এক হাজার টাকায় একদিনে ঘুরে আসুন নীলাভ সবুজ পানির চীনামাটির বিরিশিরিতে।
বিরিশিরির নাম শুনলেই অনেকেই খারাপ রাস্তার কথা মনে করেন!তাদের জন্য বলছি, ময়মনসিংহ থেকে বিরিশিরি পর্যন্ত এখন পুরো রোডের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে! খানা খন্দের ঝক্কি নাই। এদিনের টূর যারা খুজছেন তাদের জন্য এই শীতে পারফেক্ট হবে। শীতকাল ছাড়া গেলে হয়তো পানির কালার এরকম পাবেন না। এই পানি দেখতে হলে শীতেই যেতে হবে আপনাকে।
আর একদিনে চীনামাটির পাহাড়ের সাথে দেখা হয়ে যাবে, কমলা বাগান, রাণীখং চার্চ, বিজয়পুর বিজিবি ক্যাম্প, জিরো পয়েন্ট, সোমেশ্বরী নদী, হাজং মাতার স্মৃতিশৌধ সাথে নেত্রকোনার বিখ্যাত বালিশ মিষ্টি।
যাওয়ার উপায়ঃ
আমরা ৪জন প্রথমে ঢাকা থেকে ভোর ৬টায় মহাখালী বাস স্ট্যান্ড থেকে সৌখিন দিয়ে চলে আসি ময়মনসিংহ শহরের মাসকান্দা বাস স্ট্যান্ড,ভাড়া নেয় ১৫০টাকা।সেখান থেকে ১০ টাকা রিক্সাযোগে আসি শম্ভুগন্জ ব্রীজ, আর তখন ঘড়িতে বাজে সকাল ৯টা। এরপর ব্রীজ পাড় থেকে বিরিশিরির সিএনজি তে উঠি। বাসে যাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে লেট হবে অনেক। তাই ১৬০ টাকা প্রতিজন করে সিএনজিতে উঠি । ৯.৩০ রওনা দিয়ে ১১ টায় গিয়ে সোমেশ্বরী নদীর ঘাটে গিয়ে পৌছায়। তারপর ঘাটে ৫ টাকা দিয়ে পার হয়ে সিএনজি রিজার্ভ করি। সিএনজি রিজার্ভ ৪০০ টাকায় সবগুলো স্পষ্ট ঘুরিয়ে দেখায় আমাদের, প্রত্যেকের ভাগে ১০০ টাকা পড়লো। তারপর সিএনজি আমাদের বিজয়পুর বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে গেলো, সেখানে নৌকায় জনপ্রতি ৫০টাকা দিয়ে জিরো পয়েন্ট ঘুরিয়ে নিয়ে আসে। সেখানে আমরা আধাঘন্টা থাকি। এরপর চলে যাই কমলা বাগানে, সেখানে থেকে পড়ে চলে আসি রানীখং চার্চে। এটা দেখার পর চলে আসি হাজং মাতার স্মৃতিশৌধে। এখানে হালকা ফটোশেষন শেষে চলে আসি প্রতীক্ষিত চীনামাটির পাহাড়ে। এখান আসার পর সারাদিনের জার্নির ক্লান্তি দূর হয়ে গেলো। অসম্ভব সুন্দর এর পানি এবং ছোট টিলা গুলো। তারপর আমাদের সিএনজি ঘাট পরে নিয়ে আসে। তখন ঘড়িতে ২ টা বাজে।
এরপর আমরা অটোতে করে দূর্গাপুর বাজারে চলে আসি, এখানে জনপ্রতি ১৪০ টাকা করে দুপুরে খাবার খাই। এরপর ১৬০ টাকা জনপ্রতি সিএনজি করে ময়মনসিংহ চলে আসি। ওখান থেকে সরাসরি ১৫০টাকায় সৌখিনে করে সন্ধা ৭টায় ঢাকা ফিরে আসি।