আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।
অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে হালাল ও হারামের সংখ্যা নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।
আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে অনেক নিয়ামত দিয়েছেন । যেগুলো কল্যানকর সেগুলোকে হালাল করেছেন । আর যেগুলো অকল্যানকর সেগুলো হারাম করেছেন ।
হালাল অথ হলো বৈধ । আর হারাম হলো হালালের বিপরীত । অথাৎ হারাম অথ হলো নিষিদ্ধ ।
আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে হালাল ও হারামের সুস্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন । পৃথিবীতে হালাল অগণিত । অন্যদিকে হারাম বস্তুর সংখ্যা সীমিত । এসব হালাল ও হারাম দ্রব্যগুলো চিনে রাখা আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূণ । কারণ হারামকে হালাল মনে করা ও হালালকে হারাম মনে করা কুফর । এখন আমরা কিছু হারাম বিষয় ও দ্রব্য সম্পকে জানব । এগুলো নিচে ধাপে ধাপে দেওয়া হলো —
১। মৃত জীবজন্তু খাওয়া হারাম । তবে মৃত মাছ খাওয়া হারাম নয় ।
২। মানুষ ও শূকরের গোশত খাওয়া হারাম ।
৩। মদ পান করা ও যেকোন মাদকদ্রব্য হেরোইন, ইয়াবা,আফিম ইত্যাদি সেবন করা ।
৪। হিংস্র প্রাণী যেমন বাঘ,সিংহ ইত্যাদির গোশত খাওয়া হারাম ।
৫। যেসব প্রাণী ময়লা ও নাপাক দ্রব্য খেয়ে বেঁচে থাকে তাদের গোশত খাওয়া হারাম । যেমন :- কাক,শকুন,কুকুর ইত্যাদি ।
৬। বিষাক্ত ও ক্ষতিকর প্রাণীর গোশত খাওয়া হারাম । যেমন :- সাপ,বিচ্ছু ইত্যাদি ।
৭। রক্ত পান করা হারাম তবে হালাল জন্তুর গোশতে লেগে থাকা রক্ত হারাম নয় ।
৮। গাধা,খচ্চর,হাতি ইত্যাদি পশুর গোশত খাওয়া হারাম ।
৯। সুদ,ঘুষ ও জুয়ার মাধ্যমে উপাজিত অথসম্পদ ব্যায় করা হারাম । এছাড়া অবৈধ পন্যের লেনদেন এবং ব্যাবসা করাকেও হারাম বলা হয়েছে ।
১০। চুরি,ডাকাতি,চাঁদাবাজি করে উপাজিত অথসম্পদও হারামের অন্তভুক্ত ।
১১। মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া,মিথ্যা হলফ করা, অন্যের গীবত করা ও গালিগালাজ করাও হারামের অন্তভুক্ত ।
১২ । সবপোরি অশালীন কাজকম ও অন্যের কষ্ট হয় এমন কাজকমও হারামের অন্তভুক্ত ।