হোয়াটসঅ্যাপ গাইস কি অবস্থা সবার জানি ভালো আছেন কারণ ভালো থাকার আরেক নাম অনামিকা ???
অনেক সময় ছবি তোলার পর আমরা দেখি যে ছবিটি ঘোলা ওঠে বা আসতেছে এর কারণ কি?
আবার মোবাইল বা ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করার পর যখন আমার গ্যালারিতে যেয়ে ভিডিওটি প্লে ব্যাক করতেছি তখন দেখা যাচ্ছে যে ভিডিওটি অনেক সময় নিয়ে প্লে করতেছে অর্থাৎ ল্যাগিং করতেছে এর কারণ কি এর মানে কী আপনার মোবাইলে ডিএসএলআর ক্যামেরা টা খারাপ বা নষ্ট? না না না।
মোবাইল ডিএসএলআর ক্যামেরা সবই ঠিক আছে সমস্যা হচ্ছে আপনি যে মেমোরি কার্ড ইউজ করছেন আই মিন এক্সটার্নাল মেমোরি কার্ড সেই মেমোরি কার্ডের স্পিড অনেক কম। দ্যাটস ওয়াই আপনার মোবাইল বা ক্যামেরাতে লেগিং ইস্যু টা দেখা যাচ্ছে।
এ কারণে আজকে আমি বলব মেমোরি কার্ড কিভাবে কিনবেন কোনটা কিনবেন কত স্পিড হওয়ার দরকার কোন মেমোরি কার্ডটা ভালো ,কোন মেমোরি কার্ড টা ভালো না আপনার কি দামি মেমোরি কার্ড নেয়ায় দরকার নাকি সস্তা টা নিলেও চলবে।
তো এই সব ধরনের সন্দেহ এবং কনফিউশন আমি আজকের এই পোস্ট এ ক্লিয়ার করে দিব।
তাই আপনারা অবশ্যই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আপনি কোন মেমোরি কার্ড কিনবেন অর্থাৎ আপনি মোবাইল বা ক্যামেরার জন্য কোন মোবাইল কার্ডটি কেনা উচিত হবে সেই বিষয়ে কথা বলার আগে মেমোরি কার্ডের বিষয়ে কিছু বেসিক ইনফরমেশন নিয়ে এখন আলোচনা করবো।
সেটা হল মেমোরি কার্ড গুলা মূলত আমরা এইচডি কার্ড হিসেবেই চীনে থাকি , আর এইচডি কার্ড এর ফুল ফর্ম হলো সিকিউর ডিজিটাল।
আর এইচডি কার্ড এর টোটাল টাইপ হল ৫টি। আর এই পাঁচটি টাইপ হল।
১। এইচডি এস সি কার্ড কার্ড এর মানে হলো- সিকিউর ডিজিটাল স্ট্যান্ডার ক্যাপাসিটি কার্ড।
২। এইচডি এইচ সি কার্ড এর মানে হলো- সিকিউর ডিজিটাল হাই ক্যাপাচিটি কার্ড।
৩। এইচডি এক্স সি কার্ড এর মানে হলো- সিকিউর ডিজিটাল এক্সটার্নাল ক্যাপাসিটি কার্ড
৪। এইচডি ইউসি কার্ড এর মানে হলো- ডিজিটাল আল্ট্রা ক্যাপাসিটি কার্ড।
৫। এইচডি আইও কার্ড এর মানে হলো- সিকিউর ডিজিটাল input-output কার্ড।
৫ নাম্বার কার্ডটি মার্কেটে নতুন এসেছে এবং সেটা সবার জন্য এখনও উন্মুক্ত হয়নি। তাই পাঁচ নাম্বার
কার্ড টা নিয়ে এই পোস্টে তেমন কোন আলোচনা করব না।
এবার আসি কার্ডগুলোর ক্যাপাসিটি নিয়ে কোন কার্ডের ক্যাপাসিটি কেমন।
এইচডি এস সি কার্ডের ক্যাপাসিটি হলো আপ টু ২ গিগাবাইট পর্যন্ত। এইচডি এসি কার্ডের ক্যাপাসিটি হল ২ জিবি থেকে ৩২ জিবি পর্যন্ত।
এরপর এইচডি এক্স সি কার্ডের ক্যাপাসিটি হল ৩২ জিবি থেকে ২টেরাবাইট পর্যন্ত।
আর এইচডি ইউসি কার্ডের ক্যাপাসিটি হল ২ টেরাবাইট থেকে ২৮ টেরাবাইট পর্যন্ত।
এরপর চলে আসি হল স্পিড যেটা সবচাইতে বেশি ইম্পর্টেন্ট,
আপনি যে টাইপের কার্ড নেন না কেন স্পিড সবচাইতে ইম্পর্টেন্ট আপনার ওই কার্ডের জন্য।
আপনি ৩২ জিবি নেন বা ৬৪ জিবি নেন স্পিড এর উপর সবকিছু অর্থাৎ আপনার যদি স্পিড প্রপার হয় তাহলে আপনি সবকিছু প্রপারলি করতে পারবেন।
চলুন এবার তাহলে আমরা স্পিডের ভেরিয়েশন টা দেখে নি যে কি কি ধরনের স্পিড রয়েছে।
অলওয়েজ খেয়াল করবেন মেমোরি কার্ডের মধ্যে একটা বড় *সি* রয়েছে। এরমধ্যে ডিজিট থাকে যেমন সি ২ – সি ৪- সি১০- ইত্যাদি
তো এখানে এই *সি* হলো স্পিড ক্লাস আর এর ভিতরে ডিজিট দিয়ে বোঝানো হচ্ছে যে মেমোরি কার্ড টি কোন স্পিড ক্লাসের যেমন – সি২ মানে হল স্পিড ক্লাস ২ আবার সি৪ মানে হলো স্পিড ক্লাস ৪
তার মানে বোঝা যাচ্ছে এখানে সিটু অর্থাৎ ক্লাস ২ এর মেমোরি কার্ডের স্পিড হচ্ছে সর্বোচ্চ ২ এমবিপিএস।
সি ৪ বা ক্লাস ৪ এর স্পিড হল ৪ এমবিপিএস সি৬ এর হলো ৬ এমবিপিএস এবং সি১০ এর হল ১০ এমবিপিএস।
২০১৫ সাল পর্যন্ত সি ২ – সি ৪- সি১০- ইত্যাদি এই কার্ড গুলি মার্কেটে যথেষ্ট প্রপোলার ছিল এবং ২০১৫ সালের পর C এর পাশাপাশি একটা বড় U দেখা যাচ্ছে মেমোরি কার্ডে এবং সেটি হল ইউএসএস সিরিজের এইচডি কার্ড অর্থাৎ আল্ট্রা হাই স্পিড ক্লাসের মেমোরি কার্ড।
এই মেমোরি কার্ডের স্পিড রেঞ্জ হলো U1 -U2 -U3
U1 এ হল ১০ এমবিপিএস স্পিড U2 তে হল ২০ এমবিপিএস স্পিড এবং U3 তে হল ৩০ এমবিপিএস স্পিড।
ইউ এর পাশাপাশি আরও একটি ক্লাসে রয়েছে সেটি হল ভি এস সি ক্লাস অর্থাৎ ভিডিও স্পিড ক্লাস এটাতে টোটাল পাঁচটি ক্লাস রয়েছে সেগুলি হল- V6- V10 – V30- V60 – V90
তো ভি সিক্স মানে হল ৬ এমবিপিএস V10- ১০ এমবিপিএস V30- 30mbps V60- 60 mbps- V90- 90 mbps
একটা ইম্পোর্টেন্ট জিনিস আমি একটু বলি মানে এখানে যে স্পিডের কথাগুলো আমি বলছি অর্থাৎ ধরেন সি ৪ এর ক্ষেত্রে ৪ এমবিপিএস ইউ ১ এর ১০ এমবিপিএস এর মানে হলো এই এইচডি কার্ড গুলি সি৪ এর ক্ষেত্রে মিনিমাম ৪ এমবিপিএস সে রাইট স্পিড দিবে আবার ইউ ওয়ান এর ক্ষেত্রে সে মিনিমাম রাইট স্পিড দেবে ১০ এমবিপিএস।
বাট এর থেকেও বেশি স্পিড তারা দিতে পারবে এবং এর জন্য আপনার এডভাইস মেন্টে খেয়াল করবেন যে তারা প্রায়ই বলে থাকেন আপ টু নাইনটি এমবিপিএস স্পিড আপ টু 100mbps স্পিড দিবে।
তার মানে হল এই এইচডি কার্ড গুলো হতে পারে U1-C10 অর্থাৎ ১০ এমবিপিএস স্পিডের কার্ড কিন্তু তাদের ক্যাপাসিটি আছে ৯৫ বা ১০০ পর্যন্ত স্পিড প্রোভাইড করার।
আপনার মোবাইলে থাকা মেমোরি কার্ডের স্পিড টেস্ট করার জন্য আপনি গুগল প্লে স্টোরে sD card taster নামে একটি সফটওয়্যার রয়েছে সেই সফটওয়ারটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে ফেলুন আপনার মোবাইলে এবং এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি আপনার মোবাইলের মেমোরি কার্ড + আপনার মোবাইলে যে স্টোরেজঃ রয়েছে সেটার স্পিড ও আপনি চাইলে বের করতে পারবেন।
তো এবার আসি কোন ডিভাইসে কোন মেমোরি কার্ড সাপোর্ট করবে,
যদি মেমরি কার্ডের উপরে শুধুমাত্র সি লেখা থাকে তার মানে এই মেমোরি কার্ড টি শুধুমাত্র কনভেনশনাল ডিভাইসে কাজ করবে অর্থাৎ নরমাল মোবাইলে কাজ করবে।
আবার মেমোরি কার্ডের উপরে যদি C পাশে U থাকে তাহলে বা তার মানে হল যে সব ডিভাইসে আল্ট্রা হাই স্পিড এর প্রয়োজন সেই ডিভাইসগুলোতেই এই মেমোরি কার্ড সাপোর্ট করবে।
তো এখন প্রশ্ন হলো আপনি কোন মেমোরি কার্ড কিনবেন?
আপনি যদি C4-& C6 এর মেমোরি কার্ড কিনতে চান ৬৪ জিবি তাহলে সেটা সর্বোচ্চ প্রাইস হবে ৪০০-৫০০ টাকা।
আবার এই সেম ৬৪ জিবি মেমোরি যদি আপনি U1 বা U3 এর নিতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে ২,০০০ থেকে ২,৫০০ টাকা। তো এখন আপনাকে ফাইন্ড আউট করতে হবে যে আসলে আপনার কোনটা প্রয়োজন।
দেখা গেলো আপনি শুধুমাত্র ছবি তুলবেন সে ক্ষেত্রে আপনি মোটামুটি C6 নিলেই কিন্তু হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আপনি যদি C4 বা C6 নিয়ে মোটামুটি অনেক হাই মেগা পিক্সেলের ছবি তুলেন বা ভিডিও রেকর্ড করতে যান তাহলে কিন্তু ওই ছবিগুলা আসবে একদম শিওর।
কারণ ওই ছবি তোলার পর যে ছবির প্রসেস করার জন্য যে স্পিড টা প্রয়োজন সেটা কিন্তু তখন ওই মেমোরি কার্ড প্রোভাইড করতে পারবে না,
তারমানে আপনি যদি লোরেঞ্জো মেমোরি কার্ড নিয়ে নেন অর্থাৎ সি২ বা সি৪ নিয়ে নিলেন আপনি ৬৪ জিবি নেন আর ১২৮ গিগাবাইট নেন এটা কোন বিষয় না বিষয় হলো আপনি যদি c2 অথবা সি৪ নিয়ে নেন তখন কিন্তু আপনি বিপদে পড়ে যাবেন আপনার ওই ছবিগুলো ঘোলা আসবে নিশ্চিত।
শুধু তাই নয় আপনি যদি ভিডিও রেকর্ড করেন সেই ভিডিওটি প্লে করতে ও অনেক সময় লাগবে, মানে ব্যাপারটা এমন হবে আপনার মনে হবে আপনি ডাউনলোড করে ভিডিওটি দেখছেন।
আপনি যদি মোটামুটি ভালো মানের ছবি তুলতে চান এবং ভালো মানের ভিডিও করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে C10 এর মেমরি কার্ডটা নিতে হবে।
এখন মনে করেন আপনি আপনার ক্যামেরা দিয়ে সিনেমাটিক ভিডিও শুট করবেন সে ক্ষেত্রে আপনি কিনবেন হলো U1 এর মেমোরি কার্ড।
আবার আপনি যদি মনে করেন 4k ভিডিও শুট করবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে মিনিমাম U3 মেমোরি কার্ড টা কিনতে হবে।
আর আপনি যদি মনে করেন না আমি 8k তে ভিডিও শুট করবো সে ক্ষেত্রে আপনাকে কিন্তু ভিএসসি আই মিন V90- কে নিতে হবে।
যেমন আমি আমার ফোনের জন্য ব্যবহার করছি সেটি হল সানডিক্স এর ১২৮ জিবি V90- মেমোরি কার্ড এটার বর্তমান মার্কেট প্রাইস হলো প্রায় ১৭ হাজার টাকা কিন্তু আমি যদি সানডিক্স এর ১২৮ জিবি U2 মেমোরি কার্ডটি কিনতাম তাহলে সেটার খরচ হত মাত্র ৩৭ ডলার অর্থাৎ ৩,০০০ টাকা।
যেহেতু আমি হাই রেজুলেশনের ভিডিও রেকর্ড প্লাস ফটোশুট করি তাই আমি ওটার হিসাবে মেজারমেন্ট করেই কিন্তু আমি মেমোরি কার্ডটি কিনেছি কারণ আপনি কিন্তু বারবার এই মেমোরি কার্ড কিনতে চাইবেন না।
আপনি যদি একটি কোয়ালিটি মেমোরি না কিনেন তাহলে কোয়ালিটি ভিডিও কিংবা ফটো শুট করতে পারবেন না।
কোন ব্র্যান্ডগুলোর মেমোরি কার্ড কিনবেন বা কেনা উচিত হবে আপনার জন্য!
বাংলাদেশ মার্কেটে বর্তমানে যে অবস্থা সেই হিসাবে স্যানডিস্ক মেমোরি কার্ড টাই নেওয়া মনে হয় সবথেকে বেটার হবে! যদি আরো অনেক ভালমানের মেমোরি কার্ড রয়েছে যেমন সনি লেকচার মেমোরি কার্ড।
কিন্তু ওই মেমোরি কার্ড গুলো অরিজিনালটা বাংলাদেশ এ সেভাবে পাওয়া যায় না। তাই অবশ্যই সানডিক্স মেমোরি কার্ড নেওয়াটাই সবথেকে বুদ্ধিমান হবে।
তো এখন বলি যারা মোবাইলের ইউজার রয়েছেন তারা মিনিমাম অবশ্যই C10 এর মেমোরি কার্ড টা নিবেন আর যারা ক্যামেরা ইউজার রয়েছেন তারা মিনিমাম U1 সিরিজের মেমোরি কার্ড টা নিবেন।
এতে করে যেটা হবে আপনারা যদি লো গ্রেট এর মেমোরি কার্ড নিয়ে ভিডিও শুট করেন এবং সেই ভিডিও আপনি যখন পরবর্তীতে এডিট করতে যান আপনার যথেষ্ট কষ্ট হবে কারণ লো গ্রেডে মেমোরি কার্ডে আই মিন low-speed এর মেমোরি কার্ডে অনেক ফ্রেম মিস হয় ভিডিও শুট এর ক্ষেত্রে।
তো আজকে আর আমি কথা বাড়াতে চাচ্ছি না লিখতে লিখতে হাত ব্যথা হয়ে গেছে ? যদিও একটু শর্ট টাইম এর মধ্যে চেষ্টা করেছি লেখার চাইলে সারা দিনেও লিখে শেষ করতে পারতাম না এ বিষয়ে।
আশা করছি এত টুকুতেই আপনাদের একটা ভালো আইডিয়া দিতে পেরেছি, তারপরও স্টিল আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে অবশ্যই আমার পোষ্টের নিচে কমেন্ট সেকশনে জানাবেন।
আরেকটি ব্যাপার হলো ছেলেদের উদ্দেশ্যে একটা কথা বলতে চাই , যে মানুষটা দিনের বেলায় আপনার কোন খবর রাখেন না,
সেই মানুষটি রাতের বেলায় এসে খবর নিয়ে উল্টায় ফেলবে না। রাত জেগে চেহারা খারাপ না করে ঘুমাতে যান।
Realme C2s বাংলা আনবক্সিং রিভিউ মাত্র ৪,০০০ টাকায়??
This post is sponsored by IN Gaming,
এরা মূলত গেম প্লের পাশাপাশি বিভিন্ন মোবাইলের রিভিউ দিয়ে থাকেন তাই এখনি সাবস্ক্রাইব করুন এদের ইউটিউব চ্যানেল।
ভালো থাকুন ফিউচার এ আবার দেখা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকুন আল্লাহ হাফেজ।