Site icon Trickbd.com

টাইটানিক সম্পর্কে অজানা ও অবাক করা কিছু তথ্য জেনে নিন।

Unnamed

আসসালামুআলাইকুম,ও হিন্দু ভাইদের আদাব।আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো,টাইটানিক সম্পর্কে অজানা ও অবাক করা তথ্য। আমরা হয়তো সবাই কম-বেশি এই টাইটানিক সম্পর্কে জানি। টাইটানিক জাহাজটি ছিল বৃটিশ যাত্রীবাহী একটি বড় জাহাজ।এই জাহাজটি সমুদ্রযাত্রার ১৯১২ সালের ১৫ ই এপ্রিল। এটি সাউথহ্যাম্পটন থেকে যাত্রা শুরু করছিল নিউ ইয়ার্ক এর দিকে। এবং কম-বেশি প্রায় সবাই জানি জাহাজটি হিমশৈলের সাথে সংঘর্ষে ডুবে গিয়েছিল।এটি অ্যাটল্যান্টিক মহাসাগরে ডুবে গিয়েছিল। অনেকে মারা গিয়েছিল। যে বিজ্ঞানী এই জাহাজটি তৈরী করেছিল ভাগ্যবসত সেই বিজ্ঞানী ও মারা গিয়েছিল। ইতিহাসের পাতায় অনেক কিছু লেখা আছে এই টাইটানিক নিয়ে। টাইটানিক সম্পর্কে যাদের জানা নেই।তারা টাইটানিক মুভিটি দেখতে পারেন। এছাড়া ও ইতিহাস এর পাতা পড়লে সব জানতে পারবেন। তবে আজকে আমি টাইটানিক সম্পর্কে কিছু তথ্য জানাব,অবাক করা তথ্য সব। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক,টাইটানিক সম্পর্কে অবাক করা ও অজানা তথ্যঃ

১) টাইটানিক জাহাজটিত তৃতীয় শ্রেনীতে প্রায় ৭০০ এর চেয়ে ও বেশি যাত্রী ছিল।এবং এতগুলো যাত্রীর জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র ২ টি বাথটাব।

২) টাইটানিক জাহাজের সব চেয়ে দামি টিকিট এর মুল্য ছিল, সেই সময়ের প্রায় ৪,৩৫০ মার্কিন ডলার।

৩) হিমশৈল এর সাথে ধাক্কা লেগে জাহাজটি ডুবেছিল। সেটির গঠন হয়েছিল খ্রিস্টাব্দ ১০০০ থেকে।

৪) টাইটানিক জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পর, লোকজন উদ্ধার করা হয়েছিল মাত্র ৩৩৬ টি দেহ।ও মারা গিয়াছিল ১.৫১৪ জন।

৫) জাহাজটি হিমশৈল এর কাছে আসার খবর ক্যাপ্টেন এর কাছে যদি ৩০ সেকেন্ড আগে আসত , তাহলে জাহাজটিকে দুর্ঘটনার কবল থেকে বাচানো যেত।

৬) বেশির ভাগ ই লাইফবোট এর জায়গা ফাকা ছিল।কোনো অজানা কারনে লোক নেয়া হয়নি উক্ত লাইফবোট গুলোতে।

৭) একমাত্র টাইটানিক জাহাজ ই শহিমশৈল এর সাথে ধাক্কা লেগে ডুবেছিল।

৮) জাহাজটির বেকারি এর দায়িত্বে যিনি ছিলেন,তিনি ২ ঘন্টা ঠান্ডা জ্বলে থাকার পর ও তিনি বেচে গিয়েছিল,কারন তিনি অতিরিক্ত মদ্যপান করেছিল।তার শরীর ছিল গরম।

৯) টাইটানিক এর খুব কাছে একটি জাহাজ ছিল। জাহাজটির নাম হলো ক্যালিফোর্নিয়ান। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সেই জাহাজটির ওয়ারলেস অপারেটার ছিল গভীর ঘুমে মগ্ন।তাই টাইটানিক এর বিপদ সংকেত বুঝতে পারেনি।

১০)টাইটানিক এই দুর্ঘটনার ১ সপ্তাহ পর “নিউইয়র্ক টাইমস” এর ৭৫ পাতা জুড়ে শুধু এই টাইটানিক এর খবর ই ছাপা হয়েছিল।

১১) সংবাদ পত্রে প্রথম দিনে খবর প্রকাশ হয়েছিল,” টাইটানিক ডুবেছে তবে, কেউ মরেনি”।

১২) একজন জাপানি যাত্রী প্রানে বাচিয়ে গিয়াছিল। কিন্তু সে তার দেশে ফিরে যান,এবং সে তার সহযাত্রীদের কথা ভাবেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।

১৩) মিল্টন হরেশের কাছে টাইটানিক এর টিকেট ছিল। কিন্তু ব্যস্ততার জন্য সে টিকেট বাতিল করে। হরেশ ছিলেন সে কালের বৃটিশ ধনীদের মধ্য অন্যতম।

১৪) সিনেমায় যে রকম বেহালা বাজানো হয়েছে,বাস্তবে টাইটানিক ডোবার সময় ও এভাবে বেহালা বাজানো হয়েছিল।

১৫) যে দিন জাহাজটি ডুবেছিল, সে দিন লাইফবোট এর একটি মহড়া ছিল। কিন্তু ক্যাপ্টেন সেটি বাতিল করেন।

টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ

Youtube Channel

আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।

সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।

যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon

ধন্যবাদ
Exit mobile version