ওয়েলকাম গাইস ট্রিকবিডিতে, গাইস গেজেট মানুষের কাজকে এসি বানানোর জন্য হয়ে থাকে আর বেশিরভাগ কোম্পানি গেজেট কে কম সাইজে রেখে বেস্ট পসেবল ফিচার প্রোভাইড করার জন্য ট্রাই করে থাকে মানে গেজেট ছোট হলেও তার ফিচার নেক্সট লেভেল হয়ে থাকে।
আজকের পোষ্টে দেখব ৬ টি ইউজফুল হাইটেক গেজেট যা আমাদের লাইফকে ইজি বানানো সঙ্গে সঙ্গে রি লাবেল বানিয়ে দিবে। তাই প্রত্যেকটি গেজেট মিস করতে না চাইলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়া ট্রাই করুন।
১. DJI Pocket 2
গাইস আজকের পোস্ট শুরু করব DJI Pocket 2 – নামের এই মিনি সাইজের স্মার্ট গ্যাজেট দিয়ে,
এটা এক স্ট্যাবিলাইজার ক্যামেরা হয়ে থাকে আর এটা কি সিঙ্গেল হ্যান্ড এ ভিডিও শুট করা যাবে তাও আবার প্রফেশনাল কোয়ালিটি তে, দেখা যায় এত ছোট স্টাবিলাইজ ক্যামেরা আপনি হয়তো এর আগে কখনো দেখেননি।
সাইজ অনেক ছোট হলেও কিন্তু ফিচারস এর মাঝে এটার দিকে কোন কমতি পাবেন না, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, টাইম জোন অ্যান্ড 4k ভিডিও 60Fps এ এমনি অসাম ফিচার এটাকে অন্যসব ক্যামেরা থেকে অনেক বেটার বানিয়ে থাকে।
পার্টিকুলারলি আমার ওপেনিয়ন স্মার্ট এই ক্যামেরা ব্লগিং এর জন্য একদম পারফেক্ট হয়ে থাকে, কারণ ব্লগিংয়ের সময় স্মার্টফোন বা বিগার ক্যামেরা হোল্ড করে রাখা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে থাকে কারণ ভিডিও শুট করার সময়।
ডিফারেন্ট ভাবে অ্যাক্টিভিটি করতে হয় বাট এটা এতটাই কম্প্যাক্ট হয়ে থাকে যে ইজিলি কম্ফর্ট এর সাথে ব্লগিং ভিডিও এন্ড ডিফারেন্ট টাইপ ভিডিও শুট করা যায়।
এটা থ্রিএক্স স্ট্যাবিলাইজ ক্যামেরা হেলথে সুট ও ফুটে যেকোনো রকম সেকিং ইফেক্ট দেখতে পারবেন না।
মানে ভিডিও একদম স্ট্যাবল হয়ে থাকে যদি আপনার অ্যাক্টিভিটি অনেক মুভমেন্ট হয়ে থাকে তারপরও ইজিলি ভিডিও ক্যাপচার করতে পারবেন।
অভার অল গাইজ আপনি যদি এক কম্প্যাক্ট এন্ড হাইটেক ক্যামেরা খুঁজে থাকেন তাহলে এই ক্যামেরাটি ট্রাই করতে পারেন। আর যদি বলেন এটার প্রাইস তাহলে আপনি ২৭ হাজার টাকার মাঝে পারচেজ করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি এত কিছু ঝামেলা করতে না চান তাহলে ব্যবহার করতে পারেন এই গ্যাজেটি।
এই গ্যাজেটে এক পকেট সাইজের স্ক্যানার হয়ে থাকে আর এটার হেলথে পেপারে লিখে নোট কে ইন্সট্যান্টলি স্ক্যান করে ডিজিটাল কপি ক্রিয়েট করতে পারেন।
তাও আবার যে কোন ফরমেটে এবং ইন্সট্যান্টলি শেয়ার করতে পারবেন যে কোন পারসন এর সাথে। এছাড়াও এই স্মার্ট গ্যাজেট এর আরেকটি বিশেষ ফিচার হলো এটার হেলপে কোন টেক্সট নয় ড্রইং রাকেশকে সেন্ড করে ডিজিটাল কপি রেডি করতে পারবেন।
স্মার্ট এই গ্যাজেটে হেল্প এ ক্রিয়েট করা কপি দেখতে একদমই অরিজিনাল হার্ডকপির মত হয়ে থাকে। যদি আপনি একটা স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে নোটকে ইন্সট্যান্টলি আপনার ফ্রেন্ডের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।
এছাড়াও যদি আপনি অফিস ওয়ার্ক করে থাকেন এন্ড পেপার ওয়ার্ক অনেক বেশি ইনভার্ট হয়ে থাকে তাহলে এই গেজেট অনেক কাজে আসবে আর সাইজে কমপ্যাক্ট হাওয়াই আপনি এটা কে আপনার পকেট এ ইজিলি ক্যারি করতে পারবেন। আর এটার প্রাইজ এর কথা আসলে মাত্র ১৯,০০০ টাকার মাঝেই কিনতে পারবেন।
৩. Himo
চলুন দেখে নেয়া যাক এক নেক্সট লেভেল কমপ্লেক্স সাইজের ইউনিক বাইক,
এটা এতটাই কম্প্যাক্ট হয়ে থাকে যেআপনি এটাকে ব্যাগে রেখে যে কোন জায়গায় ক্যারি করতে পারবেন, হিমু নামের এই ইলেকট্রিক বাইক ultra-portable বাইক হয়ে থাকে যা এক বা ২-৯ নয় মাল্টিপল পয়েন্ট থেকে ফোল্ড হয়ে থাকে।
এর ফলে এর সাইজ এতটাই কম হয়ে যায় যে এটাকে আপনার নর্মাল ব্যাগে স্টোর করে আপনার সঙ্গে ক্যারি করতে পারবেন, আর যখনই রাইট করার প্রয়োজন পড়বে সিম্পল এটা কে আন ফোল্ড করে রাইট করতে পারবেন।
এটা কে আপনার ব্যাগে ক্যারি করা ছাড়াও আপনার হাতের হেলপে ক্যারি করতে পারবেন, স্মার্ট এই বাইকে এক ডিজিটাল প্যানেল দেয়া হয়েছে এটার মাঝে স্পিড এন্ড ডিফারেন্ট টাইপের ইনফরমেশন দেখতে পাবেন।
এছাড়াও এটার মাঝে আগের দিকে এবং পিছনের দিকে এলইডি লাইট দেওয়া হয়েছে যা অন করলে রাতে আপনার রাইট কে আরো মনমুগ্ধকর করে তুলবে।
আর এটা টপ ইস্পিড এইটিন পার আওয়ার আর ব্যাটারি রিলেটেড বিভিন্ন ইনফর্মেশন ডিজিটাল প্যানেলে দেখতে পারবেন, এটাকে শুধুমাত্র চার্জ করে চলে যেতে পারেন রাইডে।
যদি বলা হয় বাইকটির প্রাইজের কথা তাহলে মাত্র ৪২ হাজার টাকার মাঝে এটি আপনি কিনতে পারবেন।
৪. Pro drone flying Robot
বন্ধুরা আপনারা তো অনেক ধরনের ড্রন দেখে থাকবেন কিন্তু যদি বলি আপনি এ পর্যন্ত যত সব ড্রন দেখে থাকবেন তাদের থেকে মোস্ট পাওয়ারফুল যদি এটাকে বলা হয় তাহলে খারাপ হবে না।
এটার মাঝে সিক্স পাওয়ার ফুল propeller অ্যান্ড স্ট্রং আর্স এর সাথে এর ফ্লায়িং ড্রন অনেক আমেজিং পাওয়ার সাথে আসে আর হাইলাইটেড ফিচার হয়ে থাকে, এটার ডুয়ার্স যা এই ড্রোনের সাসপেন্ডেড হয়ে থাকে আমসের হেলপ এ আপনি যেকোন ছোট জিনিস থেকে মিডিয়াম জিনিস পর্যন্ত এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় ক্যারি করতে পারবেন।
আর এই ড্রোনটি মূলত এমন পারপাস এর জন্য ইউজ করা হয়, আর এই ড্রোনকে আপনি ৩০ মিনিট পর্যন্ত ওড়াতে পারবেন।
আর এটাতে আপনি এমন রিমোট এরিয়াতে পাঠাতে পারবেন যেখানে আপনি নিজে যেতে পারবেন না বা যাওয়া নিষেধ হয়ে থাকে। ওভারেল এই ড্রোনটি এক রোবটিক টেকনোলজি এক হাইটেক নমুনা হয়ে থাকে।
আর এই ড্রোনটি কেনা যাবে মাত্র ১৭,০০০ হাজার টাকা খরচ করেই।
সো গাইজ এই ছিল আজকের পোস্ট এই গেজেট গুলোর মধ্যে থেকে কোন গেজেটটি আপনার সবথেকে ভালো লেগেছে তা কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিতে পারেন।
This post is sponsored by IN Gaming YouTube channel,এই ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন গেম প্লে ভিডিও পাওয়া যাবে তাই দেরি না করে এই লিংকে ক্লিক করে এখনই সাবস্ক্রাইব করে ফেলুন।
আজকের মত এ পর্যন্তই দেখা হচ্ছে পরবর্তী পোস্টে ভালো থাকুন ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ হাফেজ।