রহস্য-রোমাঞ্চ প্রেমী বাঙ্গালীদের আইকনিক চরিত্র ফেলুদা কেমন হলো সৃজিতের পরিচালনায় এবারের ফেলুদা হাজির হয়েছি স্পয়লার ফ্রী রিভিউ নিয়ে এবং আপনারা দেখছেন trickbd.com এ
আপনি যখন একটি গল্প বা উপন্যাস পড়বেন, তখন সেই গল্প বা উপন্যাসের চরিত্র আর দৃশ্যপট আপনি আপনার মাইন্ডে ইমাজিন করতে পারবেন।
এদিক থেকে ফেলুদা ফেরত প্রথম সৃজন কে আপনি বলতে পারেন ছিন্নমস্তার অভিশাপ গল্পের ডিরেক্টরস ইমাজিনেশন।
অর্থাৎ ছিন্নমস্তার অভিশাপ গল্পটি পড়ার সময় শ্রীজিৎ মুখার্জী যেভাবে সবকিছুকে ইমাজিন করেছেন ।
অনেকটা তেমনভাবেই ওয়েব সিরিজ টা কে তুলে ধরা হয়েছে পুরোপুরি স্টরি একুয়াল খুব লেস পরিমাণে চেঞ্জ রয়েছে তা নিয়ে না বলাই ভালো।
এখন এটাকে কি পজেটিভ পয়েন্ট বলবেন নাকি নেগেটিভ পয়েন্ট বলবেন সেটা আপনার ব্যাপার! ফেলুদা নিয়ে বাঙালিরা সেনসিটিভ শুধু সেনসিটিভ না প্রচন্ড পরিমানে সেনসিটিভ তাই ফেলুদা নিয়ে কাজ করাটা রিকশের একটি বিষয়।
একটু এদিক-ওদিক হলেই ডিরেক্টরের উপর দিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়!
যাই হোক শ্রীজিৎ মুখার্জী ফাস্ট সিজেন এ অনন্ত সেই রিক্সাটা নেননি এখানে অনেকে বলতে পারেন ডিরেক্টরকে তাকে ক্রিয়েটিভ স্পেস দেওয়া উচিত ছিল।
সে ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্ট আর ডায়লগ রাইটিং এর কিছু অংশের সৃজিত একটা বিষয় ছিল ফেলুদা নিয়ে কাজ করলে কাস্টিং এর প্রতি সবার আলাদা নজর থাকে তো আমরা এবার নতুন ফেলুদা হিসেবে টোটা রায়চৌধুরী কে পেলাম।
কম্পারিজন এ যাব না তাহলে বিশাল কন্ট্রোভার্সি তৈরি হতে পারে!
সত্যি বলতে ফেলুদা হিসেবে টোটা রায়চৌধুরী ভালো করেছেন আপনি কিছুটা সৌমিত্র চ্যাটার্জির ফেলুদার ভাইবো ও পেতে পারেন আবার বলছি এটা কোন কম্পারিজন না।
জাস্ট ক্যারেক্টারের অবজারভেশনে ফিল্টার শেয়ার করা আরেকটা বিষয় যেটা আমার পার্সোনালি মনে হয়েছে তাহলো টোটা রায়চৌধুরী কিছু জায়গায় তার স্বাভাবিক আওয়াজ এর তুলনায় গারো করে ডায়লগ ডেলিভারি করেছেন।
যেখানে আবার সব্যসাচী চক্রবর্তীর অল্প একটু ভাইবো পাওয়া যায় তবু সে কি আমরা বেশিরভাগ সিনেমায় যেমন দেখি এই সিরিজে অনেকটা তেমনভাবেই দেখানো হয়েছে।
আর রইল আমাদের জটায়ু দেখুন সন্তোষ দত্ত একজন ছিলেন।
আর কেউ উনার মত হতে পারবে না তাই জটায়ু চরিত্র নিয়ে কোন প্রকার কম্পারিজন ইম্পসিবেল যেখানে সত্যজিৎ রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ মারা যাওয়ার পর আর ফেলুদা করেনি তাই এই ক্যারেক্টার ইম্পর্টেন্সি যে অনেক বেশি তা নিশ্চয়ই বলতে হবে না।
তবে সব কিছুকে সাইডে রাখলে অনির্বাণ চক্রবর্তী এস জটায়ুর যথেষ্ট ভালো করেছে।
বিশেষ করে তার কমিক টাইমিং এর পরিচয় যা আমরা এর আগেও পেয়েছি তার কিছুটা ঝলক এখানে দেখতে পাবেন।
বাকিদের ক্যারেক্টার নিয়ে আলোচনা করব না তাহলে স্পয়লার এর চান্স রয়েছে।
সিরিজের টাইমলাইন ও একুরেট বই থেকে নেয়া হয়েছে এবং সেটার লুক এন্ড ফিল টাও ঠিকঠাক ছিল ছয় এপিসোডের সিরিজটির লেন্স ছিল প্রায় আড়াই ঘন্টা।
মিউজিক নিয়ে বলতে গেলে ফেলুদার সেই এপিথি মিউজিক যা আপনাকে নস্টালজিক করে দিতে যথেষ্ট।
তবে সেটা আবার অনেকের নাও লাগতে পারে তো যাই হোক আবার সেই সৃতি ঘেরা দিনে ফিরে যেতে চাইলে আর নিজেদের নস্টালজিয়া কে শ্রীজিৎ মুখার্জীর ইমাজিনেশনে তাজা করতে চাইলে এখনই দেখে ফেলুন ফেরত ফাস্ট সিজন ছিন্নমস্তার অভিশাপ।
শেষ করছি আমাদের আজকের পোস্ট, পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক করুন শেয়ার করুন কমেন্ট করে আপনার মূল্যবান মতামত জানান।
ফিরে আসছি পরবর্তী পোস্ট এ ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।