হিসাব-আল-জাবর-ওয়া-আল-মুকাবিলা” লাতিন ভাষায় অনুবাদ করা হয় দ্বাদশ শতকে। অনুবাদ কর্মের মধ্য দিয়ে এই নতুন বিজ্ঞান পশ্চিমা জগতে প্রবেশের সুযােগ পায়। এর আগে ইউরােপে বীজগণিত ছিল একটি অচেনা বিষয়।

ষোড়শ শতক পর্যন্ত তার অনেক বই ইউরােপীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। জ্ঞানের প্রতি তার আগ্রহই তাকে একজন পুরােপুরি বিজ্ঞানী তে পরিণত করে তুলেছিল। তার গবেষণা বিজ্ঞানীদের সমসাময়িক অনেক বাধা দূর করে। আজও তাঁর অবদান সমুজ্জ্বল।

তিনি ৮৪০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মারা যান।