Site icon Trickbd.com

ফেসবুক যেভাবে আমাদের মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রন করছে তা জানতে দেখে ফেলুন Social Dilemma + ডাউনলোড লিংক

Unnamed

 

এই মুভিটি যেহেতু সত্য ঘটনার উপর নির্মাণ করে তৈরি করা হয়েছে তাই চলুন কয়েকটা ঘটনা দিয়ে শুরু করা যাক।

 

আমরা সকলেই জানি বছরের শুরুতে 6 জানুয়ারি আমেরিকার কংগ্রেস ভবনের হঠাৎ করেই নজিরবিহীন হবে হামলা করে বসে ট্রাম্প সমর্থকরা।

 

তাদের প্রথম চাওয়া ছিল নির্বাচন বাতিল করতে হবে কারণ নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে এবং বাইডেন নাকি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নয়, তাই তাদের দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পুনরায় প্রেসিডেন্ট করতে হবে।

 

এতটুকু আমরা কমবেশি সকলেই জানি এখন যেটা আপনি জানেন না সেই বিষয়ে আলোচনা করি।

 

ট্রাম্পের সমর্থকদের অধিকাংশ অংশ এই কথা বিশ্বাস করে যে জো বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টি এক ধরনের শয়তান পূজারী সংস্থার সাথে জড়িত এবং তারা শিশু পাচারের সাথে যুক্ত।

 

তবে তাদের বিরুদ্ধে নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সামরিক বাহিনী সর্বদা লড়াই করেছেন এমনটাই দাবি ট্রাম্প সমর্থকদের।

 

এখন প্রশ্ন হতে পারে এই ঘটনা ছড়ালো কিভাবে? আপনার মাথায় যেটা কাজ করছে আসলে সেটাই উত্তর।

 

এই তথ্য যার মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে গেছে তার নাম ফেসবুক। বিবিসির এক গবেষণায় দেখা গেছে এই ঘটনা নিয়ে প্রায় 10 কোটিরও বেশি শেয়ার এবং লাইক হয়েছে।

 

ফেসবুকের সর্বোচ্চ লাইক কমেন্ট ও শেয়ারের সংখ্যাঃ চারকোটি এর কাছাকাছি।

আমরা যে ফেসবুকে এত সময় অপচয় করছি এটা আমরা কিসের জন্য করছি একবারও কি ভেবে দেখেছি!

 

ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ভিন্ন ভিন্ন কারণে ফেসবুক ব্যবহার করে আসছে।

 

তবে আমরা সকলেই এটা মানতে বাধ্য যে ফেসবুকে কোন সময় কাজের জন্য আসলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা অতিরিক্ত সময় কাটানোর জন্য ফেসবুক চালাই।

 

কিন্তু কেন আমরা এমন কি করছি কখনো ভেবে দেখেছেন?

 

5 মিনিট পড়াশোনা করি আর না করি একটু পরেই ফেসবুকে চলে যাই কি নোটিফিকেশনে আসলো, কে ট্যাগ মারলো, কোন পোস্টে কয়টা লাইক পরলো আরো কত কি।

 

আপনি জানেন কি আপনার প্রতিটা লাইক প্রতিটা কমেন্ট এমনকি আপনি কোন পোস্টের দিকে কতক্ষণ থাকে আছেন এসব কিছুই রেকর্ড হচ্ছে ফেসবুকে! আপনি হঠাৎ যদি ফেসবুকে দুই দিন না আসেন, কেন আপনি সেই দুই দিন আসলেন না সেটা নিয়েও হচ্ছে গবেষণা!

আর আপনার মস্তিষ্কের গবেষণা নিয়ে ফেসবুকের নিউজ ফিডে এমন কিছু হাজির করবে যার ফলে একবার ফেসবুকে ঢুকলে আপনি সহজে বের হতে চাইবেন না।

 

আপনার ফ্রেন্ড প্রোফাইল পিকচার চেঞ্জ করেছে, নতুন কোনো কিছু শেয়ার করেছে সেটার নোটিফিকেশন আপনার কাছে চলে আসছে যাতে আপনি ওইগুলো দেখে ফেসবুকে সময় কাটাতে পারেন।

 

আপনার পোস্টে টাইপিং লেখা দেখাচ্ছে এর কারন ফেসবুক আপনার সময় বাঁচিয়ে দিচ্ছে না, আপনি যাতে ফেসবুকে সময় কাটান এর জন্য এমনটা করা হচ্ছে।

 

এভাবে আপনি আপনার নিজের মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণ করছেন না, নিয়ন্ত্রণ করছে একজন ইঞ্জিনিয়ার। আপনি দৈন্দ দিনে কি কাজ করছেন, কোন মতোবাদে বিশ্বাস করেন আপনার মানসিক অবস্থা – সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এই তৃতীয় পক্ষের দ্বারা! আর এটাই সত্য!!!

 

উপরোক্ত যে কথাগুলো আমি ছোট করে বললাম সেটার বিস্তারিত জানতে পারবেন নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া নতুন ডকুমেন্টারি/মুভি The Social Dilemma তে।

 

মুভিটা দেখতে দেখতে যতো এগুতে থাকবেন আপনার মনে ততো ভয় সৃষ্টি হতে থাকবে।

 

তারা আমাদের দৈনন্দিন তথ্য প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে এবং নিজেদের ইচ্ছামতো যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করে যাচ্ছে।

 

অনলাইনের এই বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া একেবারেই সহজ ব্যাপার নয়। তবে আমরা যদি নিজেকে একটু হলেও ফেসবুক থেকে বিরত রাখতে পারে তবে হয়তো এই বেড়াজাল থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে পারবো।

 

সকলের জন্য হাইলি রিকমেন্ডেড করব আমি এই মুভিটা। ফেসবুকে তো অনেক সময় অপচয় করেছেন জীবনের আর একঘন্টা সময় অপচয় করে মূল্যবান এই ডুকুমেন্টারী দেখে নিতে পারেন।

 

হিন্দি অথবা ইংলিশ ডুয়েল অডিও ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন:

 

Click Here

 

Screenshot: