আমারা এদের সার্ভিস প্রত্যেকদিন ব্যবহার করে থাকি ?এটা আমাদের নানান ধরণের অদ্ভুত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়,
হ্যাঁ আমি গুগলের কথাই বলছি ?
আর সবথেকে ইম্পর্ট্যান্ট লি আজকে আমরা এর হেডকোয়ার্টার এর ব্যাপারে আলোচনা করব।?San Francisco bay area
থেকে একটু দূরে এবং অন্যান্য টেক জায়ান্টের হেডকোয়ার্টার থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে যেমন অ্যাপেল পার্ক ফেসবুক এবং নেটফ্লিক্স আছে ২৬ একরের একটা হেডকোয়ার্টার যাকে গুগোলপ্লেক্স বলা হয় মাউন্টেন ভিউ এর এই হেডকোয়ার্টারের নামটা শব্দের সঙ্গে খেলা করেই তৈরি করা হয়েছে।যদিও এটা দুটো শব্দের মিশ্রন অর্থাৎ গুগল প্লাস কমপ্লেক্স , কিন্তু আসলে গুগোলপ্লেক্স একটা অনেক বড় নাম্বার যেখানে অনেকগুলো শূন্য আছে আর হয়তো এই জন্য এই শব্দটাকে বেছে নেওয়া হয়েছে তার হেডকোয়ার্টার এর নামকরণ করার জন্য
কারণ হয়তো এই শব্দটা গুগলের জয়েন্ট এচিভমেন্ট কে নির্দেশ করে, এই জমিটা কেনা হয়েছিল
সিলিকন গ্রাফিক্স
বলে একটা কোম্পানির কাছ থেকে যারা জুরাসিক পার্ক মুভির জন্যডাইনোসর
তৈরি করেছিল হয়তো এই জন্য এখনও এই কমপ্লেক্স এর মধ্যে ডাইনোসরের স্ট্যাচু দেখা যায়এটা প্রথমবার যখন গুগোল দিরেক্টলি কোন বিল্ডিং এর মধ্যে তাদের অফিসকে মুভ করায় নি যেখানে আগে অন্য কোন অফিস ছিলো।
এক্ষেত্রে তারা ডিসাইড করে তারা তাদের এই ফর্মটা কি নিজেরাই তৈরি করবে এজন্য তারা সাউথ আফ্রিকার আর্কিটেক্ট উইলকিনসন কে কাজটা দেয় , মনে করা হয় যে এই বিল্ডিং টা কে ডিজাইন করার সময় তার মাথায়
টিমওয়ার্ক এবং ক্রিয়েটিভিটি এই দুটো শব্দই ছিল।
এই বিল্ডিংটাকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখানে এমপ্লয়ীদের প্রডাক্টিভিটি কেউ বাড়ানো যায়। এবং তারা কাজ করে স্যাটিসফ্যাকশনও পায়।
বিভিন্ন জায়গায় থাকে বড় বড় জয়েন্ট এলইডি স্ক্রিন যেখানে সারা পৃথিবী জুড়ে গুগলে কি সার্চ হচ্ছে সেটা লাইভ দেখা যায় ,
আছে বড় বড় ওভার সাইজ হোয়াইটবোর্ড
যেখানে এমপিরা নিজেদের ক্রিয়েটিভ আইডিয়া কে ব্যাক্ত করতে পারে।
অনেক জায়গায় পিয়ানো এবং গিটারের মত মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট রাখা থাকে এ বিল্ডিং এর কন্সট্রাকশন এর জন্য প্রচুর পরিমাণে
কাঁচ ব্যবহার করা হয়েছে
যাতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক আলো কমপ্লেক্স এর মধ্যে ঢুকতে পারে।ভিতরে ছোট ছোট করে অফিস বানানো আছে যেখানে তিন চারজন খুব ইজিলি বসে কোন কাজ ডিসকাস করতে পারে, মনে করা হয় এরকম ধরনের ছোট ছোট সেটআপ নতুন আইডিয়া থেকে খুব ইজিলি জন্ম দিতে পারে। এবং সহজে সবার সঙ্গে শেয়ার করা যায়।
তার সাথে অফিসের অযথা
হইচই থেকেও বাঁচা যায়
যদিও এখানে কর্মচারীরা কাজ করার জন্যই যায় কিন্তু গুগল চায়না যে তাদের ইমপ্লোয়ীরা সেটা ফিল করতে পারুক।
এখানে স্টাফ দের সাথে বন্ধুর মত ব্যবহার করা হয় এবং তাদের নানান ধরনের ফেসিলিটি দেওয়া হয়। আমরা অনেকেই শুনেছি বড় বড় কোম্পানির মধ্যে জিম থাকে এটা নতুন নয় তবে গুগোলপ্লেক্স এর মধ্যে আছে
সুইমিংপুল
যেখানে আর্টিফিশিয়াল জলের স্রোতের সামনে ইমপ্লোয়ীরা সাঁতার কাটতে পারেন এই সুইমিংপুল গুলোতে আর্টিফিশিয়াল স্রোত থাকার জন্য এগুলোকে বেশি বড় করে বানানোর দরকার হয়নাতার সাথে আছে টেবিল টেনিস বিলিয়ার্ড এমনকি ছোট ছোট ভিডিও গেম ও আছে এখানে আছে ছোট ছোট self-control ইম্পর্ট যেখানে এমপ্লয়ীরা বসে রিলাক্স করতে পারে, এবং কিছুক্ষণের জন্য অন্যদের থেকে নিজেকে একটু আলাদা রাখতে পারে।
মনে করা হয় যে ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়েদার পৃথিবীর কিছু ভালো ওয়েদার এর মধ্যে একটা,
আউটডোর কেউ তারা অদেখা করেনি
আউটডোরেও আছে টেনিস কোর্ট ফুটবল ফিল্ড এবং অন্যান্য আউটডোর গেমস যেগুলিতে স্টাফরা ফ্রিতেই ইউজ করতে পারেন।আর এই সব কিছুই প্রাইভেট ফুটপাতের একটা নেটওয়ার্কের সঙ্গে কানেক্টেড এখানে মেডিকেল স্টাফ আছে যারা
এখানকার এমপ্লয়ীদের
হেলথের দেখাশোনা করে। তার সাথে মেসাজ এর জন্য একটা কোম্পানিকে সাপসাইড করে রাখা আছে এমনকি এখানে আপনিহেয়ারকাট সেলুন থেকে ড্রাই ক্লিনিং পর্যন্ত পেয়ে যাবেন
একটা গুজব আছে যে ইম্প্লোরিরা এখানে এসে নিজেদের জামা কাপড় পরিষ্কার করে। যাতে বাড়িতে তাদের নিজেদের মেশিনকে ব্যবহার করতে না হয়।আর সবথেকে ইন্টারেস্টিং এবং আইকাছি ব্যাপার হল যে এই বিশাল
কমপ্লেক্স
এর মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য গুগলের কালারের সাইকেল কে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা যায় অনেক এমপ্লয়ীদের টোয়েন্টি ফাইভ পার্সেন্ট টাইম বিভিন্ন সাইট প্রজেক্ট করার জন্য লোকেটেড থাকে। তাদের অরিজিনাল কাজ বাদ দিয়ে তারা সবসময় ক্রিয়েটিভিটি কে প্রমোট করে এবং এনকারেজ করেআর এটা তাদের ফলো দেয় গুগোল বলে যে তাদের বেশিরভাগ ল্যাম্প প্রজেক্ট এইভাবে শুরু হয়েছিল যদিও সম্পূর্ন নয়, তবে
এই কমপ্লেক্সের
বিভিন্ন ধরনের এনার্জি রিকুয়ারমেন্ট বিল্ডিং এর উপরে লাগানো সোলার প্যানেল দিয়ে হয়ে যায়।
এখানে ক্যাফেটেরিয়াতে যে সমস্ত জিনিস খাওয়া হয় তার মধ্যে যে সবজি ব্যবহার করা হয় সেটা গুগোলপ্লেক্স এর বিভিন্ন গার্ডেন ই তৈরি করা হয়
অনেক সাইন্টিস্ট এবং সাইকোলজিস্টরা মনে করে যে কাজের ক্ষেত্রে আমরা যদি আউটডোর অ্যাক্টিভিটি কেউ ইনক্লুড করতে পারি, তবে আমাদের ব্রেইন খুব ভাল ফাংশন করতে পারে। আর টেক জায়ান্ট
গুগল
এ ব্যাপারটা কে খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে এবং ব্যবহারো করেছে।সবশেষে আলোচনা করা যাক খাবারের ব্যাপারে গুগোল নিজেদের এমপিদের জন্য ফুট প্রোভাইড করে আর যথেষ্ট পরিমাণে করে তবে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো
সম্পূর্ণটাই তারা ফ্রিতে ইউজ করতে পারেন
স্টাফরা এখানে ব্রেকফাস্ট লাঞ্চ এবং ডিনার কমপ্লেক্স এর বিভিন্ন জায়গায় থাকা ক্যাফেটেরিয়াতে করতে পারে। তাও সম্পূর্ণ ফ্রিতে এই ক্যাফেটেরিয়া গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো charlss place আর এর নামকরণ করা হয়েছে গুগলের প্রথম চিপ সেভ
charliyears
এর নামে। বর্তমানে তারা ফোকাস করে ফ্রেশ অর্গানিক এবং হেলদি খাবারের উপর।বিভিন্ন ধরনের ডায়েট কে মাথায় রেখে এখানে মেনু তৈরী করা হয়।
একচুয়াল মানুষ রোবট নয়,
আর সাধারণ মানুষকে শুধু ব্রেকফাস্ট লাঞ্চ ডিনার দিলেই হয় না , এদের মাঝে ও তাদের হয়তো একটু আধটু খিদে পেতে পারে। এই জন্য বিভিন্ন জায়গায় পায়ে হাটা দূরত্বের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের স্নেক স্টোর থাকে তবে অফিশিয়ালি আমরা জানি না যে কত টাকা খরচা করে এই খাওয়া-দাওয়ার পেছনে। তবুও একজন ব্লগার ক্যালকুলেট করে দেখেছিল মোটামুটি প্রায়
৭২ মিলিয়ন ডলার
per year এর কাছাকাছি হতে পারে।তার সাথে এমপ্লয়ীদের জন্য আছে ওয়াইফাই এনেবেল বাস , তবে যারা নিজেদের প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে আসে তাদের জন্য আন্ডারগ্রাউন্ডে পার্কিংয়ের জায়গা রয়েছে এমনকি যাদের ইলেকট্রিক বেয়াক্কেল আছে তারা চার্জ ও দিতে পারে।
দেখে মনে হচ্ছে এখানে কাজ করাটা তো অনেক ইন্টারেস্টিং কিন্তু একবার দুইবার ঘুরতে যাওয়ার পক্ষেও