Site icon Trickbd.com

দানশীলতা সম্পকিত গুরুত্বপূণ হাদিস ও দানশীলের সুফল

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।

অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে দানলীলতা সম্পকিত একটি হাদিস নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।

হাদিস : দানশীলতা ।

আমাদের নবি মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) বলেন, “বান্দাগণ প্রতিদিন সকালে উপনীত হলেই দুজন ফেরেশতা অবতরণ করেন । এদের একজন বলেন, হে আল্লাহ! দানকারীকে তুমি তার প্রতিদান দাও । আর অপরজন বলেন, হে আল্লাহ! সম্পদ আটককারীকে ক্ষতিগ্রস্ত কর ।” (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)

মানবজীবনে অথের ব্যাবহার সংক্রান্ত বিষয়ে এই হাদিসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূণ । এতে দানশীলতার পুরস্কার ও কৃপণতার কুফল সম্পকে বণনা করা হয়েছে ।

আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য খরচ করা এবং দানশীলতা অত্যন্ত পুণ্যময় কাজ । নানাভাবে দান করা যায় । সন্তুষ্ট লাভের জন্য নিজ পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধু বান্ধবদের জন্য খরচ করাও এক প্রকার দানশীলতা । তা ছাড়া গরিব, ফকির, মিসকিন,অসহায়, ইয়াতীমদেরকে সাহায্য করাও দানশীলতা । দান করার মাধ্যমে মানুষের ইমানের বহিঃপ্রকাশ ঘটে । বাহ্যিকভাবে চিন্তা করলে দেখা যায় যে সম্পদ কমে যায় । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা বাড়তে থাকে । আল্লাহ তাঁর অবশিষ্ট সম্পদের প্রতি বরকত দেন । আসমানের ফেরশতা তার পক্ষে আল্লাহর কাছে দোয়া করা ।

অন্যদিকে,যে ব্যাক্তি সম্পদ খরচ না করে জমা রাখে সে হলো কৃপণ । তার সম্পদ কোন কাজেই আসে না । আল্লাহর বরকত থেকে তার সম্পদ বঞ্চিত হয় । আসমানের ফেরেশতারাও তার প্রতি বদদোয়া করে । এতে কৃপণ ব্যাক্তি আখিরাত ও দুনিয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় ।

এই হাদিস থেকে আমরা কিছু শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি । এগুলো হলো :-

১। দানশীলতা মহৎ গুণ ।

২। দানশীল ব্যাক্তির জন্য আসমানের ফেরেশতাগণ দোয়া করেন এবং কৃপণ ব্যাক্তির জন্য বদদোয়া করেন । আল্লাহ তায়ালা দানশীলকে উত্তম প্রতিদান দিয়ে থাকেন ।

৩। কৃপণতা একটি নিন্দনীয় কাজ । কৃপণ ব্যাক্তি সবসময় ক্ষতিগ্রস্থ হয় ।

অতএব আমরা দানশীল হব । গরিব দুঃখীদের সাহায্য করব । নিজ ভাই বোনদের জন্য খরচ করব । এতে আল্লাহ খুশি হবেন ।

আমরা যখন দান করব তখন আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে দান করব । নিজের সুনামের জন্য অথবা অন্য কোন উদ্দেশ্যে খরচ করব ।

তো আজ আমার পক্ষ থেকে এতটুকুই ছিল । যদি বেঁচে থাকি তবে পরবতী পোস্টে আবারও দেখা হবে ইনশাল্লাহ । ততদিন সুস্থ থাকুন । এই কামনায় করি । আমার আজকের এই আটিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।